বাহির দুয়ার মোর বন্ধ হে প্রিয়
বাণী
বাহির দুয়ার মোর বন্ধ হে প্রিয় মনের দুয়ার আছে খোলা, সেই পথে এসো হে মোর চিত-চোর — হে দেবতা পথ ভোলা।। সেথা নাহি কুল লাজ কলঙ্ক ভয়, নাহি গুরুজন গঞ্জনা নিরদয়; তাই গোপন মানস তমাল কুঞ্জে (আমি) বাঁধিয়াছি ঝুলন দোলা।। মোর অন্তরে বহে সদা অন্তঃসলিলা অশ্রু-নদী — সেই যমুনার তীরে কর তুমি লীলা নিরবধি । সে মিলন-মন্দিরে জাগাবে না কেহ, তব দেহে বিলীন হবে মোর দেহ; অনন্ত বাসর-শয্যা রচিয়া অনন্ত মিলনে রহিব উতলা।।
তোর নামেরই কবচ দোলে
বাণী
তোর নামেরই কবচ দোলে দোলে আমার বুকে, হে শঙ্করী। কি ভয় দেখাস্? আমি তোকেও ভয় করি না, ভয় করি না ভয়ঙ্করী।। মৃত্যু প্রলয় তাদের লাগি নয় যারা তোর অনুরাগী। (মাগো) তোর শ্রীচরণ আশ্রয় মোর (দেখে) মরণ আছে ভয়ে মরি’।। তোর যদি না হয় মা বিনাশ, আমিও মা অবিনাশী; (আমি) তোরই মাঝে ঘুমাই জাগি, তোরই কোলে কাঁদি হাসি। তোর চরণ ছেড়ে পলায় যারা (মা) মায়ার জালে মরে তারা তোর মায়া-জাল এড়িয়ে গেলাম মা তোর অভয়-চরণ ধরি, মা।।
ওরে হুলো রে তুই রাত বিরেতে
বাণী
ওরে হুলো রে তুই রাত বিরেতে ঢুকিস্নে হেঁসেল্। তুই কবে বেঘোরে প্রাণ হারাবি বুঝিস্নে রাস্কেল্।। আমি স্বীকার করি শিকারি তুই তোর গোঁফ দেখেই চিনি, গাছে কাঁঠাল ঝুলতে দেখে দিস্ গোঁফে তুই তেল।। ওরে ছোঁচা ওরে ওঁছা বাড়ি বাড়ি তুই হাঁড়ি খাস, নাদ্নার বাড়ি খেয়ে কোন্দিন ধনে প্রাণে বা মারা যাস্, কেঁদে মিয়াঁও মিয়াঁও ব’লে বিবি বেরালি করবে রে হার্টফেল।। তানপুরারই সুরে যখন তখন গলা সাধিস্, শুনে ভুলো তোরে তেড়ে আসে, ন্যাজ তুলে ছুটিস্, তোরে বস্তা পু’রে কবে কে চালান দিবে ধাপা-মেল।। বৌঝি যখন মাছ কোটে রে, তুমি খোঁজ দাঁও, বিড়াল-তপস্বী আড়নয়নে থালার পানে চাও, তুই উত্তম মধ্যম খা’স এত তবু হ’ল না আক্কেল।।