বাণী

কোন্ অজানা জনে দিব প্রাণ মোর।
নেবে আমার মালা সে-কোন কিশোর।।
কাহার লাগি’ একেলা জাগি
কোথা সে আমার প্রেম-অনুরাগী,
কোন্ কাননে রয় সে বনমালী চোর।।
পরি’ বধূর সাজ ভুলিয়া কুল লাজ
বৃথা আছি ব’সে কোথা হৃদয়-রাজ,
মম যৌবন-নিশি জেগে হল ভোর।।

বাণী

বনের হরিণ বনের হরিণ ওরে কপট চোর।
কেমন ক’রে করলি চুরি প্রিয়ার আঁখি মোর।।
	লায়লীরে তুই দেখ্‌লি কখন
	কর্‌লি বদল তোদের নয়ন,
ওরে বন হয়েছে স্বর্গ আমার হেরি নয়ন তোর।।

নাটকঃ ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

রবে না এ বৈকালি ঝড় সন্ধ্যায়।
বহিবে ঝিরিঝিরি চৈতালি বায়॥
দুপুরে যে ধরেছিল দীপক তান
বেলাশেষে গাহিবে সে মুলতানে গান,
কাঁদিবে সে পূরবীত গোধূলি-বেলায়॥
নৌবতে বাজিবে গো ভীম-পলাশী,
উদাস পিলুর সুরে ঝুরিবে বাঁশি,
বাজিবে নূপুর হয়ে তটিনী ও-পায়॥

বাণী

ডাকতে তোমায় পারি যদি আড়াল থাকতে পারবে না
এখন আমি ডাকি তোমায় তখন তুমি ছাড়বে না।।
	যদি দেখা না পাই কভু —
	সে দোষ তোমার নহে প্রভু
সে সাধনায় আমারি হার জানি তুমি ছাড়বে না।।
বহু লোকের চিন্তাতে মোর বহু দিকে মন যে ধায়,
জানি জানি, অভিমানী পাইনে আজ তাই তোমায়।
	বিশ্ব, ভুবন ভুলে যেদিন
	তোমার ধ্যানে হব বিলীন,
সেদিন আমার বক্ষ হতে চরণ তোমার কাড়বে না।।

বাণী

কাবেরী নদী-জলে কে গো বালিকা
আনমনে ভাসাও চম্পা-শেফালিকা।।
প্রভাত-সিনানে আসি আলসে
কঙ্কন-তাল হানো কলসে
খেলে সমীরণ ল’য়ে কবরীর মালিকা।।
দিগন্তে অনুরাগ নবারুণ জাগে
তব জল ঢল ঢল করুণা মাগে।
ঝিলাম, রেবা নদী তীরে,
মেঘদূত বুঝি খুঁজে ফিরে
তোমারেই তন্বী শ্যামা কর্ণাটিকা।।

বাণী

কৃষ্ণা নিশীথ নাচে ঝিল্লির নূপুর বাজে।
রিমিঝিমি রিমিঝিমি মৃদু আওয়াজে।।
আঁধারের চাঁচর চিকুর খুলিয়া
আপন মনে নাচে হেলিয়া দুলিয়া,
মুঠি মুঠি হিম-কণা তারা-ফুল তুলিয়া
ছুঁড়ে ফেলে ধরণী মাঝে।।
তার	মণি-হার খুলে পড়ে উল্কা-মানিক,
তার	নাচের নেশায় ঝিমায় দশ্‌দিক।
	আধো-রাতে আমি শুনি স্বপনে
তার	গুঞ্জন-গীত কানে-কথা গোপনে,
	কালো-রূপের শিখা, ওকি শ্যামা বালিকা
	নাচে নাচে জাগাইতে নটরাজে।।