তুমি শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা
বাণী
তুমি শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা দখিনা বাতাস ইঙ্গিতে বোঝে কহে যাহা বনলতা।। চুপ ক'রে চাঁদ সুদুর গগনে মহা-সাগরের ক্রন্দন শোনে, ভ্রমর কাদিঁয়া ভাঙিতে পারে না কুসুমের নীরবতা।। মনের কথা কি মুখে সব বলা যায়? রাতের আঁধারে যত তারা ফোটে আঁখি কি দেখিতে পায়? পাখায় পাখায় বাঁধা যবে রয় বিহগ-মিথুন কথা নাহি কয়, মধুকর যবে ফুলে মধু পায় রহে না চঞ্চলতা।।
গীতিচিত্রঃ ‘অতনুর দেশ’
এসো নওল কিশোর এসো এসো
বাণী
এসো নওল কিশোর এসো এসো, লুকায়ে রাখিব আঁখিতে মম। আমার আঁখির ঝিনুকে বন্দী রহিবে মুকুতা সম।। তুমি ছাড়া আর এই পৃথিবীতে এ আঁখি কারেও পাবে না দেখিতে, তুমিও আমারে ছাড়া আর কারেও হেরিবে না প্রিয়তম।। লুকায়ে রাখিব ফণিনী যেমন মানিক লুকায়ে রাখে, ঘিরিয়া থাকিব দামিনী যেমন শ্যাম মেঘ ঘিরে থাকে। মেঘ হয়ে আমি হে চাঁদ তোমায় আবরি’ রাখিব আঁখির পাতায়, নিশীথে জাগিয়া কাঁদিব দু’জন প্রিয় হে, চির জনম।।
ঘর-ছাড়া ছেলে আকাশের চাঁদ
বাণী
ঘর-ছাড়া ছেলে আকাশের চাঁদ আয় রে। জাফ্রানি রঙের পরাব পিরান তোর গায় রে।। আস্মানে যেতে চায় তারা হয়ে আমার নয়ন-তারা (তোর) খেলার সাথি কাঁদে শাপ্লার ফুল, ফিরে আয় পথ-হারা, দু’নয়ন ঘুমে ঢুলে, হৃদয় ঘুমায় না, কাছে পেতে চায় রে।। চোখের কাজল তোর চাঁদ-মুখে লেগেছে, (আয়) মুছাব আঁচলে দেখ্ মায়ের তোর স্নেহের সাগর আছে উথলে, (মোর) মনের ময়না! ঘরে মন রয় না, পথ চেয়ে’ রাত কেটে যায় রে।।
চলচ্চিত্র : ‘চৌরঙ্গী’
ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে
বাণী
ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে আষাঢ় মাসের মেঘের বরণ কেমন ক'রে পেলি রে।। কে দিয়েছে আলতা মেখে পা'য় চলতে গেলে নূপুর বেজে যায় রে; নূপুর বেজে' যায়। তোর আদুল গায়ে বাঁধা কেন গাঁদা রঙের চেলি রে।। তোর ঢলঢলে দুই চোখে যেন নীল শালুকের কুঁড়ি রে তোরে দেখে কেন হাসে যত গোপ-কিশোরী রে। তোর গলার মালার গন্ধে আমার মন গুনগুনিয়ে বেড়ায় রে মৌমাছি যেমন রে; তুই ঘর-সংসার ভুলালি কোন মায়াতে ফেলি' রে।।