বাণী

আয় ঘুম আয় ঘুম আয় মোর গোপাল ঘুমায়
বহু রাত্রি হল আর জাগাসনে মায়।।
কোলে লয়ে তোরে ধীরে ধীরে দোলাবো
ঘুম-পাড়ানিয়া গান তোরে শোনাবো
গায়ে হাত বুলাবো পাঙ্খা ঢুলাবো
মন ভুলাবো কত রূপকথায়।।
তোরে	কে বলে চঞ্চল একচোখো সে
মোর	শান্ত গোপাল থাকে গোষ্ঠে ব’সে
তোরে	কে বলে ঝড় তোলে থির যমুনায়
সে যেদিন রাত ঘোরে তার মা’র পায় পায়।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

কেন রঙীন নেশায় মোরে রাঙালে
কেন সহজ ছন্দে যতি ভাঙালে।।
শীর্ণা তনুর মোর তটিনীতে কেন
আনিলে ফেনিল জল-উচ্ছ্বাস হেন,
পাতাল-তলের ক্ষুধা মাতাল এ যৌবন —
		মদির-পরশে কেন জাগালে।।

নাটক : ‘আলেয়া’ (মাদালসার গান)

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

বিরহের গুলবাগে মোর ভুল ক'রে আজ ফুটলো কি বকুল।
অবেলায় কুঞ্জবীথি মুঞ্জরিতে এলে কি বুলবুল।
এলে কি পথ ভুলে মোর আঁধার রাতে ঘুম-ভাঙানো চাঁদ,
অপরাধ ভুলেছ কি, ভেঙেছে কি অভিমানের বাঁধ।
মরণ আজ মধুর হলো পেয়ে তব চরণ রাতুল।।
ওগো প্রদীপ নিভে আসে ইহারি ক্ষীণ আলোকে,
দেখে নিই শেষ দেখা যত সাধ আছে চোখে।
হে চির-সুন্দর মোর, বিদায়-সন্ধ্যা মম
রাঙালে এ কি রঙে উদয় ঊষার সম
ঝ'রে পড়ুক তব পায়ে আমার এই জীবন-মুকুল।।

রাগ ও তাল

রাগঃ পাহাড়ি-কানাড়া মিশ্র

তালঃ রূপক

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

প্রদীপ কি জ্বলিল আবার।
দিন কি গো শেষ হল মোর নিরাশার।।
বিরহ দাহন কি গো ফুরালো
বৈকালি বায়ে তনু জুড়ালো,
উঠিবে কি চাঁদ আর রবে না আঁধার।।
সে কি গো রাধারে ত্যজিয়া ব্রজপথে
আরোহিবে মথুরার রথে,
যমুনায় আবার কি বহিবে জোয়ার।।

রাগ ও তাল

রাগঃ প্রদীপকী

তালঃ ত্রিতাল

বাণী

কোন্ বন হ’তে করেছ চুরি হরিণ-আঁখি (গো ঐ)।
যেন আননে বেঁধেছে বাসা কানন-পাখি (ভীরু)।।
চুরি করা ঐ নয়ন কি তাই ভয় এত চোখে।
নীল সাগর বলে, ডাগর ও-চোখ আমারি নাকি।।
চিরকালের বিজয়িনী ও-উজল নয়নে।
(তুমি) দু’ধারী তলোয়ার রেখেছ জহর মাখি’।।
পুড়িল মদন তোমার ঐ চোখের দাহে।
সে গেছে তোমার ঐ চোখে তার ফুল-বাণ রাখি’।।

রাগ ও তাল

রাগঃ জংলা

তালঃ কাহার্‌বা

বাণী

সখি, সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল আবার মাধবীলতা।
মাধবী চাঁদ উঠেছে আকাশে, আমার মাধব কোথা।
রাধা আজ নিরাধারা সখি রাধামাধব কোথা।
মধুপ গুঞ্জরে মালতী-বিতানে, নূপুর-গুঞ্জরণ নাহি শুনি কানে।
মোর মনো-মধুবনে মধুপ কানু কই –
আনন্দ-রাস নাই – রাসবিহারী নাই, আমি আর রাধা নই।
সখি পূর্ণ রাসে আমি জনম লভিয়া পুষ্প আহরণ তরে,
কৃষ্ণ-পূজার লাগি পুষ্প আহরণ তরে ধেয়েছিনু বনে অনুরাগ ভরে,
বৃন্দাবনচারী কৃষ্ণে না পেয়ে, রাধা কাঁদে ব্রজ-পথে ধেয়ে ধেয়ে –
‘প্রাণবল্লভ আমার কই গো, সখি আমায় বলে দে গো।’
রাধা হ’ল আজি অশ্রুর ধারা
কৃষ্ঞ-আনন্দিনী রাধা বিনোদিনী কবে হবে শ্রীকৃষ্ণ-হারা।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ ফের্‌তা

স্বরলিপি