পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া
বাণী
পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া যাও রে বইয়া এই গরিবের সালামখানি লইয়া।। কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই সারা জনম সাধ ছিল যে মদিনাতে যাই (রে ভাই) মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।। (তোমার) পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি লইয়া যাও রে এই নিরাশের, দীর্ঘ নিশাসখানি। নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।। মা ফাতেমা হজরত আলীর মাজার যথায় আছে আমার সালাম দিয়া আইস তাদের পায়ের কাছে (রে ভাই!) কাবায় মোনাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।
না-ই পরিলে নোটন-খোঁপায় ঝুমকো জবার ফুল
বাণী
না-ই পরিলে নোটন-খোঁপায় ঝুমকো জবার ফুল (রানী) এমনি এসো (ওগো) লুটিয়ে পিঠে আকুল এলোচুল।। সজ্জা-বিহীন লজ্জা নিয়ে এমনি তুমি এসো প্রিয়ে গোলাপ ফুলের রঙ মাখাতে হয় যদি হোক ভুল।। গৌর দেহে নাই জড়ালে গৌরী চাঁপার শাড়ি ওগা ভূষণ পরে না-ই বা দিলে রূপের সাথে আড়ি। যেমন আছ তেমনি এসো নয়ন তুলে একটু হেসো সেই খুশিতে উঠবে দুলে আমার হৃদয় কুল।।
নতুন খেজুর রস এনেছি মেটে কলস ভ'রে
বাণী
নতুন খেজুর রস এনেছি মেটে কলস ভ'রে ভিন গাঁ হতে এনে গো রস-পিয়াসি ও আমার রস-পিয়াসি রসিক জনের তরে।। মিঠে রোদে শীতের দিনে তরুণ-বঁধূ লও গো কিনে ফাগুন-হাওয়া বইবে প্রাণে, ওগো হালকা নেশার ঘোরে।। মলিন মুখে দিয়ে দেখ নলিন খেজুর-গুড় বাহির-ভিতর হবে তাহার মিষ্টিতে ভরপুর ওগো মিষ্টিতে ভরপুর। মোর তনুর চেয়ে অনেক বেশি মধুর এ রস ও বিদেশি, রস না পিয়েও ঝিমিয়ো না গো নেশায় অমন ক'রে।।
মাগো চিন্ময়ী রূপ ধরে আয়
বাণী
মাগো চিন্ময়ী রূপ ধ’রে আয়। মৃন্ময়ী রূপ তোর পূজি শ্রী দুর্গা তাই দুর্গতি কাটিল না হায়।। যে মহা-শক্তির হয় না বিসর্জন অন্তরে বাহিরে প্রকাশ যার অনুখন মন্দিরে দুর্গে রহে না যে বন্দী সেই দুর্গারে দেশ চায়।। আমাদের দ্বিভুজে দশভুজা-শক্তি দে পরম ব্রহ্মময়ী। শক্তিপূজার ফল ভক্তি কি পাব শুধু হব না কি বিশ্বজয়ী? এই পূজা-বিলাস সংহার কর্ যদি, পুত্র শক্তি নাহি পায়।।