সেদিন অভাব ঘুচবে কি মোর যেদিন তুমি
বাণী
সেদিন অভাব ঘুচবে কি মোর যেদিন তুমি আমার হবে আমার ধ্যানে আমার জ্ঞানে প্রাণ মন মোর ঘিরে রবে।। রইবে তুমি প্রিয়তম আমার দেহে আত্মা-সম জানি না সাধ মিটবে কি-না - তেমন করেও পাব যবে।। পাওয়ার আমার শেষ হবে না পেয়েও তোমায় বক্ষতলে সাগর মাঝে মিশে গিয়েও নদী যেমন ব’য়ে চলে। চাঁদকে দেখে পরান জুড়ায় তবু দেখার সাধ কি ফুরায় মিটেছেল সাধ কি রাধার নিত্য পেয়েও নীল-মাধবে।।
হে গোবিন্দ ও অরবিন্দ চরণে
বাণী
হে গোবিন্দ, ও অরবিন্দ চরণে শরণ দাও হে। বিফল জনম কাটিল কাঁদিয়া, শান্তি নাহি কোথাও হে।। জীবন-প্রভাত কাটিল খেলায়, দুপুর ফুরাল মোহের মেলায়। ডাকিব যে নাথ সন্ধ্যা-বেলায়, ডাকিতে পারিনি তাও হে।। এসেছি দুঃখ-জীর্ণ পথিক মৃত্যু-গহন রাতে। কিছু নাহি প্রভু সম্বল, শুধু জল আছে আঁখি-পাতে।। সন্তান তব বিপথগামী, ফিরিয়া এসেছে হে জীবন-স্বামী। পাপী তাপী তবু সন্তান আমি ধূলা মুছে-কোলে নাও হে।।
বাজিয়ে বাঁশি মনের বনে
বাণী
বাজিয়ে বাঁশি মনের বনে এসো কিশোর বংশীধারী। চূড়ায় আঁধার ময়ূর-পাখা বামে লয়ে রাধাপ্যারী।। আমার আঁধার প্রাণের মাঝে এসো অভিসারের সাজে, নয়ন-জলের যমুনাতে উজান বেয়ে ছুটুক বারি।। এমনি চোখে তোমায় আমি দেখতে যদি না পাই হরি, দেখাও পদ্মপলাশ আঁখি, তোমার প্রেমে অন্ধ করি’। হরি হে, ঘুচাও এবার মায়ার বেড়ী, পরাও তিলক কলঙ্কেরি, শ্যাম রাখি কি কুল রাখি’ ভাব শ্যাম হে আর সইতে নারি।।
আজ উদার আকাশে ছুটির
বাণী
আজ উদার আকাশে ছুটির শঙ্খ-ঘণ্টা বাজায় কে। প্রবাসীর মন উচাটন, শোনে — ‘দীপ জ্বাল্, উলু দে’।। আর মন লাগে নাকো কাজে, শ্রবণের কাছে চুড়ি-কঙ্কণ বাজে। এলোমেলো বায়ে এলো, কবরীর সৌরভ এলো যে।। কোথা আনন্দ-নন্দিনী কার চন্দন বুঝি ঘষে; মন মেতে ওঠে মৌমাছি-সম, নন্দন-মধু রসে। তৃতীয়া চাঁদের রসকলি পরি’ বৈষ্ণবী সেজে এলো বিভাবরী; বাউল-হৃদয়! চল্ রে বাহিরে, হাতে একতারা নে।।