দুপুর বেলাতে একলা পথে
বাণী
দুপুর বেলাতে একলা পথে, ও কে হেলিয়া দুলিয়া চলিয়া যায়। ক্ষ্যাপা হাওয়াতে উড়িছে আঁচলা, খোঁপা খুলিয়া খুলিয়া খুলিয়া যায়।। ছল ক’রে জল যায় সে আনিতে দেখিয়া গুরুজন ঘোমটা দিতে, ও সে ভুলিয়া ভুলিয়া ভুলিয়া ভুলিয়া যায়।। কাহার গলার মালার তরে আপন মনে আঁচল ভ’রে, ফুল তুলিয়া তুলিয়া তুলিয়া তুলিয়া যায়।। কার বিরহে পরান দহে কিসের নেশায় মদির মোহে, ও সে ঢুলিয়া ঢুলিয়া ঢুলিয়া ঢুলিয়া যায়।।
চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে
বাণী
চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে গাঁথিলে মালা। সয়েছি বুকে নিবিড় সুখে তোমারি হাতের সূচিব জ্বালা।। আজিও জাগে লোহিত রাগে রঙিন গোলাবে তাহারি ব্যথা তব ও গলে দুলিব ব’লে দিয়েছি কুলে কলঙ্ক-কালা ।। যদি ও গলে নেবে না তুলে কেন বধিলে ফুলের পরান অভিমানে হায় মালা যে শুকায় ঝ’রে ঝ’রে যায় লাজে নিরালা।।
নাটকঃ‘আলেয়া’
ফুলে পুছিনু বল বল ওরে ফুল
বাণী
ফুলে পুছিনু, বল, বল ওরে ফুল! কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল? 'যার রূপে উজালা দুনিয়া, কহে গুল, দিল সেই মোরে এই রূপ এই খোশবু। আল্লাহু আল্লাহু।। 'ওরে কোকিল, কে তোরে দিল এ সুর, কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর? কহে কোকিল পাপিয়া, আল্লাহ গফুর, তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ' কুহু কুহু — আল্লাহু আল্লাহু।। 'ওরে রবি-শশী, ওরে গ্রহ-তারা কোথা পেলি এ রওশনী জ্যোতি ধারা?' কহে, আমরা তাহারি রূপের ইশারা মুসা, বেহুঁশ হলো হেরি' যে খুবরু আল্লাহু আল্লাহু।। যারে আউলিয়া আম্বিয়া ধ্যানে না পায় কূল-মখলুক যাঁহার মহিমা গায়, যে নাম নিয়ে এসেছি এইদুনিয়ায়, নাম নিতে নিতে মরি এই আরজু আল্লাহু আল্লাহু।।
এলো ঐ পূর্ণ শশী ফুল-জাগানো
বাণী
এলো ঐ পূর্ণ শশী ফুল-জাগানো বহে বায় বকুল-বনে ঘুম-ভাঙানো।। লাগিল জাফরানি-রঙ শিউলি-ফুলে ফুটিল প্রেমের কুঁড়ি পাপড়ি খুলে, খুশির আজ আমেজ জাগে মন-রাঙানো।। চাঁদিনী ঝিলমিলায় ঝিলের জলে, আবেশে শাপলা ফুলের মৃণাল টলে, জাগে ঢেউ দীঘির বুকে দোল-লাগানো।। এসো আজ স্বপন-কুমার নিরিবিলি খুলিয়া গোপন প্রাণের ঝিলিমিলি, এসো মোর হতাশ প্রাণে ভুল-ভাঙানো।।