ওগো সুন্দর তুমি আসিবে বলিয়া
বাণী
ওগো সুন্দর! তুমি আসিবে বলিয়া বনপথে পড়ে ঝরি’ (রাঙা) অশোকের মঞ্জরি। হাসে বনদেবী বেণীতে জড়ায়ে মালতীর বল্লরী, নব কিশলয় পরি’।। কুমুদী-কলিকা ঈষৎ হেলিয়া চাঁদেরে নেহারি হাস মুচিকিয়া, মহুয়ার বনে ভ্রম-ভ্রমরী ফিরিতেছে গুঞ্জরি’।। যাহা কিছু হেরি ভাল লাগে আজ লুকাইতে নারি হাসি, কাজ করি আর শুনি যেন কানে মিঠে পাহাড়িয়া বাঁশি। এক শাড়ি খুলে পরি’ আর শাড়ি বারে বারে মুখ মুকুরে নেহারি, দুরু দুরু হিয়া উঠে চমকিয়া, অকারণে লাজে মরি।।
নিশি নিঝুম ঘুম নাহি আসে
বাণী
নিশি নিঝুম ঘুম নাহি আসে, হে প্রিয়, কোথা তুমি দূর প্রবাসে।। বিহগী ঘুমায় বিহগ–কোলে, ঘুমায়েছে ফুলমালা শ্রান্ত আঁচলে; ঢুলিছে রাতের তারা চাঁদের পাশে।। ফুরায় দিনের কাজ, ফুরায় না রাতি, শিয়রের দীপ হায় অভিমানে নিভে যায় নিভিতে চাহে না নয়নের বাতি। কহিতে নারি কথা তুলিয়া আঁখি বিষাদ–মাখা মুখ গুন্ঠনে ঢাকি’ দিন যায় দিন গুণে, নিশি যায় নিরাশে।।
অকূল তুফানে নাইয়া কর পার
বাণী
অকূল তুফানে নাইয়া কর পার পাপ দরিয়াতে ডুবে মরি কান্ডারি নাই কড়ি নাই তরী প্রভু পারে তরিবার।। থির নহে চিত পাপ-ভীত সদা টলমল পুণ্যহীন শূন্য মরু সম হৃদি-তল নাহি ফুল নাহি ফল পার কর হে পার কর ডাকি কাঁদি অবিরল নাহি সঙ্গী নাহি বন্ধু নাহি পথেরি সম্বল। সাহারায় নাহি জল শাওন বরিষা সম তব করুণার ধারা ঝরিয়া পড়ুক পরানে আমার।।
ওমা ত্রিনয়নী! সেই চোখ দে
বাণী
ওমা ত্রিনয়নী! সেই চোখ দে যে-চোখ তোরে দেখতে পায়। সে নয়ন-তারায় কাজ কি তারা যে-তারা লুকায় মা তারায়।। আমি চাইনে সে-চোখ যে-চোখ দেখে মায়া অনিত্য এই সংসারেরই ছায়া, যে-দৃষ্টি দেখে নিত্য তোরে সেই দৃষ্টি দে আমায়।। ওমা নিবিয়ে দে এই নয়ন-প্রদীপ দেখায় যাহা দুঃখ শোক, এই আলেয়া পথ ভুলিয়ে যায় মা নিয়ে নরক-লোক। তোর সৃষ্টি চির-আনন্দময় নাকি দেখব সে-লোক, দে মোরে সেই আঁখি, দেখে না রোগ-মৃত্যু-জ্বরা তোর সন্তান সেই দৃষ্টি চায়।।