গঙ্গা সিন্ধু নর্মদা কারেরী যমুনা ঐ
বাণী
গঙ্গা সিন্ধু নর্মদা কারেরী যমুনা ঐ বাহিয়া চলেছে আগের মতন, কই রে আগের মানুষ কই।। মৌনী স্তব্ধ সে হিমালয় তেমনি অটল মহিমময় নাই তার সাথে সেই ধ্যানী ঋষি, আমরাও আর সে জাতি নই।। আছে সে আকাশ ইন্দ্র নাই কৈলাসে সে যোগীন্দ্র নাই অন্নদা-সুত ভিক্ষা চাই কি কহিব এরে কপাল বই।। সেই আগ্রা সে দিল্লী ভাই প’ড়ে আছে, সেই বাদশা নাই নাই কোহিনুর ময়ূর-তখ্ত নাই সে বাহিনী বিশ্বজয়ী। আমরা জানি না, জানে না কেউ কূলে ব’সে কত গণিব ঢেউ দেখিয়াছি কত, দেখিব এও নিঠুর বিধির লীলা কতই।।
যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ
বাণী
যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ আর শ্রীমন্ত তোরে। সেই নাম তুই শিখিয়ে দে মা, ডাকব আমি তেমনি ক’রে।। বেদ-পুরাণে যে নাম শুনি যে নাম জপে ঋষি-মুনি সেই নাম দে, যে নাম নিতে বক্ষ ভাসে অশ্রু-নীরে।। ভয় যদি তোর ভক্তি দিতে, কর মা অসুর দানব মোরে আসবি যখন শাস্তি দিতে, দেখব তোরে নয়ন ভরে।। তোর হাতে মা মরণ হলে ঠাঁই পাব যে তোরই কোলে আঘাত করে ছেলেকে মা কাঁদে যেমন বক্ষে ধরে।।
কোন্ বিদেশের নাইয়া তুমি
বাণী
স্ত্রীঃ কোন্ বিদেশের নাইয়া তুমি আইলা আমার গাঁও কুল-বধূর সিনান ঘাটে বাঁধলে তোমার নাও॥ পুরুষঃ বাণিজ্যেরই লাইগ্যা কন্যা বেড়াই ভেসে স্রোতে (ওগো) তোমার রূপের হাট দেখলাম যাইতে এই পথে। স্ত্রীঃ বুঝি তাই বাঁশের বাঁশি, তাই দিয়ে কি হে বিদেশি অমূল্য এই মনের মানিক, কিনতে তুমি চাও॥ পুরুষঃ তোমায় পাবো বলে আজো শূন্য আমার তরী (রে কন্যা) স্ত্রীঃ অমন করে চাই ও না গো আমি ভয়ে মরি। পুরুষঃ ভয়ে মরার চেয়ে কন্যা ডুবে মরা ভালো স্ত্রীঃ আমার মন ডুবেছে দেখে তোমার নয়ন কাজল কালো (রে বন্ধু) উভয়েঃ নূতন প্রেমের যাত্রী দু’জন ছোট্ট মোদের নাও ওরে গহীন জলের আকুল জোয়ার অকূলে ভাসাও মোদের অকূলে ভাসাও॥
তিমির বিদারী অলখ-বিহারী কৃষ্ণ মুরারি
বাণী
তিমির বিদারী অলখ-বিহারী কৃষ্ণ মুরারি আগত ঐ টুটিল আগল নিখিল পাগল সর্বসহা আজি সর্বজয়ী।। বহিছে উজান অশ্রু-যমুনায় হৃদি-বৃন্দাবনে আনন্দ ডাকে, (ওরে) ‘আয়’, বসুধা যশোদার স্নেহধার উথলায় (ওগো) কাল্-রাখাল নাচে থৈ-তা-থৈ।। বিশ্ব ভরি' ওঠে স্তব নমো নমঃ অরির পুরী-মাঝে এলো অরিন্দম। ঘিরিয়া দ্বার বৃথা জাগে প্রহরী জন বন্ধ কারায় এলো বন্ধ-বিমোচন, ধরি' অজানা পথ আসিল অনাগত জাগিয়া ব্যথাহত ডাকে, মাভৈঃ।।
পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া
বাণী
পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া যাও রে বইয়া এই গরিবের সালামখানি লইয়া।। কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই সারা জনম সাধ ছিল যে মদিনাতে যাই (রে ভাই) মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।। (তোমার) পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি লইয়া যাও রে এই নিরাশের, দীর্ঘ নিশাসখানি। নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।। মা ফাতেমা হজরত আলীর মাজার যথায় আছে আমার সালাম দিয়া আইস তাদের পায়ের কাছে (রে ভাই!) কাবায় মোনাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।