ওকে নাচের ঠমকে দাঁড়ালো থমকে সহসা চমকে পথে
বাণী
ও কে নাচের ঠমকে দাঁড়ালো থমকে সহসা চমকে পথে যেন তার নাম ধ'রে ডাকিল কে বাঁশের বাঁশিতে মাঠে ওপার হতে। তার হঠাৎ থেমে যাওয়া দেহ দোদুল নাচের তালে যেন ছন্দের ভুল সে রহে চাহি' অনিমেষে পটে আঁকা ছবিতুল গেছে হারায়ে সে যেন কোন জগতে।। তার ঘুম জড়িত চোখে জাগালো কী নতুন ঘোর অকরুণ বাঁশির কিশোর; উদাসী মুরতি প্রভাতী রাগিণী কাননে যেন এলো নামিয়া অরুণ-কিরণ রথে।।
ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা
বাণী
ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা। ভবনে এলো মোর কে পথহারা।। বিরহ রজনী একেলা যাপি সঘনে বহে ঝড় সভয়ে কাঁপি, উথলি’ উঠে ঢেউ কুটীরে নাহি কেউ — গগনে নাহি মোর চন্দ্রতারা।। নিভেছে গৃহদীপ নয়নে বারি, আঁধারে তব মুখ নাহি নেহারি। তোমার আকুল কুন্তল বাসে চেনা দিনের স্মৃতি স্মরণে আসে, আজি কি এলে মোর প্রলয়-সুন্দর — ঝলকে বিদ্যুতে আঁখি-ইশারা।।
আমি পূরব দেশের পুরনারী
বাণী
আমি পূরব দেশের পুরনারী (গো)। গাগরি ভরিয়া এনেছি গো অমৃত-বারি।। পদ্মকুলের আমি পদ্মিনী-বধূ এনেছি শাপলা-পদ্মের মধু ঘন বন ছায়ায় শ্যামলী মায়ায় শান্তি আনিয়াছি ভরি’ হেমঝারি।। আমি শঙ্খ-নগর হতে আনিয়াছি শাখা, অভয়শঙ্খ, ঝিল্ ছেনে এনেছি সুনীল কাজল গো — বিল্ ছেনে অনাবিল চন্দন-পঙ্ক (এনেছি)। এনেছি, শত ব্রত-পার্বণ-উৎসব এনেছি, সারস হংসের কলরব এনেছি, নব আশা-ঊষার সিন্দুর মেঘ-ডম্বরু সাথে মেঘ-ডুমুর শাড়ি।।