ওমা ফিরে এলে কানাই মোদের
বাণী
ওমা ফিরে এলে কানাই মোদের এবার ছেড়ে দিস্নে তায়। তোর সাথে সব রাখাল মিলে বাঁধ্ব সে-ননী চোরায়।। তা’রে তুই যখন মা রাখতিস্ বেঁধে ছাড়ায়েছি কেঁদে কেঁদে’, তখন জান্তো কে, যে খুললে বাঁধন পালিয়ে যাবে মথুরায়।। এবার আমরা এসে ডাকলে শ্যামে গোঠে যেতে দিস্নে তায়, ঐ পথে অক্রুর মুনির সাথে পালিয়ে যাবে শ্যামরায়।। মোরা কেউ যাব না বনে মা আর খেল্ব তার এই আঙিনায়, শুধু খেলব লুকোচুরি লো আগ্লাতে চোরের রাজায়।।
ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
বাণী
ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি।। এই দেশেরই মাটি জলে এই দেশেরই ফুলে ফলে তৃষ্ণা মিটাই মিটাই ক্ষুধা পিয়ে এরি দুধের বাটি।। এই মায়েরই প্রসাদ পেতে মন্দিরে এর এঁটো খেতে তীর্থ ক’রে ধন্য হতে আসে কত জাতি। ও ভাই এই দেশেরই ধূলায় পড়ি’ মানিক যায় রে গড়াগড়ি ও ভাই বিশ্বে সবার ঘুম ভাঙালো এই দেশেরই জিয়ন-কাঠি।। এই মাটি এই কাদা মেখে এই দেশেরই আচার দেখে সভ্য হ’লো নিখিল ভুবন দিব্য পরিপাটি। ও ভাই সন্ন্যাসিনী সকল দেশে জ্বাল্লো আলো ভালোবেসে মা আঁধার রাতে এক্লা জাগে আগ্লে রে এই শ্মশান-ঘাঁটি।।
অনেক ছিল বলার যদি সেদিন
বাণী
অনেক ছিল বলার, যদি সেদিন ভালোবাস্তে গো। পথ ছিল গো চলার, যদি দু’দিন আগে আস্তে গো।। আজিকে মহাসাগর–স্রোতে, চলেছি দূর পারের পথে ঝরা–পাতা হারায় যথা, সেই আঁধারে ভাস্তে গো।। গহন রাতি ডাকে আমায় এলে তুমি আজ্কে কাঁদিয়ে গেলে হায় গো আমার বিদায়–বেলার সাঁঝ্কে। আস্তে যদি হে অতিথি ছিল যখন শুক্লা তিথি ফুটত চাঁপা, সেদিন যদি চৈতালী–চাঁদ হাস্তে।।