বাণী

ওগো বৈশাখী ঝড়! ল’য়ে যাও অবেলায় ঝরা এ মুকুল।
ল’য়ে যাও বিফল এ জীবন — এই পায়ে দলা ফুল।।
	ওগো নদীজল লহো আমারে
	বিরহের সেই মহা-পাথারে,
চাঁদের পানে চাহে যে পারাবারে — অনন্তকাল কাঁদে বিরহ-ব্যাকুল।।

বাণী

কত নিদ্রা যাও রে কন্যা		জাগো একটু খানি
যাবার বেলায় শুনিয়া যাই		তোমার মুখের বাণী।।
নিশীথিনীর ঘুম ভেঙে যায়	চন্দ্র যখন হেসে তাকায় গো
চাতাকিনী ঘুমায় কি গো		দেখলে মেঘের পানি।।
ফুলের কুঁড়ি চোখ মেলে চায়	যেই না ভ্রমর বোলে (রে কন্যা)
বসন্ত আসিলে রে কন্যা		বনের লতা দোলে (রে কন্যা)
যারা আছে প্রাণে প্রাণে		জাগে তারা ঘুম না জানে
আমি যখন রইব না গো		(তখন) জাগবে তুমি জানি।।

বাণী

	খয়বর-জয়ী আলী হায়দার, জাগো জাগো আরবার।
	দাও দুশমন দুর্গ-বিদারী দু'ধারী জুলফিকার।।
	এসো শেরে খোদা ফিরিয়া আরবে,
	ডাকে মুসলিম ‘ইয়া আলী’ রবে, —
	হায়দারী হাঁকে তন্দ্রা-মগনে করো করো হুঁশিয়ার।।
	আল-বোর্জের চূড়া গুঁড়া-করা গোর্জ আবার হানো,
	বেহেশতী সাকী মৃত এ জাতিরে আবে কওসার দানো।
আজি	বিশ্ব-বিজয়ী জাতি যে বেহোঁশ
	দাও তারে নব কুয়ৎ ও জোশ;
এসো	নিরাশায় মরু-ধূলি উড়ায়ে দুল্‌দুল্-আস্ওয়ার।।

বাণী

নাচিয়া নাচিয়া এসো নন্দদুলাল,
মোর প্রাণে মোর মনে, এসো ব্রজগোপাল॥
এসো নূপুর রুনুঝুনু পায়ে, এসো প্রেম যমুনা নাচায়ে
এসো বেণু বাজায়ে, এসো ধেনু চরায়ে এসো কানাই রাখাল॥
ঝুলনে হোরিতে রাসে, এসো কুরুক্ষেত্র রণে এসো প্রভাসে,
(এসো) শিশু রূপে, এসো কিশোর বেশে
এসো কংস, অরি, এসো মৃত্যুকরাল॥

বাণী

খেলা শেষ হল, শেষ হয় নাই বেলা।
কাঁদিও না, কাঁদিও না — তব তরে রেখে গেনু প্রেম-আনন্দ মেলা।।
খেলো খেলো তুমি আজো বেলা আছে
খেলা শেষ হলে এসো মোর কাছে,
প্রেম-যমুনার তীরে ব’সে রব লইয়া শূন্য ভেলা।।
যাহারা আমার বিচার করেছে — ভুল করিয়াছে জানি,
তাহাদের তরে রেখে গেনু মোর বিদায়ের গানখানি।
	হই কলঙ্কী, হোক মোর ভুল
	বালুকার বুকে ফুটায়েছি ফুল,
তুমিও ভুলিতে নারিবে সে-কথা — হানো যত অবহেলা।।

পাঠান্তর

খেলা শেষ হল, শেষ হয় নাই বেলা।
কাঁদিও না, কাঁদিও না — তব তরে রেখে গেনু প্রেম-আনন্দ মেলা।।
খেলো খেলো তুমি আজো বেলা আছে
খেলা শেষ হলে এসো মোর কাছে,
প্রেম-যমুনার তীরে ব’সে রব লইয়া শূন্য ভেলা।।
যাহারা আমার বিচার করেছে আর তাহাদের কেহ,
দেখিতে পাবে না কলঙ্ক কালিমাখা মোর এই দেহ।
	হই কলঙ্কী, হোক মোর ভুল
	পৃথিবীতে আমি এনেছি গোকুল,
তুমিও ভুলিতে নারিবে সে-কথা — হানো যত অবহেলা।।

[গানটি ১৯৬৫ সালে জগন্ময় মিত্রের কণ্ঠে রেকর্ডের সময় প্রশিক্ষক কমল দাশগুপ্ত বাণীর কিছু পরিবর্তন করেছিলেন।
যথা: ১. খেলা শেষ হলে যেয়ো, যেয়ো মোর কাছে, ২. হোক অপরাধ হোক মোর ভুল]

বাণী

অন্তরে প্রেমের দীপ জ্বলে যার,
ত্রিভুবনে নাই তার কোথাও আঁধার।।
পথের ধূলি তারই চরণ যাচে
আকাশ কথা কয় তাহারি কাছে,
তা’রি তরে খোলা থাকে সকলের ঘর
		সকলের হৃদয়-দুয়ার।।
কে বলে ভিখারিনী সে — কে বলে সে ভিখারি।
ভিক্ষা-ঝুলিতে তার বিশ্ব থাকে — ভগবান তাহার দ্বারী।
তার রীতি বোঝা যায় না
বুকে যার বহে নিতি পিরিতি-জোয়ার।।