বাণী

ও কে বিকাল বেলা ব’সে নিরালা বাঁধিছে কেশ।
হেরি’ আর্শিতে নিজেরই চারু-মুখ (চোখে) জাগে আবেশ।।
বসনের শাসন নাই অঙ্গে তাহার
উথ্‌লে পড়ে মুক্ত-দেহে যৌবন-জোয়ার,
খুলে’ খুলে’ পড়ে কেশের কাঁটা বেণীর লেশ।।
আঙুলগুলি নাচের ভঙ্গিতে,
খেলে বেড়ায় বেণীর বিনুনিতে।
কভু বাঁকায় ভুরু কভু বাঁকায় গ্রীবা
ঠিক্‌রে পড়ে আয়নায় রূপের বিভা,
জাগে সহসা গালে তা’র সিঁদুর-ডিবার রঙের রেশ।।

বাণী

এসো	মা ভারত-জননী আবার জগৎ-তারিণী সাজে।
	রাজরানী মা’র ভিখারিনী বেশ দেখে প্রাণে বড় বাজে॥
		শিশু-জগতেরে মায়ের মতন,
		তুমি মা প্রথম করিলে পালন,
আজ	মাগো তোরই সন্তানগণ কাঁদিছে দৈন্য-লাজে॥
		আঁধার বিশ্বে তুমি কল্যাণী
		জ্বালিলে প্রথম জ্ঞান-দীপ আনি;
	হইলে বিশ্ব-নন্দিতা রানী নিখিল নর-সমাজে॥
		দেখা মা পুন সে অতীত মহিমা,
		মুছে দে ভীরুতা গ্লানির কালিমা,
	রাঙায়ে আবার দশদিক-সীমা দাঁড়া মা বিশ্ব-মাঝে॥

বাণী

আ’ মেরে সঙ্গ আ, মঙ্গল গা হিল্‌মিল্‌কে এয় বনমালী।
আরমা ফের পুরে হো জাঁয়ে সারে দিল্‌কে এয় বনমালী॥
মুঝ্‌কো জাগানেওয়ালা, হো, জগ্‌মে তেরা উজালা
তু মুঝ্‌কো ধূল সমঝ্‌কে, লে লে চরণ মে আপ্‌নে
তুনে দিয়ে জ্বালায়ে বিরাণ মন্‌জিল্‌ কে এয় বনমালী॥
তু হামকো খাক্‌ ছানায়া, (আউর) ব্যাকুল আপনা বানায়া
কহিঁ আউ না কহিঁ জাউ, আপনে আগে তুমকো পাউঁ
খো জায়েঁ যুঁহি মিট্টি মে হাম মিলকে এয় বনমালী॥

বাণী

আমার কালো মেয়ে পালিয়ে বেড়ায় কে দেবে তায় ধ'রে
তারে	যেই ধরেছি মনে করি অমনি সে যায় স'রে।।
		বনে ফাকেঁ দেখা দিয়ে
		চঞ্চলা মোর যায় পালিয়ে,
দেখি	ফুল হয়ে মা'র নূপুরগুলি পথে আছে ঝ'রে।।
তার	কণ্ঠহারের মুক্তাগুলি আকাশ-আঙিনাতে
	তারা হয়ে ছড়িয়ে আছে দেখি আধেক রাতে।
		কোন মায়াতে মহামায়ায়
		রাখবো বেঁধে আমার হিয়ায়
	কাঁদলে যদি হয় দয়া তার তাই কাদিঁ প্রাণ ভ'রে।।

বাণী

আয় আয় যুবতী তম্বী।
জ্বালো জ্বালো লালসার বহ্নি।।
হান হান হান নয়ন-বাণ
তনুর পেয়ালা ভরি মদিরা আন।।

নাটক : ‘হরপার্বতী’

বাণী

ঘন গগন ঘিরিল ঘন ঘোর।
শাওন-ধারা ঘন-শ্যাম-বরণ চরণ লাগি’ ঝর ঝরে অঝোর্‌।।
		কুহু কেকা গাছে চম্পা শাখে (গো)
		বিরহী বেণু ডাকে প্রিয়তমাকে (গো),
মেঘ-মাঝে খুঁজে ফিরে সৌদামিনী কোথা লুকালো প্রিয়-ঘন চিতচোর।।
		রহে না মন ঘরে অন্ধকারে
		অভিসারে যেতে চায় বন-‘পারে,
ঝুরে মৌন ব্যথায় কাননে কেতকী কাঁদে চিত-চাতকী কোথা শ্যাম কিশোর।।

১. কাহাকে