বাণী

পথিক বন্ধু এসো এসো পাপড়ি ছাওয়া পথ বেয়ে।
মন হয়েছে উতলা গো তোমার আসার পথ চেয়ে।।
	আকাশ জুড়ে আলোর খেলা
	বসুন্ধরায় ফুলের মেলা
রঙিন মেঘের ভাসলো ভেলা তোমারই আসার আভাস পেয়ে।।
সাধ জাগে ঐ পথে তোমার পেতে রাখি মন প্রাণ
চলতে গিয়ে দলবে তা’রে চরণ ছোঁয়া করিবে দান।
	তোমার ধ্যানে, হে রাজাধিরাজ
	সাজ ভুলেছি ভুলেছি কাজ
আসবে তুমি সেই খুশিতে আছে আমার মন ছেয়ে।।

বাণী

	পদ্মদীঘির ধারে ধারে ঐ সখি লো কমল-দীঘির পারে।
	আমি জল নিতে যাই সকাল সাঁঝে সই,
সখি, 	ছল ক'রে সে মাছ ধরে, আর, চায় সে বারে বারে।।
	মাছ ধরে সে, বঁড়শী আমার বুকে এসে বেঁধে,
			ওলো সই বুকে এসে বেঁধে,
আর,	চোখের জল কলসি আমার সই, আমি ভরাই কেঁদে কেঁদে
				সই যত দেখি তা'রে।।
	ছিপ নিয়ে যায় মাছ জলে তার (ওলো সই) তাকায় না তা’র পানে
	মন ধরে না মীন ধরে সে সখি লো সেই জানে।
	মন-ভিখারি মীন-শিকারি মুখের পানে চায়,
			সখি লো চোখের পানে চায়,
আমি	বঁড়শী-বেঁধা মাছের মত (গো)
			সখি ছুটিয়া মরি হায়, অকূল পাথারে।।

বাণী

রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে, জাগে ঘূর্ণি-নৃত্যের দোল।
আজি রাস-নৃত্য নিরাশ চিত্ত জাগো রে,
চল যুগলে যুগলে বন-ভবনে -  
আনো নিথর হেমন্ত হিম পবনে চঞ্চল হিল্লোল॥
শতরূপে প্রকাশ আজি শ্রী হরি,
শত দিকে শত সুরে বাজে বাঁশরি -  
সকল গোপিনী আজি রাই কিশোরী, -
যাবে তৃষ্ণা, পাবে কৃষ্ণের কোল॥
তরল তাল ছন্দ-দুলাল নন্দ-দুলাল নাচে রে,
অপরূপ রঙ্গে নৃত্য-বিভঙ্গে অঙ্গের পরশ যাচে রে;
মানস-গঙ্গা অধীর-তরঙ্গা প্রেমের-যমুনা হ’ল রে উতরোল॥

বাণী

এসো আনন্দিতা ত্রিলোক-বন্দিতা কর দীপান্বিতা আঁধার অবনি মা।
ব্যাপিয়া চরাচর শারদ অম্বর ছড়াও অভয় হাসির লাবনি মা।।
	সারাটি বরষ নিখিল ব্যথিত
	চাহিয়া আছে মা তব আসা-পথ,
ধরার সন্তানে ধর তব কোলে ভুলাও দুঃখ-শোক চির-করুণাময়ী মা।।
	অটুট স্বাস্থ্য দীর্ঘ পরমায়ু
	দাও আরো আলো নির্মল বায়ু,
দশ হাতে তব আনো মা কল্যাণ পীড়িত-চিত গাহে অকাল জাগরণী মা।।

বাণী

ব্রজে আবার আসবে ফিরে আমার ননী-চোরা
	আর কাঁদিস্‌নে গো তোরা।
স্বভাব যে ওর লুকিয়ে থেকে কাঁদিয়ে পাগল করা —
	আর কাঁদিস্‌নে গো তোরা।
	আমি যে তার মা যশোদা
	সে আমারেই কাঁদায় সদা,
যেই কাঁদি সে যায় যে ভুলে বনে বনে ঘোরা॥
মথুরাতে আমার গোপাল রাজা হ’ল নাকি,
যেখানে যায়, সে রাজা হয় (তোরে) ভুল দেখেনি আঁখি।
	সে রাজা যদি হয়েই থাকে
	তাই ব’লে কি ভুলবে মাকে,
আমি হব রাজ-মাতা, তাই ওর রাজবেশ পরা॥

বাণী

(মা)	ওমা তুই আমারে ছেড়ে আছিস আমি তাই হয়েছি লক্ষ্মীছাড়া
	ও তোর কৃপা বিনা শক্তিময়ী শুকিয়ে গেল ভক্তিচারা॥
	ওমা তুই আশ্রয় দিলি না তাই, আমি যা পাই তা পথে হারাই
	তোর রসময় ভুবন আমার শ্মশান হল ওমা তারা।
	আজ আনন্দ যমুনা ফেলে এসেছি তাই যমের দ্বারে
	ওমা জীবনে যা পেলাম না তা মরণ যদি দিতে পারে।
মাগো	ওমা তত বাড়ে বুকের জ্বালা, পাই যত যশ খ্যাতির মালা
	রাজপ্রসাদে শুয়ে মাগো শান্তি কি পায় মাতৃহারা॥