বাণী
দূর বেণুকুঞ্জে বাজে মুরলী মুহু মুহু যেন বারে বারে ডাকে আমারে বাঁশুরিয়ার মধুর সুরের কুহু।।
রাগ ও তাল
রাগঃ আনন্দী
তালঃ ত্রিতাল
আমার হৃদয়-শামাদানে জ্বালি’ মোমের বাতি। নবীজী গো! জেগে’ আমি কাঁদি সারা রাতি।। আস্মানেরই চাঁদোয়া-তলে চাঁদ-সেতারার পিদিম১ জ্বলে, ওরাও যেন খোঁজে তোমায় আমার দুঃখের সাথি২।। দিনের কাজে পাই না সময় যাই নিরালা রাতে, তোমায় পাওয়ার পথ খুঁজি গো কোরানের আয়াতে। তোমায় পেলে পাব খোদায় তাই শরণ যাচি তোমারি পায়, পাওয়ার আশে জেগে থাকি প্রেমের শয্যা পাতি’।। ঝর্লে পাতা, ডাক্লে পাখি, চম্কে ভাবি, তুমি নাকি? মস্জিদে যাই গভীর রাতে খুঁজি আঁতিপাঁতি।। রোজ-হাশরে দেখা পাব মোরে সবাই বলে; তোমার বিহনে আমার ঘুম নাই নয়নে, মোর জীবনে রোজ-কিয়ামত আসে প্রতি পলে। বিষের সমান লাগে আমার দুনিয়ার যশ-খ্যাতি।।
১. চেরাগ ২. ওরা আমার দুখের সাথি
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায় দোলে গলায় বলাকার মালিকা।। চপল বিদ্যুতে হেরি' সে চপলার ঝিলিক হানে কণ্ঠের মণিহার, নীল আঁচল হতে তৃষিত ধরার পথে ছুড়ে ফেলে মুঠি মুঠি বৃষ্টি শেফালিকা।। কেয়া পাতার তরী ভাসায় কমল-ঝিলে তরু-লতার শাখা সাজায় হরিৎ নীলে। ছিটিয়ে মেঠো জল খেলে সে অবিরল কাজলা দীঘির জলে ঢেউ তোলে আনমনে ভাসায় পদ্ম-পাতার থালিকা।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
তোমার নাম নিয়ে খোদা আমি যে কাজ করি। আমার তা’তে নাই লাজ ভয় মরি কিম্বা তরি।। আমার ভালো মন্দ তুমি খোদা জানো, (তাই) দুখের শমন দিয়ে এমন বুকের কাছে টানো, (খোদা) (আমি) দুঃখ দেখে তোমার থেকে না যেন যাই সরি’।। সুখ-দুঃখ যশ নিন্দা মান ও অপমান আমার ব’লে নাইতো কিছু সবই তোমার দান, (যত) বাইরে আঘাত আসে তত তোমায় যেন ধরি।। (এই) ফেরেববাজীর দনিয়া ভরা কেবল মায়া ফাঁকি (তাই) তোমার নামের বাতি জ্বেলে বুকের কাছে রাখি, ঐ নামের আঁচের আমি যেন মোমের মত ঝরি। খোদা তোমার প্রেমে গ’লে যেন মোমের মত ঝরি।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
চুরি ক’রে এনো গিরি, আমার উমার দুই কুমারে। দেখ্ব তখন ভোলা মেয়ে কেমন ভু’লে থাকতে পারে॥ তার ছেলেরে আনলে হেথা, বুঝবে মেয়ে মায়ের ব্যথা; (বিনা) সাধনাতে গৌরী তখন, আসবে ছুটে আমার দ্বারে॥ জামাই আমার শিব ভোলানাথ, ডাকিলেই সে আসিবে জানি চাইবে নাকো আসতে শুধু, তোমার মেয়ে ঐ পাষাণী। কুমার গণেশ তুমি আমি, শিব পূজিব দিবস যামী; শৈব হ’লে শিবাণী মোর, রইতে নারে ছেড়ে তারে॥
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
রেশ্মি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিমঝিমিয়ে মরম কথা পথের মাঝে চম্কে’ কে গো থম্কে’ যায় ঐ শরম-নতা।। কাঁখ-চুমা তার কলসি-ঠোঁটে উল্লাসে জল উল্সি’ ওঠে, অঙ্গে নিলাজ পুলক ছোটে বায় যেন হায় নরম লতা।। অ-চকিতে পথের মাঝে পথ-ভুলানো পরদেশিকে হান্লে দিঠি পিয়াস-জাগা পথ্বালা এই উর্বশীকে! শূন্য তাহার কন্যা হিয়া ভর্ল বঁধুর বেদ্না নিয়া, জাগিয়ে গেল পর্দেশিয়া বিধুর বধূর মধুর ব্যথা।।
রাগঃ কালাংড়া
তালঃ কাশ্মিরী খেম্টা
শিল্পীঃ ডা. ফারহানা মাহবুব