বাণী

তোমার গানের চেয়ে তোমায় ভালো লাগে আরো।
(মোর) ব্যথায় আস প্রিয় হয়ে, কথায় যখন হারো।।
	(তব) সুর যবে দূরে য়ায় চ’লে
	তখন আস মোর অঁখির জলে,
ভালোবাসায় যে মধু দাও বঁধু তা কি ভাষায় দিতে পার।।
আমায় যখন সাজাও সুরে ছন্দে অলংকারে,
তখন তুমি থাক যেন কোন্ গগনের পারে।
	গান থামিয়ে একলা ঘরে
	আস যখন আমার তরে,
সেই ত আমার আনন্দ, তাহা ছন্দে দিতে নারো।।

বাণী

জাগো রূপের কুমার, কেন অলস ঘুমে কাটাও রাতি।
হের দুয়ারে দাঁড়ায়ে বধূর সাজে তব জাগার সাথী।।
আসে বারেবারে সে যে অভিসারে
তার বুকের ভাষা মুখে কইতে নারে,
মোরা বাসর ঘরে এলাম জ্বাল্‌তে বাতি।।

নৃত্য-সঙ্গীত, নাটক : সর্বহারা

বাণী

পরজনমে যদি আসি এ ধরায়।
ক্ষণিক বসন্ত যেন না ফুরায়॥
মিলনে নাহি যেন রহে অবসাদ১
ক্ষয় নাহি হয় যেন চৈতালি-চাঁদ,
কণ্ঠ-লগ্ন মোর প্রিয়ার বাহু
খুলিয়া২ না পড়ে যেন, নিশি না পোহায়॥
বাসি নাহি হয় যেন রাতের মালা,
ভরা থাকে যৌবন-রস-পেয়ালা।
জীবনে না রহে যেন মরণ-স্মৃতি
পুরাতন নাহি হয় প্রেম-প্রীতি,
রবে অভিমান রহিবে না বিরহ,
ফিরে যেন আসে প্রিয়া মাগিয়া বিদায়॥

১. মিলনে যেন নাহি আসে অবসাদ, ২. ঢলিয়া

বাণী

গভীর নিশীথে ঘুম ভেঙ্গে যায়, কে যেন আমারে ডাকে —
	সে কি তুমি, সে কি তুমি?
কার স্মৃতি বুকে পাষাণের মত ভার হয়ে যেন থাকে —
	সে কি তুমি, সে কি তুমি?
কাহার ক্ষুধিত প্রেম যেন, হায়, ভিক্ষা চাহিয়া কাঁদিয়া বেড়ায়;
কার সকরুণ আঁখি দু’টি যেন রাতের তারার মত
মুখপানে চেয়ে থাকে – সে কি তুমি, সে কি তুমি?
নিশির বাতাস কাহার হুতাশ দীরঘ নিশাস সম
ঝড় তোলে এসে অন্তরে মোর, ওগো দুরন্ত মম।
	সে কি তুমি, সে কি তুমি?
মহাসাগরের ঢেউ–এর মতন, বুকে এসে বাজে কাহার রোদন,
‘পিয়া পিয়া’ নাম জপে অবিরাম বনের পাপিয়া পাখি
আমার চম্পা শাখে – সে কি তুমি, সে কি তুমি?

বাণী

	ছাড়িতে পরান নাহি চায় তবু যেতে হবে হায়
	মলয়া মিনতি করে তবু কুসুম শুকায়॥
		রবে না এ মধুরাতি
		জানি তবু মালা গাঁথি
মালা	চলিতে দলিয়া যাবে তবু চরণে জড়ায়॥
		যে কাঁটার জ্বালা সয়ে
		উঠে ব্যথা ফুল হয়ে
	আমি কাঁদিব সে-কাঁটা লয়ে নিশীথ বেলায়॥
		নীরবে রবে যবে পরবাসে
		আমি দূর নীল আকাশে
	জাগিব তোমারি আশে নূতন তারায়॥

বৈতালিক

বাণী

যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ আর শ্রীমন্ত তোরে।
সেই নাম তুই শিখিয়ে দে মা, ডাকব আমি তেমনি ক’রে।।
	বেদ-পুরাণে যে নাম শুনি
	যে নাম জপে ঋষি-মুনি
সেই নাম দে, যে নাম নিতে বক্ষ ভাসে অশ্রু-নীরে।।
ভয় যদি তোর ভক্তি দিতে, কর মা অসুর দানব মোরে
আসবি যখন শাস্তি দিতে, দেখব তোরে নয়ন ভরে।।
	তোর হাতে মা মরণ হলে
	ঠাঁই পাব যে তোরই কোলে
আঘাত করে ছেলেকে মা কাঁদে যেমন বক্ষে ধরে।।