বাণী

তুমি আমার চোখের বালি, ওগো বনমালী।
আমার চোখে পড়ল কখন, তোমার রূপের কালি।।
(চোখ)	চাইলে ও-রূপ সইতে নারি
	নয়ন মুদেও রইতে নারি,
তোমার লীলা, প্রিয়জনে কাঁদাও খালি।।
কাঁদিয়ে আমায় করলে কানা, কানাই একি লীলা,
এবার ম’রে আর জনমে যেন হই কুটিলা।
	তোমার নয়ন-মণি রাইকে নিয়ে
	রাখব ঘরে দুয়ার দিয়ে
চোখে চোখে সেদিন যেন হয় মিতালি।।

বাণী

কে	তোরে কি বলেছে মা ঘুরে বেড়াস কালি মেখে
ওমা	বরাভয়া ভয়ঙ্করী সাজ পেলি তুই কোথা থেকে।।
	তোর এলাকেশে প্রলয় দোলে
	আমি চিনতে নারি গৌরী বলে।
ওমা	চাঁদ লুকাল মেঘের কোলে তোর মুখে না হাসি দেখে।।
ওমা	শঙ্কর কি গঙ্গা নিয়ে,কাঁদায় তোরে দুঃখ দিয়ে
ওমা	শিবানী তোর চরণ তলে এনেছি তাই শিবকে ডেকে।।

বাণী

ছাড়িয়া যেও না আর।
বিরহের তরী মিলনের ঘাটে লাগিল যদি আবার।।
	কত সে-বিফল জনমের পর
	পথ-চাওয়া মোর ফিরে এলে ঘর,
এলো শুভ দিন, কাটিল অসহ রাতের অন্ধকার।।
দেবতা গো ফিরে চাও,
মোর বেদনার তপস্যা-শেষ, মিলনের বর দাও।
	ল’য়ে জীবনের সঞ্চিত ব্যথা
	তোমার চরণে হলাম প্রণতা,
লহ পূজা মোর নয়নের লোর শীর্ণা তনুর হার।।

বাণী

আজো ফোটেনি কুঞ্জে মম কুসুম ভোমরাকে যেতে বল।
সখি	গুঞ্জরি ফেরে কেন কুঞ্জে বৃথাই এত ছল।।
	কত কি শুনিয়ে যায়, গুনগুনিয়ে হায়-
	পাতার ঝরকায়, ঘোরে সে অবিরল।।
আমার প্রাণের ভেতর কেন উঠায় সে ঝড়
তারে	ফেরালে ফেরে না হাসে কেবল,
সে	ফিরিয়া গেলে চোখে আসে জল।
	একি হল দায়, আঁখি নাহি চায়
	না দেখিলে তায়, প্রাণ পাগল।।

বাণী

তুমি কেন এলে পথে
ঝরা মল্লিকা ভাসাইতেছিনু
	একাকিনী নদী-স্রোতে।।
কলসি আমার অলস খেলায়
ধীর তরঙ্গে যদি ভেসে' যায়
তীরে সে কলসি তুলে' আনো তুমি
	কেন নদী' জল হ'তে।।
আমার নিরালা বনে
আমি গাঁথি হার, তুমি গান গাহি'
	ধ্যান ভাঙো অকারণে।
আমি মুখ হেরি' আরশিতে একা
তুমি সে মুকুরে কেন দাও দেখা
	বাতায়নে চাহি' তুমি কেন হাসো
	আসিয়া চাঁদের রথে।।

বাণী

সোনার চাঁপা ভাসিয়ে দিয়ে গহীন সাগর-জলে
দূরে ব’সে কাঁদে কে রে কাঁদে আয় ফিরে আয় ব’লে।।
		কার আঁচলের মানিক ওরে
		অকূল স্রোতে পড়লি ঝরে রে
কোন্ মায়ের কোল্ খালি ক’রে এলি রে তুই চ’লে।।

নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’