গুরুমন্ত্র তোমার উঠল জ্ব’লে
বাণী
গুরুমন্ত্র তোমার উঠল জ্ব’লে হোমের শিখার মত। এক নিমেষে ভষ্ম হ’ল পাপ-তাপ মোর যত।। চির-আঁধার ছিল আমার হিয়া তুমি এলে মন্দ্র-প্রদীপ নিয়া, হল চকিতে সেই দীপালোকে মনের আঁধার গত।। উজ্জ্বল মোর ঘন-দেউলে কোন্ সে আদি ঋষি, গভীর উদার মন্ত্র তোমার জপে দিবা-নিশি। রিপু দানব যথা ক’রত বাস সেই মন হ’ল আজ আনন্দ-কৈলাস, সে-কৈলাসে তুমি শিব, আমি দীন প্রণত।।
দে গরুর গা ধুইয়ে
বাণী
দে গরুর গা ধুইয়ে – নিয়ে ষন্ডা মার্কা গিন্নি গন্ডা তিনেক আন্ডা বাচ্চা ঠান্ডা মেরে গেছি দাদা তোমরা ভাব আজি আচ্ছা আমি থাকি বাছুর ধরে খায় অন্যে গাই দুইয়ে। দে গরুর গা ধুইয়ে – নিতি নূতন পুষ্যি (গজায়) যেন গোদের উপর গ্যাঁজ যেন দুম্বা ভেড়ার ন্যাজ বাবা (ঘরে) হাঁড়িতে ইঁদুর ডন ফেলে আর বাহিরে রসুন প্যাঁজ ভাই হোটেলে রসুন প্যাঁজ চুটকে আমায় চাটনী করলে সিক্নি ঝরে নাক চুইয়ে। দে গরুর গা ধুইয়ে – খামচা খামচি করে নিতুই এ সংসারের সাথে নুন ছাল উঠে গেল প্রাণের মাথা হল আলু ভাতে করাত চেরা করে বরাত আমার উপর চিৎ শুইয়ে। দে গরুর গা ধুইয়ে – পাছড়ে ফেলে স্ত্রী পুত্র যেন প্যাঁচড়া আঁচড়ায় জিসকা ফাটে উসকা ফাটে ধোবি বসে আছড়ায় ন্যাংটা শিরের মন্ত্র দাদা পেয়েছি দু-কান খুইয়ে। দে গরুর গা ধুইয়ে — জোরেসোরে।
কেউ ভোলে না কেউ ভোলে
বাণী
কেউ ভোলে না কেউ ভোলে অতীত দিনের স্মৃতি কেউ দুঃখ ল’য়ে কাঁদে কেউ ভুলিতে গায় গীতি।। কেউ শীতল জলদে হেরে অশনির জ্বালা কেউ মুঞ্জরিয়া তোলে তার শুষ্ক কুঞ্জ–বীথি।। হেরে কমল–মৃণালে কেউ কাঁটা কেহ কমল। কেউ ফুল দলি’ চলে কেউ মালা গাঁথে নিতি।। কেউ জ্বালে না আর আলো তার চির–দুখের রাতে, কেউ দ্বার খুলি’ জাগে চায় নব চাঁদের তিথি।।