নিশীথ রাতে ডাক্লে আমায়
বাণী
নিশীথ রাতে ডাক্লে আমায়, কে গো তুমি কে? কাঁদিয়ে গেলে আমার মনের বনভূমিকে, কে গো তুমি কে।। তোমার আকুল করুণ স্বরে আজকে তা’রেই মনে পড়ে, এম্নি রাতে হারিয়েছি যে হৃদয়-মণিকে।। দুয়ার খু’লে চেয়ে আছি১ তারার পানে দূরে, আর একটিবার ডাকো ডাকো তেম্নি করুণ সুরে। একটি কথা শুন্ব ব’লে রাত কেটে যায় চোখের জলে, দাও সাড়া দাও, জাগিয়ে তোলো আঁধার পুরীকে।।
১. থাকি
যাবি কে মদিনায় আয়
বাণী
যাবি কে মদিনায় আয় ত্বরা করি'। তোর খেয়া ঘাটে এলো পুণ্য তরী।। আবুবকর, উমর খাত্তাব, উসমান, আলী হায়দর দাঁড়ি এ সোনার তরণীর, পাপী সব নাই নাই আর ডর। এ তরীর কাণ্ডারি আহমদ, পাকা সব মাঝি ও মাল্লা, মাঝিদের মুখে সারিগান শোন ঐ 'লা শরীক আল্লাহ'। পাপ-দরিয়ার তুফানে আর নাহি ডরি।। ঈমানের পারানি কড়ি আছে যার আয় এ সোনার নায় — ধরিয়া দ্বীনের রশি কলেমার জাহাজ-ঘাটায়। ফিরদাউস হ’তে ডাকে হুরী-পরী।।
জ্যোতির্ময়ী মা এসেছে আঁধার আঙিনায়
বাণী
জ্যোতির্ময়ী মা এসেছে আঁধার আঙিনায়। ভুবনবাসী ছেলেমেয়ে আয় রে ছুটে আয়॥ আনন্দ আজ লুট হতেছে কে কুড়াবি আয়, আনন্দিনী দশভূজা দশ হাতে ছড়ায়, মা অভয় দিতে এলো ভয়ের অসুর’ দ’লে পায়॥ বুকের মাঝে টইটম্বুর ভরা নদীর জল, ওরে দুলছে টলমল, ওরে করছে ঝলমল। ঝিলের জলে ফুটল কত রঙের শতদল ছুঁতে মায়ের পদতল। দেব সেনারা বাইচ্ খেলে রে আকাশ গাঙের স্রোতে, সেই আনন্দে যোগ দিবি কে? আয় রে বাহির পথে, আর দেব না যেতে মাকে রাখব ধ’রে পায় মাতৃহারা মা পেলে কি ছাড়তে কভু চায়॥
বেদনার সিন্ধু-মন্থন শেষ হে ইন্দ্রানী
বাণী
বেদনার সিন্ধু-মন্থন শেষ, হে ইন্দ্রানী, জাগো, জাগো করে সুধা-পাত্রখানি।। রোদন-সায়রে ধুয়ে পুষ্পতনু এসো অশ্রুর বরষার ইন্দ্র-ধনু, হের কুলে অনুরাগে জীবন-দেবতা জাগে ধরিবে বলিয়া তব পদ্মপাণি।। তব দুখ-রাত্রির তপস্যা শেষ- এলো শুভ দিন, অতল-তমসা-লক্ষ্মী গো তুমি অমরার এসো এসো পার হ'য়ে ব্যথার পাথার। অশ্রুত অশ্রুর নীরবতা কর দূর কূলে কূলে হাসির তরঙ্গ হানি।।