আজি মনে মনে লাগে হোরী
বাণী
আজি মনে মনে লাগে হোরি আজি বনে বনে জাগে হোরি।। ঝাঁঝর করতাল খরতালে বাজে বাজে কঙ্কন চুড়ি মৃদুল আওয়াজে লচকিয়া আসে মুচকিয়া হাসে প্রেম-উল্লাসে শ্যামল গোরী।। কদম্ব তমাল রঙে লালে লাল লাল হলো কৃষ্ঞ ভ্রমর ভ্রমরী রঙের উজান চলে কালো যমুনা-জলে আবির রাঙা হলো ময়ূর-ময়ূরী।। মোর হৃদি-বৃন্দাবন যেন রাঙে রাধা শ্যাম-যুগল চরণ-রাগে ও চরণ-ধূলি যেন ফাগ হ’য়ে নিশিদিন অন্তরে পড়ে মোর ঝরি’।।
বলি মাথা খাস্ রাধে ওলো কথা শোন্
বাণী
আবৃত্তি: কুমারী রাধিকা ঘোষের প্রতি শ্রীমৎ ক্যাগ বিমাতার উক্তি: বলি মাথা খাস্ রাধে ওলো কথা শোন্। বলি কুল আর তুই খাস্নে (রাধে কুল আর তুই খাস্নে) ওলো গোকুল ঘোষের কন্যা যে তুই কুল গাছ পানে চাস্নে (পরের কুল গাছ পানে চাস্নে) ও কুল গাছে বড় কাঁটা গায়ে অথবা পায়ে বিঁধিলে দায় হবে পথ হাঁটা (রাধে গায়ে অথবা পায়ে বিঁধিলে দায় হবে পথ হাঁটা) কলঙ্ক দিলি (কলঙ্ক দিলি) তুই যারি তারি কুল চুরি করে খেলি গোকুলের কুলে কলঙ্ক দিলি (কুলে কলঙ্ক দিলি) রাধে গো। ওলো ভাবিস এখনও বয়েস হয়নি কারণ বেড়াস ফ্রক পরে। ওই কুল গাছ আগলায় ভীমরুল চাক (ওই কুল গাছ আগলায় ভীমরুল চাক) তোর কুল খাওয়া বের হবে ফুলে হবি ঢাক (ফুল হবি জয় ঢাক)। বলি পড়তে নাকি কুল খেতে যাস রোজ রোজ ইস্কুলে (রাধে পড়তে নাকি কুল খেতে যাস রোজ রোজ ইস্কুলে) ওই কুলেরি কাঁটায় দুকুল ছিঁড়িস বেণী আঁটিস খুলে (রাধে বেণী আঁটিস খুলে) খাস তুই টোপা কুল খাস নারকুলে কুল (খাস তুই টোপা কুল খাস নারকুলে কুল) অত কুল খেয়ে রাতে পেট ডাকে কুল কুল কুল কুল। ওলো কুলোতে নারি (কুলোতে নারি) ওলো তোর কুল দিয়ে আর কুলোতে নারি (দিয়ে কুলোতে নারি) ছিল কুলুঙ্গীতে কুলের আচার তাও খেয়েছিল কুল খোয়ারী (কুলুঙ্গীর ও কুলের আচার তাও খেয়েছিস কুল খোয়ারী)। ওই কুল গাছ ধরে (সখি গো রাধে গো) (বহুত আচ্ছা দাদা বহুত আচ্ছা বহুত আচ্ছা) ওই কুল গাছ ধরি কোলাকুলি করি ফ্যাসাদ বাধাবি শেষে আর কুল ত্যাগিনী হবে কি নাশিনী কুল গাছ ভালোবেসে (আর কুল ত্যাগিনী হবে কি নাশিনী কুল গাছ ভালোবেসে)॥
যাও মেঘদূত দিও প্রিয়ার হাতে
বাণী
যাও মেঘদূত, দিও প্রিয়ার হাতে আমার বিরহ–লিপি লেখা কেয়া পাতে।। আমার প্রিয়ার দিরঘ নিশাসে থির হয়ে আছে মেঘ যে–দেশেরই আকাশে আমার প্রিয়ার ম্লান মুখ হেরি’ ওঠে না চাঁদ আর যে–দেশে রাতে।। পাইবে যে–দেশে কুন্তল–সুরভি বকুল ফুলে আমার প্রিয়া কাঁদে এলায়ে কেশ সেই মেঘনা–কূলে। স্বর্ণলতার সম যার ক্ষীণ করে বারে বারে কঙ্কণ চুড়ি খুলে পড়ে মুকুল’ বয়সে যথা বরষার ফুল–দল বেদনায় মুরছিয়া আছে আঙিনাতে।।