বল্লরি-ভুজ-বন্ধন খোলো
বাণী
বল্লরি-ভুজ-বন্ধন খোলো। অভিসার-নিশি অবসান হ’ল।। পান্ডুর চাঁদ হের অস্তাচলে জাগিয়া শ্রান্ত-তনু পড়েছে ঢ’লে, তার মল্লিকা১ মালা ম্লান বক্ষতলে — অভিমান-অবনত আঁখি তোলো।। উতল সমীর আমি নিমেষের২ ভুল, কুসুম ঝরাই কভু৩ ফোটাই মুকুল। আলোকে শুকায় মোর প্রেমের শিশির দিনের বিরহ আমি মিলন নিশির, হে প্রিয়, ভীরু এ স্বপন-বিলাসীর — অকরুণ প্রণয় ভোলো ভোলো।।
১. মিলনের, ২. ক্ষণিকের, ৩. আমি
ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে
বাণী
ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে। আসিলেন রসুলে-খোদা প্রথম যেখানে।। উঠিল যেখানে রণি’, প্রথম তকবির ধ্বনি লভিনু মণির খনি যথায় কোরানে।। যথা হেরা গুহার আঁধারে প্রথম ইসলামের জ্যোতি লভিল জনম, করে অঝোর ধারায় যথা খোদার রহম, ভাসিল নিখিল ভুবন যাহার তুফানে।। লাখো আম্বিয়া আউলিয়া বাদশা ফকির যথা যুগে যুগে আসি’করিল ভিড় তারি ধূলাতে লুটাবো আমি নোয়া’ব শির; নিশিদিন শুনি তাঁরি ডাক আমার পরানে।।
সন্ধ্যা হলো ঘরকে চলো ও ভাই মাঠের চাষি
বাণী
সন্ধ্যা হলো ঘরকে চলো, ও ভাই মাঠের চাষি ভাটিয়ালি সুরে বাজে রাখাল ছেলের বাঁশি।। পিদিম নিয়ে একলা জাগে একলা ঘরের বধূ হৃদয়-পাতে লুকিয়ে রেখে সারা দিনের মধু; পথ চেয়ে সে বসে আছে কাজ হয়েছে বাসি রে তার কাজ হয়েছে বাসি। (যে) মন সারাদিন ছিল পড়ে হালের গরুর পানে, দিনের শেষে ঘরের জরু সেই মনকে টানে সেথা মেটে ঘরের দাওয়ায় লুটায় রে মেটে ঘরের দাওয়ায় লুটায় কালো চোখের হাসি রে ভাই কালো চোখের হাসি। পুবান হাওয়া ঢেউ দিয়ে যায় আউশ ধানের ক্ষেতে, এই ফসলের দেখব স্বপন শুয়ে শুয়ে রেতে; ও ভাই শুয়ে শুয়ে রেতে সকাল বেলা আবার যেন মাঠে ফিরে আসি রে এই মাঠে ফিরে আসি।।
মনে যে মোর মনের ঠাকুর তারেই আমি
বাণী
মনে যে মোর মনের ঠাকুর তারেই আমি পূজা করি, আমার দেহের পঞ্চভূতের পঞ্চপ্রদীপ তুলে ধরি।। ফকির যোগী হয়ে বনে ফিরি না তার অন্বেষণে আমি মনের দুয়ার খুলে দেখি রূপের জোয়ার মরি মরি।। আছেন যিনি ঘিরে আমায় তারে আমি খুঁজব কোথায় সাগরে খুঁজে বেড়াই সাগর বুকে ভাসিয়ে তরী। মন্দিরের ঐ বন্ধ খোঁপে ঠাকুর কি রয় পূজার লোভে? পেতে রাখি ভক্তি বেদী আসবে নেমে প্রেমের হরি।।