বাণী

রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল বনমালী ব্রজের রাখাল।
কৃষ্ণ গোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল
কভু শ্যাম রাঘব, কভু শ্যাম মাধব, কভু সে কেশব যাদব ভূপাল॥
যমুনা বিহারী মুরলীধারী, বুন্দাবনে সখা গোপী মনহারী,
কভু মথুরাপতি কভু পার্থসারথি কভু ব্রজে যশোদা আনন্দ দুলাল॥
দোলে গলে তাহার মন বন ফুলহার,
বাজে চরণে নূপুর গ্রহ তারকার কোটি গ্রহ তারকার।
কালিয়-দমন কভু, করাল মুরারি কাননচারী শিখী পাখা ধারী;
শ্যামল সুন্দর গিরিধারীলাল।
কৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল॥

বাণী

কে এলে মোর চিরচেনা অতিথি দ্বারে মম।
ফুলের বুকে মধুর মত পরাগে সুবাস সম।।
	বর্ষা-শেষে চাঁদের মতন
	উদয় তোমার নীরব গোপন,
জোছনা-ধারায় নিখিল ভুবন ছাইয়া অনুপম।।
	হৃদয় বলে, চিনি চিনি
	আঁখি বলে দেখিনি,
তায়, মন বলে, প্রিয়তম।।

বাণী

ওমা	তোর চরণে কি ফুল দিলে পূজা হবে বল।
	রক্ত-জবা অঞ্জলি মোর হ’লো যে বিফল।।
		বিশ্বে যাহা আছে মাগো
		তাতেও পূজা হবে নাকো,
	তাই তো দুঃখে নয়নে মোর শুধুই আসে জল।।
	মনের কোণে অর্ঘ্য রচি’ আঁধার ঘরে একা,
	ডাকলে তোরে সকল ভুলে দিবি না তুই দেখা।
		তখন কি মা দুঃখ-হরা
		শেষ হবে না অশ্রুধারা,
	কি ফুলে তোর পূজা হবে বল — কেন করিস্ ছল।।

বাণী

নিশি না পোহাতে যেয়ো না যেয়ো না দীপ নিভিতে দাও।
নিবু-নিবু প্রদীপ নিবুক হে পথিক ক্ষণিক থাকিয়া যাও॥
ঢুলিয়া পড়িতে দাও ঘুমে অলস আঁখি ক্লান্ত করুণ কায়,
সুদূর নহবতে বাঁশরি বাজিতে দাও উদাস যোগিয়ায়।
	হে প্রিয় প্রভাতে ও-রাঙা পায়
	বকুল ঝরিয়া মরিতে চায়,
তব হাসির আভায় তরুণ অরুণ প্রায় দিক রাঙিয়ে যাও॥

বাণী

মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা
তুমি বাদ্‌শারও বাদ্‌শাহ্ কম্‌লিওয়ালা।।
পাপে-তাপে পূর্ণ আঁধার দুনিয়া
হ’ল পুণ্য বেহেশ্‌তী নূরে উজালা।।
গুনাহ্‌গার উম্মত লাগি’ তব
আজো চয়ন্‌ নাহি, কাঁদিছ নিরালা।।
কিয়ামতে পিয়াসি উম্মত লাগি’
দাঁড়ায়ে রবে ল’য়ে তহুরার পিয়ালা।।
জ্বলিবে রোজ হাশরে দ্বাদশ রবি
কাঁদিবে নফ্‌সি ব’লে সকল নবী
য়্যা উম্মতী য়্যা উম্মতী, একেলা তুমি
কাঁদিবে খোদার পাক আরশ চুমি’ —
পাপী উম্মত ত্রাণ তব জপমালা ধ্যান
তব গুণ গাহিল খোদ্ আল্লাহতা’লা।।

বাণী

দোহাই তোদের! এবার তোরা সত্যি করে সত্য বল্।
ঢের দেখালি ঢাক ঢাক গুড় গুড় ঢের মিথ্যা ছল।।
পেটে এক আর মুখে আরেক — এই যে তোদের ভন্ডামি,
এতেই তোরা লোক হাসালি, বিশ্বে হলি কম্‌-দামি।
নিজের কাছেও ক্ষুদ্র হলি আপন ফাঁকির আফসোসে,
বাইরে ফাঁকা পাঁয়তারা তাই, নাই তলোয়ার খাপ-কোষে।
তাই হলি সব সেরেফ আজ কাপুরুষ আর ফেরেব-বাজ
সত্য কথা বলতে ডরাস তোরাই আবার করবি কাজ —
				ফোঁপরা ঢেঁকির নেইক লাজ।
ইলশেগুড়ি বৃষ্টি দেখেই ঘর ছুটিস্‌ সব রাম-ছাগল!
যুক্তি তোদের খুব বুঝেছি, দুধকে দুধ আর জলকে জল।।