বাণী

ভরিয়া পরান শুনিতেছি গান আসিবে আজি বন্ধু মোর!
স্বপন মাখিয়া সোনার পাখায় আকাশে উধাও চিত-চকোর।।
		হিজল-বিছানো বন-পথ দিয়া
		রাঙায়ে চরণ আসিবে গো পিয়া।
নদীর পারে বন-কিনারে ইঙ্গিত হানে শ্যাম কিশোর।।
		চন্দ্রচূড় মেঘের গায়
		মরাল-মিথুন উড়িয়া যায়,
নেশা ধরে চোখে আলো-ছায়ায় বহিছে পবন গন্ধ-চোর।।

রাগ ও তাল

রাগঃ বেহাগ–বসন্ত

তালঃ একতাল

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

তোরা বলিস্ লো সখি, মাধবে মথুরায়
কেমনে রাধার কাঁদিয়া বরষ যায়॥
খর-বৈশাখে কি দাহন থাকে বিরহিণী একা জানে
ঘৃত-চন্দন পদ্ম পাতায় দারুণ দহন-জ্বালা না জুড়ায়
‘ফটিক জলে’র সাথে আমি কাঁদি চাহিয়া গগন-পানে।
জ্বালা না জুড়ায় গো —
হরি-চন্দন বিনা ঘৃত-চন্দনে জ্বালা না জুড়ায় গো
শ্যাম-শ্রীমুখ-পদ্ম বিনা পদ্ম পাতায় জ্বালা না জুড়ায়॥
বরষায় অবিরল ঝর ঝর ঝরে জল জুড়াইল জগতের নারী
রাধার গলার মালা হইল বিজলি-জ্বালা তৃষ্ণা মিটিল না তা’রি!
সখি রে, তৃষ্ণা মিটিল না তা’রি।
প্রবাসে না যায় পতি সব নারী ভাগ্যবতী বন্ধু রে বাহুডোরে বাঁধে
ললাটে কাঁকন হানি’ একা রাধা অভাগিনী প্রদীপ নিভায়ে ঘরে কাঁদে।
জ্বালা তা’র জুড়ালো না জলে গো
শাওনের জলে তা’র মনের আগুন দ্বিগুণ জ্বলে গো
কৃষ্ণ-মেঘ গেছে চ’লে, অকরুণ অশনি হানিয়া হিয়ায় (সখি)॥
আশ্বিনে পরবাসী প্রিয় এলো ঘরে গো মিটিল বধূর মন-সাধ (সখি রে)
রাধার চোখের জলে মলিন হইয়া যায় কোজাগরী চাঁদ (মলিন হইয়া যায় গো)।
আগুন জ্বালালে শীত যায় নাকি রাধার কি হ’ল হায়
বুক ভরা তার জ্বলিছে আগুন তবু শীত নাহি যায়।
যায় না, যায় না আগুন জ্বলে —
বুকের আগুন জলে, তবু শীত যায় না, যায় না,
শীত যদি বা যায় নিশীথ না, যায় গো
যায় না, যায় না, রাধার যে কি হ’ল হায়॥
কলিয়া কৃষ্ণ-ছূড়া, ছড়ায়ে ফাগের গুঁড়া আসিল বসন্ত
রাধা-অনুরাগে রেঙে কে ফাগ খেলিবে গো, নাই ব্রজ-কিশোর দুরন্ত।
মাধবী-কুঞ্জে কুহু কুহরিছে মুহুমুহু ফুল-দোলনায় সবে দোলে,
এ মধু মাধবী রাতে রাধার মাধব নাই
দুলিবে রাধা কার কোলে সখি রে —  রাধা দোলে কার কোলে গো
শ্যাম-বল্লভ বিনা রাধা দোলে কার কোলে গো, বল্ সখি, দোলে কার কোলে।
ফুল-দোলে দোলে সবে পিয়াল-শাখে
রাধার প্রিয়া নাই, বাহু দু’টি দিয়া বাঁধিবে কাহাকে,
ঝরা-ফুল-সাথে রাধা ধূলাতে লুটায়॥

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ ফের্‌তা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

‘দেশপ্রিয় নাই’ শুনি ক্রন্দন সহসা প্রভাতে জাগি’।
আকাশে ললাট হানিয়া কাঁদিছে ভারত চির-অভাগী।।
দেশবন্ধুর পার্শ্বে জ্বলিছে দেশপ্রিয়ের চিতা
এতদিন পরে বক্ষে এসেছে দুঃখের সাথি মিতা,
বহিছে অশ্রুগঙ্গা, জ্বলিছে শোকের দীপাম্বিতা —
নিভে যাবে চিতা, রয়ে যাবে ধুম, চিরদিন বুকে জাগি’।।
তুমি এসেছিলে হিন্দু-মুসলমানের মিলন-হেতু
পদ্মা ও ভাগীরথীর মাঝারে তুমি বেঁধেছিলে সেতু,
অন্ধকারের বুকে ছিলে তুমি দীপ্ত চন্দ্র-কেতু —
বন্ধন হল নন্দন-ফুল-হার তোমার ছোয়া লাগি’।।

দ্বিতীয় খন্ড

রাগ ও তাল

রাগঃ জয়জয়ন্তী

তালঃ বৈতালিক

স্বরলিপি

 

বাণী

পুরুষ		:	মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি প্রিয়ে।
স্ত্রী		:	ধরিতে পারি না পেতে তাই প্রেম ফাঁদ —
			তুমি মেঘ আমি চাঁদ, ফের গো কাঁদিয়ে।।
পুরুষ		:	মন্দ বায় আমি গন্ধ লুটি শুধু —
			চাই না আমি সে মধু;
স্ত্রী		:	চাইনে চাইনে বঁধু —
			তাহে নাই সুখ নাই, আমি পরশ যে চাই।
পুরুষ		:	স্বপন-কুমার ফিরি যে আমি মন ভুলিয়ে।।
উভয়ে	:	চল তবে যাই মোরা স্বপনের দেশে
			জোছনায় ভেসে —
			নন্দন-পারিজাত ফুল ফুটিয়ে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

তৌহিদেরি মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম।
ঐ নাম জপলেই বুঝতে পারি খোদায়ী কালাম —
			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামেরি রশি ধ’রে যাই আল্লার পথে,
ঐ নামেরি ভেলা ধ’রে ভাসি নূরের স্রোতে,
ঐ নামেরি বাতি জ্বেলে দেখি আরশের মোকাম।
			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামের দামন ধ’রে আছি আমার কিসের ভয়,
ঐ নামের গুনে পাব (আমি) খোদার পরিচয়,
তাঁর কদম মোবারক যে আমার বেহেশ্‌তী তাঞ্জাম।
			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

মত্তময়ূর ছন্দে নাচে কৃষ্ণ প্রেমানন্দে!
রুমু ঝুম্‌ঝুম্‌ মঞ্জির বাজে কঙ্কণ মণিবন্ধে।।
রিমঝিম্ রিমঝিম্ ঝিম্ কেকা-বর্ণ ঘন বরয়ে
তৃষ্ণা-তৃপ্ত আত্মা নাচে নন্দনলোকে হরষে,
ঝঞ্ঝার ঝাঁঝরতাল বাজে শুন্যে মেঘ-মন্দ্রে।।
পল্লব ঘন-চক্ষে ঝরে অশ্রু-রসধারা
পূব হাওয়াতে বংশী ডাকে আয় রে পথহারা,
বন্দে দামিনী বর্ণা রাধা বৃন্দাবন চন্দে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ মত্তময়ূর (২২ মাত্রা)