দুঃখ অভাব শোক দিয়েছ হে নাথ তাহে দুঃখ নাই তুমি যেন অন্তরে মোর বিরাজ করো সর্বদাই॥ রোগের মাঝে অশান্তিতে তুমি থেকো আমার চিতে তোমার নামের ভজন গীতে প্রাণে যেন শান্তি পাই॥ দুর্দিনেরি বিপদ এলে তোমায় যেন না ভুলি তোমার ধ্যানে পর্বত প্রায় অটল থাকি, না দুলি। সুখের দিনে বিলাস ঘোরে ভুলতে নাহি দিও মোরে আপনি ডেকে নিও কোলে দূরে যদি সরে যাই॥
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
শ্যামা নামের ভেলায় চ'ড়ে কাল-নদীতে দুলি। ঘাটে ঘাটে ঘটে ঘটে (আমি) সুরের লহর তুলি।। কাল-তরঙ্গে ভাসিয়ে অঙ্গ, দেখে বেড়াই কত রঙ্গ, কায়ায় কায়ায় রঙ-বেরঙের (ওরে) শত মায়ার ঠুলি।। জন্মান্তর ঘাটে ঘাটে ভাসি উঠি ডুবি মা নিশিদিন ডাকে আমায়, 'ওরে আয় আমারে ছুঁবি'। মোরে কাল-স্রোতে ভাসানের ছলে মা লীলা দেখান নাট-মহলে ওই খেলার (ছলে) শেষে আপনি এসে (মা) বক্ষে নেবেন তুলি।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
১.
২.
বেণুকা ও-কে বাজায় মহুয়া বনে। কেন ঝড় তোলে তার সুর আমার মনে।। বলে আয় সে দুরন্তে সখি আমারে কাঁদাবে সারা জনম ও-কি, সে কি ভুলিতে তারে দেবে না জীবনে।। সখি, ভাল ছিল তার তীর-ধনুক নিঠুর, বাজে আরো সকরুণ তা’র বেণুকার সুর। সখি, কেন সে বন-বিলাসী আমারই ঘরের পাশে বাজায় বাঁশি, আছে আরো কত দেশ, কত নারী ভুবনে।।
রাগঃ বেণুকা (নজরুল-সৃষ্ট)
তালঃ ত্রিতাল
আমি বাউল হ’লাম ধূলির পথে ল’য়ে তোমার নাম। আমার একতারাতে বাজে শুধু তোমারই গান, শ্যাম।। নিভিয়ে এলাম ঘরের বাতি এখন তুমিই সাথের সাথি, আমি যেখানে যাই সেই সে এখন আমার ব্রজধাম।। আমি আনন্দ-লহরি বাজাই নূপুর বেঁধে পায়ে, শ্রান্ত হ’লে জুড়াই তনু বন-বীথি বটের ছায়ে।১ ভাবনা আমার তুমি নিলে আমায় ভিক্ষা-পাত্র দিলে কখন তুমি আমার হবে পূরবে মনস্কাম।।
১. শ্রান্ত হলে জুড়াই তবু বংশী-বটের ছায়ে।
রাগঃ
তালঃ ফের্তা
লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছ আমার সনে লুকাতে চাও বৃথা হে শ্যাম, ধরা পড় ক্ষণে ক্ষণে।। গহন মেঘে লুকাতে চাও অম্নি রাঙা, চরণ লেগে যে পথে ধাও সে পথ ওঠে ইন্দ্রধনুর রঙে রেঙে, চপল হাসি চম্কে বেড়ায় বিজলিতে নীল গগনে।। রবি-শশী-গ্রহ-তারা তোমার কথা দেয় প্রকাশি’ ঐ আলোতে হেরি তোমার তনুর জ্যোতি মুখের হাসি। হাজার কুসুম ফুটে’ ওঠে লুকাও যখন শ্যামল বনে। মনের মাঝে যেম্নি লুকাও, মন হয়ে যায় অম্নি মুনি, ব্যথায় তোমার পরশ যে পাই, ঝড়ের রাতে বংশী শুনি দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে লুকাও আমার এই নয়নে দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে থাক আমার এই নয়নে।।
রাগঃ ধানি মিশ্র
তালঃ কাহার্বা
