আমার গহীন জলের নদী
বাণী
আমার গহীন জলের নদী আমি তোমার জলে ভেসে রইলাম জনম অবধি।। ও ভাই তোমার বানে ভেসে গেল আমার বাঁধা ঘর আমি চরে এসে বস্লাম রে ভাই ভাসালে সে চর। এখন সব হারিয়ে তোমার জলে রে আমি ভাসি নিরবধি।। ঘর ভাঙিলে ঘর পাব ভাই ভাঙ্লে কেন মন ও ভাই হারালে আর পাওয়া না যায় মনেরি রতন। ও ভাই জোয়ারে মন ফেরে না আর রে ও সে ভাটিতে হারায় যদি।। তুমি যখন ভাঙ রে নদী (ভাঙ যখন কূল রে নদী) ভাঙ একই ধার আর মন যখন ভাঙ রে নদী দুই কূল ভাঙ তার ও ভাই চর পড়ে না মনের কূলে রে ও সে একবার সে ভাঙে যদি, ও ভাই একবার সে ভাঙে যদি।।
আমার সুরের ঝর্না-ধারায়
বাণী
আমার সুরের ঝর্না-ধারায় করবে তুমি স্নান। ওগো বধূ! কণ্ঠে আমার তাই ঝরে এই গান।। কেশে তোমার পর্বে বালা তাই গাঁথি এই গানের মালা, তোমার টানে ভাব-যমুনায় বহিছে উজান।। আমার সুরের ইন্দ্রাণী গো, উঠ্বে তুমি ব’লে, নিত্য বাণীর সিন্ধুতে মোর মন্থন তাই চলে। সিংহাসনের সুর-সভাতে বসবে রানীর মহিমাতে, সৃজন করি’ সেই গরবে সুরের পরীস্থান।।
রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল
বাণী
রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল বনমালী ব্রজের রাখাল। কৃষ্ণ গোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল কভু শ্যাম রাঘব, কভু শ্যাম মাধব, কভু সে কেশব যাদব ভূপাল॥ যমুনা বিহারী মুরলীধারী, বুন্দাবনে সখা গোপী মনহারী, কভু মথুরাপতি কভু পার্থসারথি কভু ব্রজে যশোদা আনন্দ দুলাল॥ দোলে গলে তাহার মন বন ফুলহার, বাজে চরণে নূপুর গ্রহ তারকার কোটি গ্রহ তারকার। কালিয়-দমন কভু, করাল মুরারি কাননচারী শিখী পাখা ধারী; শ্যামল সুন্দর গিরিধারীলাল। কৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল॥
ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ
বাণী
ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।। গেলেন মদিনা যবে হিজরতে হজরত মদিনা হলো যেন খুশিতে জিন্নত, ছুটিয়া আসিল পথে মর্দ ও আওরত লুটায়ে পায়ে নবীর, গাহে সব উম্মত ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।। হাজার সে কাফের সেনা বদরে, তিন শত তের মমিন এধারে; হজরতে দেখিল যেই, কাঁপিয়া ডরে কহিল কাফের সব তাজিমের স্বরে ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।। কাঁদিয়া কেয়ামতে গুনাহগার সব, নবীর কাছে শাফায়তী করিবেন তলব, আসিবেন কাঁদন শুনি সেই শাহে আরব অমনি উঠিবে সেথা খুশির কলরব ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।