গোলাপ ফুলের কাঁটা আছে সে গোলাব শাখায়
বাণী
গোলাপ ফুলের কাঁটা আছে সে গোলাব শাখায়, এনছি ছিঁড়ে তায় রাতুল পরাতে তোমায় খোঁপায়। কি হবে জানিয়া গোলাব কাঁদিল কি না; হৃদয় ছিঁড়েছি যাহার, বুঝিবে না গো সে বিনা। ভুল ভাঙায়ো না আর সাকি, ঢালো শারাব-পিয়ালা। মতলব কহিব পিছে, নেশা ধরুক চোখে বালা।। জানি আমি জানে বুলবুল কেন দলিয়া চলি ফুল, ভালোবাসি যারে যতই, তারে ততই হানি জ্বালা।। তিক্ত নহে এ শারাব বিফল মোর জীবনের চেয়ে, শোনায়ো না নীতি-কথা, শোনাও খুশির গজল গেয়ে; টুটিয়া আসিবে নেশা, ঢালো শারাব-পিয়ালা।।
শান্ত হও শিব বিরহ-বিহ্বল
বাণী
শান্ত হও, শিব, বিরহ-বিহ্বল চন্দ্রলেখায় বাঁধো জটাজুট পিঙ্গল।। ত্রি-বেদ যাহার দিব্য ত্রিনয়ন শুদ্ধ-জ্ঞান যা’র অঙ্গ-ভূষণ, সেই ধ্যানী শম্ভু — কেন শোক-উতল।। হে লীলা-সুন্দর, কোন্ লীলা লাগি’, কাঁদিয়া বেড়াও হ’য়ে বিরহী-বিবাগী। হে তরুণ যোগী, মরি ভয়ে ভয়ে কেন এ মায়ার খেলা মায়াতীত হ’য়ে, লয় হবে সৃষ্টি — তুমি হলে চঞ্চল।।
আমার মানস-বনে ফুটেছে রে
বাণী
আমার মানস-বনে ফুটেছে রে শ্যামা-লতার মঞ্জরি। সেই মঞ্জু-বনে ফির্ছে রে তাই ভক্তি-ভ্রমর গুঞ্জরি।। সেথা আনন্দে দেয় করতালি প্রেমের কিশোর বনমালী, সেই লতামূলে শিবের জটার গঙ্গা ঝরে ঝর্ঝরি।। কোটি তরু শাখা মেলি’ এই সে-লতার স্পর্শ চায়, শিরে ধ’রে ধন্য হ’তে এই শ্যামারই শ্যাম শোভায়। এই লতারই ফুল-সুবাসে কোটি চন্দ্র সূর্য আসে১ নীল আকাশে, এই লতার ছায়ায় প্রাণ জুড়াতে ত্রিলোক আছে প্রাণ ধরি’।।
১. হাসে
আমার কালিবাঞ্ছা কল্পতরুর ছায়াতলে আয় রে
বাণী
আমার কালিবাঞ্ছা কল্পতরুর ছায়াতলে আয় রে, এই তরুতলে যে যাহা চায় তখনি তা পায় রে॥ তুই চতুর্বর্গ ফল কুড়াবি যোগ পাবি, ভোগ পাবি এমন কল্পতরু থাকতে - কেন মরিস্ নিরাশায় রে॥ দস্যু ছেলের আবদারে সে সাজে ডাকাত কালির বেশে, কত রামপ্রসাদের কন্যা হয়ে বেড়া বেঁধে যায় রে। ওরে পুত্র-কন্যা বিভব-রতন, চেয়ে নে যার ইচ্ছা যেমন, ওরে আমার এ মন থাকে যেন বাঞ্ছাময়ীর পায় রে॥ সে আর কিছু না চায় চেয়ে চেয়ে বাসনা তার শেষ হল না হায়! এবার খালি হাতে তালি দিয়ে (আমি) চাইব কালিকায় রে॥
এখনো মেটেনি আশা এখনো মেটেনি সাধ
বাণী
এখনো মেটেনি আশা এখনো মেটেনি সাধ। এখনো নয়ন মানে নাই তার চাহনির অপরাধ।। আজো ঢেউগুলি নীল সায়রের কোলে জল-তরঙ্গে ঝঙ্কার তোলে পিয়াসি চাতক আজো চেয়ে ফেরে বরষার পরসাদ।। কবে ফুটছিল রূপের কুসুম বনানীর লতা-গাছে, আজো গৌরী-চাঁপার রঙটুকু তার মরমে লাগিয়া আছে। চ'লে গেছে চাঁদ আলো আবছায় দাগ ফেলে হিয়া-আয়নার গায় থেমেছে কানুর বাঁশরি থামেনি যমুনার কলনাদ।। ঢাল পিয়ালে লাল সিরাজী নিত্য দোদুল তালে তালে আঁকবো বুকে প্রীতির ব্যথা রঙ্গিন নেশায় রঙ্গিন জালে।। মত্ত হবো চিত্ত হারা বেদনা ভরা বদমেজাজি করলে পাগল ব্যর্থ আশায় করলে প্রেমরে দাগাবাজি।। রঙ্গিন বঁধু তুমি শুধু, তুমি শুধু সত্যি হবে রঙ্গিন নেশায় রঙ্গিন পথে তুমি শুধু সাথী হবে।। শুল্ক তালু কণ্ঠ আমার দে রে আমার রুগ্ন গালে দে রে সাকি দে রে ঢেলে নিত্য দোদুল তালে তালে।।