তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ
বাণী
তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ ক্ষমা কর হজরত। মোরা ভুলিয়া গিয়াছি তব আদর্শ, তোমারি দেখানো পথ ॥ বিলাস-বিভব দলিয়াছ পায় ধূলি সম তুমি, প্রভু, তুমি চাহ নাই আমরা হইব বাদশা-নবাব কভু। এই ধরণীর ধন-সম্ভার - সকলেরি তাহে সম অধিকার; তুমি বলেছিলে ধরণীতে সবে সমান পুত্র-বৎ ॥ প্রভু তোমার ধর্মে অবিশ্বাসীরে তুমি ঘৃণা নাহি ক’রে আপনি তাদের করিয়াছ সেবা ঠাঁই দিয়ে নিজ ঘরে। ভিন্ ধর্মীর পূজা-মন্দির, ভাঙিতে আদেশ দাওনি, হে বীর, প্রভু আমরা আজিকে সহ্য করিতে পারিনে’ক পর-মত ॥ তুমি চাহ নাই ধর্মের নামে গ্লানিকর হানাহানি, তলোয়ার তুমি দাও নাই হাতে, দিয়াছ অমর বাণী। মোরা ভুলে গিয়ে তব উদারতা সার করিয়াছি ধর্মন্ধতা, বেহেশ্ত্ হ’তে ঝরে নাকো আর তাই তব রহমত ॥
বর্ণচোরা ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায়
বাণী
বর্ণচোরা ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায় তোরা দেখবি যদি আয় তারে কেউ বলে শ্রীমতি রাধা কেউ বলে সে শ্যামরায়।। কেউ বলে তার সোনার অঙ্গে রাধা-কৃষ্ণ খেলেন রঙ্গে; ওগো কেউ বলে তায় গৌর-হরি কেউ অবতার বলে তায়।। তার ভক্ত তারে ষড়ভুজ শ্রী নারায়ণ বলে, কেউ দেখেছে শ্রীবাসের ঘরে কেউ বা নীলাচলে। দুই হাতে তার ধনুর্বাণ ঠিক যেন শ্রীরাম, দুই হাতে তার মোহন বাঁশি যেন রাধা-শ্যাম, আর দু'হাতে দণ্ড ঝুলি নবীন সন্ন্যাসীরই প্রায়।।
সংসারেরি দোলনাতে মা ঘুম পাড়িয়ে
বাণী
সংসারেরি দোলনাতে মা ঘুম পাড়িয়ে কোথায় গেলি? আমি অসহায় শিশুর মত ডাকি মা দুই বাহু মেলি’।। অন্য শক্তি নাই মা তারা ‘মা’ বুলি আর কান্না ছাড়া, তোরে না দেখলে কেঁদে উঠি, আবার কোল পেলে মা হাসি খেলি।। (ও মা) ছেলেকে তোর তাড়ন করে মায়ারূপী সৎমা এসে। আবার ছয় রিপুতে দেখায় মা ভয় পাপ এলো পুতনার বেশে।১ মরি ক্ষুধা তৃষ্ণাতে মা শ্যামা আমার কোলে নে মা। আমি ক্ষণে চমকে উঠি ভাবি দয়াময়ী মা কি এলি।।
১. পাপবর্গী এলো দেশে।
ওরে ও নতুন ঈদের চাঁদ
বাণী
ওরে ও নতুন ঈদের চাঁদ তোমার হেরে হৃদয় সাগর আনন্দে উন্মাদ।। তোমার রাঙা তশতরিতে ফিরদৌসের পরী খুশির শিরনি বিলায় রে ভাই নিখিল ভুবন ভরি খোদার রহম পড়ছে তোমার চাঁদনি রূপে ঝরি। দুখ ও শোক সব ভুলিয়ে দিতে তুমি মায়ার ফাঁদ।। তুমি আসমানে কালাম ইশারাতে লেখা যেন মোহাম্মাদের নাম। খোদার আদেশ তুমি জান স্মরণ করাও এসে যাকাত দিতে দৌলত সব দরিদ্রেরে হেসে শত্রুরে আজি ধরিতে বুকে শেখাও ভালবেসে। তোমায় দেখে টুটে গেছে অসীম প্রেমের বাঁধ।।
আমার হৃদয়-বৃন্দাবনে নাচেরে
বাণী
মীরা : আমার হৃদয়-বৃন্দাবনে নাচেরে গিরিধারী বনমালিয়া। সব সংশয়-ভঞ্জন নিতি মম চিত-রঞ্জন নবীন বারিদ গঞ্জন-কালিয়া।। শ্রীকৃষ্ণ : তুমি এমন ক’রে আমায় ধ’রে রাখলে চিরদিন আমি এমনি ক’রে যুগে যুগে শুধছি প্রেমের ঋণ, তাই নেমে ধরায় নয়ন ধারায় ভাসায়েছি নদীয়া।। মীরা : চির উজ্জ্বল হিয়া তলে হে নাথ আসিবে ব’লে রেখেছি প্রেমের শিখা জ্বালিয়া।। শ্রীকৃষ্ণ : আমারে কাঁদালে আপনি কাঁদিয়া মীরা : এসো নাথ এসো নাথ ধোয়াব রাতুল চরণ যুগল নয়ন সলিল ঢালিয়া।।
নাটিকা : ‘মীরাবাঈ’