আধখানা চাঁদ হাসিছে আকাশে
বাণী
আধখানা চাঁদ হাসিছে আকাশে আধখানা চাঁদ নিচে প্রিয়া তব মুখে ঝলকিছে গগনে জ্বলিছে অগণন তারা দু’টি তারা ধরণীতে প্রিয়া তব চোখে চমকিছে।। তড়িৎ-লতার ছিঁড়িয়া আধেকখানি জড়িত তোমার জরীণ ফিতায় রানী! অঝোরে ঝরিছে নীল নভে বারি দুইটি বিন্দু তারি প্রিয়া তব আঁখি বরষিছে।। মধুর কণ্ঠে বিহগ বিলাপ গাহে, গান ভুলি’ তা’রা তব অঙ্গনে চাহে, তাহারও অধিক সুমধুর সুর তব চুড়ি কঙ্কনে ঝনকিছে।।
এসো মাধব এসে পিও মধু
বাণী
এসো মাধব এসে পিও মধু। এসো মাধবী লতার কুঞ্জ বিতানে (মধু) মাধবী রাতে এসো বঁধু।। এসো মৃদুল মধুর পা ফেলে এসো ঝুমুর ঝুমুর ঘুমুর বাজায়ে শ্রবণে অমিয়া মধু ঢেলে, এসো বাজায়ে বাঁশরি যে সুর-লহরী শুনে কুল ভোলে ব্রজবধূ।। এসো নিবিড় নীরদ বরণ শ্যাম তমাল কাননে কাজল বুলায়ে দুলায়ে চাঁচর চিকুর দাম, এসো বামে হেলায়ে শিখী-পাখা ত্রিভঙ্গ ঠামে এসো বঁধু।। এসো নারায়ণ এসো অবতার পার্থসারথি বেশে এসো পাপ কুরুক্ষেত্রে আরবার, তুমি মহাভারতের ভাগ্যবিধাতা গীতি উদ্গাতা নহ শুধু।।
নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী
বাণী
নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী মেয়ে খেলে মদিনায় দেহের জ্যোতিতে তার জাফরানি পিরহান ম্লান হয়ে যায়॥ মুখে তার নবীজীর মুখেরি আদল আঁখি দুটি করুণায় সদা ঢল ঢল, মেষ শাবকেরে ধরি মধুর মিনতি করি কলেমা শোনায়॥ জুম্মার মস্জিদে কোন্ সে ভক্ত পড়ে কোরান আয়াত, অমনি সে খেলা ভুলি কচি দুটি হাত তুলে করে মোনাজাত। নীল দরিয়ার পানি নয়নে বহে ‘উম্মতে কর ত্রাণ’ কাঁদিয়া কহে হজরত কোলে তুলে ‘বেহেশ্ত্ রানী তুমি’ বলে ফাতেমায়॥
শ্যামে হারায়েছি বলে কাঁদি না বিশাখা
বাণী
শ্যামে হারায়েছি বলে কাঁদি না বিশাখা হারায়েছি শ্যামের হৃদয় আমি তারি তরে কাঁদি গো সেই নিদয়ের তরে নয় তার হৃদয়ের তরে কাঁদি গো হারায়েছি শ্যামের হৃদয়। যে হৃদয় ছিল একা গোপিকার রাধিকার কুবুজা করেছে তারে জয়, সখি গো কুবুজা তারে কু বুঝায়েছে যে রাধা ছাড়া জানত না সই কুবুজা তারে কু বুঝায়েছে কুবুজা করেছে তারে জয়। কি হবে মথুরা গিয়া, হেরি সে হৃদয়হীন পাষাণ দেবতায় সে কিছুই দেবে না, দেবতাই বটে গো সে দেবতাই বটে গো পাষাণ খুঁজে না রাধা তার প্রিয় আনন্দঘন শ্যামরায় তোরা যেতে চাস যা লো — ঠাকুর দেখিতে তোরা যেতে চাস যা লো, সখি গো ধরম-করম মম তনু-মন-যৌবন সঁপিনু চরণে যার সে পর-পুরুষ, হ’ল আজি অপরার পুরুষ স্বভাব ভ্রমবার। সে ভ্রমরাই সমতুল ফুলে ফুলে ভ্রমে সে ভ্রমরাই সমতুল তারে, দেখলে ভ্রমে জাতিকুল, ভ্রমরাই সমতুল পুরুষ স্বভাব ভ্রমরার যা’র হরি ছাড়া বোধ নাই প্রবোধ দিস্নে তায়, সজনী সবারই পোহাবে নিশি, পোহাবে না রাধারই এ আঁধার রজনী॥
যাও হেলে দুলে এলোচুলে কে গো বিদেশিনী
বাণী
পুরুষ : যাও হেলে দুলে এলোচুলে কে গো বিদেশিনী কাহার আশে কাহার অনুরাগিনী। স্ত্রী : আমি কনক চাঁপার দেশের মেয়ে এনু ঊষার রঙের গান গেয়ে আমি মল্লিকা গো পল্লীবাসিনী। পুরুষ : চিনি চিনি ওই চুড়ি কাঁকনের রিনিকি রিনি তুমি ভোর বেলা দাও স্বপনে দেখা। স্ত্রী : তোমার রঙে কবি আঁক আমারি ছবি তুমি দেবতা রবি আমি তব পূজারিণী। পুরুষ : এসো ধরণীর দুলালী আলোর দেশে যথা তারার সাথে চাঁদ গোপনে মেশে স্ত্রী : আনো আলোক তরী আমি যাই গো ভেসে দ্বৈত : চলো যাই ধরণী ধূলির ঊর্ধে পুরুষ : যথা বয় অনন্ত স্ত্রী : প্রেম মন্দারিণী পুরুষ : যথা বয় অনন্ত দ্বৈত : প্রেম মন্দারিণী॥