কৃষ্ণ কৃষ্ণ বল্ রসনা
বাণী
কৃষ্ণ কৃষ্ণ বল্ রসনা রাধা রাধা বল্, রাধাকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণ বল্।। যোগে খোঁজেন শিব কৃষ্ণ-গোবিন্দে ব্রহ্মা পূজেন রাধা-চরণারবিন্দে, অধরা যুগল চাঁদে ধরিল প্রেমের ফাঁদে গোপ গোপীদল।। (মোর) শ্রীকৃষ্ণে থাকে যেন অটল মতি সেই মতি দেন্ মোর রাধা শ্রীমতী, মন-বৃন্দাবনে ফোটে কৃষ্ণ নামের ফুল — ঝরায়ে সে-ফুল রাই দেন সবে প্রেম-ফল।। রাধাকৃষ্ণ বল্ ওরে নর-নারী সংসার বনে তোরা যেন শুক-শারি, তার, পরানে নিত্য রাস-রসের উল্লাস — যাহার হৃদয়ে দোলে মূরতি যুগল।।
ঘন গগন ঘিরিল ঘন ঘোর
বাণী
ঘন গগন ঘিরিল ঘন ঘোর। শাওন-ধারা ঘন-শ্যাম-বরণ চরণ লাগি’ ঝর ঝরে অঝোর্।। কুহু কেকা গাছে চম্পা শাখে (গো) বিরহী বেণু ডাকে প্রিয়তমাকে১ (গো), মেঘ-মাঝে খুঁজে ফিরে সৌদামিনী কোথা লুকালো প্রিয়-ঘন চিতচোর।। রহে না মন ঘরে অন্ধকারে অভিসারে যেতে চায় বন-‘পারে, ঝুরে মৌন ব্যথায় কাননে কেতকী কাঁদে চিত-চাতকী কোথা শ্যাম কিশোর।।
১. কাহাকে
সুবল সখা এই দেখ্ এই পথে
বাণী
সুবল সখা! এই দেখ্ এই পথে তাহার, সোনার নূপুর আছে পড়ে, বৃন্দাবনের বনমালী গেছে রে ইে পথ ধরে। হরি চন্দন গন্ধ পথে পথে পাই ঝরা ফুলে ছেয়ে আছে বনবীথি তাই। ভ্রমে ভ্রমর শ্রীচরণ-চিহ্ন ঘিরে রাঙ্গা কমল ভ্রমে, ভ্রমে শ্রীচরণ-চিহ্ন ঘিরে। ভাসে বাঁশির বেদন তার মৃদু সমীরে। তারে খুঁজবো কোথায় — সেই চোরের রাজায় খুঁজবো কোথায়? তারে খুঁজলে বনে, মনে লুকায়, চোরের রাজায় খুঁজবো কোথায়? সুবল রে — শ্রীদাম দেখেছে তারে রাখাল দলে, গোপিনীরা দেখিয়াছে যমুনা-জলে। বাঁশরি দেখেছে তারে কদম শাখায় কিশোরী দেখেছে তারে ময়ূর পাখায়। বৃন্দা এসেছে দেখে রাজা মথুরায়, যশোদানন্দ বলে কোলে সে ঘুমায়। জানি না কোথায় সে দে রে দেখায়ে দে কোথা ঘনশ্যাম কবে বুকে পাব তারে, মুখে জপি যাঁর নাম।।
সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায়
বাণী
সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায় তুমি ফিরিলে না ঘরে, আঁধার ভবন জ্বলেনি প্রদীপ মন যে কেমন করে।। উঠানে শূন্য কলসির কাছে সারাদিন ধরে ঝ’রে প’ড়ে আছে তোমার দোপাটি গাঁদা ফুলগুলি যেন অভিমান ভরে।। বাসন্তী রাঙা শাড়িখানি তব ধূলায় লুটায় কেঁদে, তোমার কেশের কাঁটাগুলি বুকে স্মৃতির সমান বেঁধে। যাইনি বাহিরে আজ সারাদিন ঝরিছে বাদল শ্রান্তিবিহীন পিয়া পিয়া ব’লে ডাকিছে পাপিয়া এ বুকের পিঞ্জরে।।