তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত
বাণী
তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত। যত চাহি তত কাঁদি, আমার মেটে না হসরত।। কোথায় আরব কোথায় এ হিন্দ্ নয়নে মোর নাই তবু নিন্দ প্রাণে শুধু জাগে (তোমার) মদিনার ঐ পথ।। কে বলে তুমি গেছ চলে হাজার বছর আগে আছ লুকিয়ে তুমি প্রিয়তম আমার অনুরাগে। মোর অন্তরের হেরা গুহায় আজো তোমার ডাক শোনা যায় জাগে আমার মনের কাবা ঘরে তোমারি সুরত — হজরত তোমারি সুরত।। যারা দোজখ হতে ত্রাণের তরে তোমায় ভালোবাসে আমার এ প্রেম দেখে তারা কেউ কাঁদে কেউ হাসে। তুমি জান হে মোর স্বামী, শাফায়াৎ চাহি না আমি আমি শুধু তোমায় চাহি তোমার মুহব্বত হজরত তোমার মুহব্বত।।
এই দেহেরই রঙমহলায় খেলিছেন
বাণী
এই দেহেরই রঙমহলায় খেলিছেন লীলা-বিহারী। মিথ্যা মায়া নয় এ কায়া কায়ায় হেরি ছায়া তাঁরি।। রূপের রসিক রূপে রূপে খেলে বেড়ায় চুপে চুপে, মনের বনে বাজায় বাঁশি মন-উদাসী বন-চারী।। তার খেলা-ঘর তোর এ দেহ সে ত নহে অন্য কেহ সে যে রে তুই, — তবু মোহ ঘুচল না তোর হায় পূজারি।। খুঁজিস্ তারে ঠাকুর-পূজায় উপাসনায় নামাজ রোজায়, চাল কলা আর সিন্নি দিয়ে ধর্বি তারে হায় শিকারি! পালিয়ে বেড়ায় মন-আঙিনায় সে যে শিশু প্রেম-ভিখারি।।
উঠেছে কি চাঁদ সাঁঝ গগনে
বাণী
উঠেছে কি চাঁদ সাঁঝ গগনে আজিকে আমার বিদায় লগনে।। জানালা পাশে চাঁপার শাখে ‘বউ কথা কও’ পাখি কি ডাকে? ফুটেছে কি ফুল মালতী বকুল — আমার সাধের কুসুম বনে সাঁঝ গগনে।। তুলসী তলায় জ্বলেছে কি দীপ পরেছে আকাশ তারকার টিপ? হারিয়ে যাওয়া বঁধূ অবেলায় এলো কি ফিরে দেখিতে আমায়, ঝুরিছে বাঁশি পিলু বারোয়াঁয় — কেন গো আমার যাবার ক্ষণে।।
ফুরাবে না এই মালা গাঁথা মোর
বাণী
ফুরাবে না এই মালা গাঁথা মোর ফুরাবে না এই ফুল এই হাসি ঐ চাঁপার সুরভি ভুল নহে, ভুল নহে, নহে ভুল॥ জানি জানি মোর জীবনের সঞ্চয়, রসঘন-মাধুরীতে হবে মধুময় তবে কেন আমার বকুল-কুঞ্জে বাঁশরি হইল আকুল॥ কৃষ্ণা তিথিতে নাই যদি হাসে চাঁদ, ফুরাবে না মোর পূর্ণ রসের সাধ যমুনার ঢেউ থাকুক আমার (আমি) নাই দেখিলাম কূল॥
চলচ্চিত্রঃ ‘দিকশূল’