বাণী

স্বপনেএসেছিল মৃদু-ভাষিণী
মৃদু-ভাষিণী মধু-হাসিনী।
রূপের তৃষা মোর রূপ ধ'রে এসেছিল
কল্পনা মনোবন-বাসিনী।।
যে পরম সুন্দর আছে মোর অন্তরে
তারি অভিসারে আসে উদাসিনী।।

বাণী

আমার লীলা বোঝা ভার।
নদীতে বান আনি আমি আমিই করি পার।।
	আমার যারা করে আশ
	করি তাদের সর্বনাশ,
তবু আশা ছাড়ে না যে মিটাই আশা তার।।

রেকর্ড নাটিকা : ‌‌‘সুভদ্রা’ (নাট্যকার : বরদাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত)

বাণী

ওমা	ফিরে এলে কানাই মোদের এবার ছেড়ে দিস্‌নে তায়।
	তোর সাথে সব রাখাল মিলে বাঁধ্‌ব সে-ননী চোরায়।।
	তা’রে	তুই যখন মা রাখতিস্ বেঁধে
		ছাড়ায়েছি কেঁদে কেঁদে’,
তখন	জান্‌তো কে, যে খুললে বাঁধন পালিয়ে যাবে মথুরায়।।
এবার	আমরা এসে ডাকলে শ্যামে গোঠে যেতে দিস্‌নে তায়,
	ঐ পথে অক্রুর মুনির সাথে পালিয়ে যাবে শ্যামরায়।।
মোরা	কেউ যাব না বনে মা আর খেল্‌ব তার এই আঙিনায়,
শুধু	খেলব লুকোচুরি লো আগ্‌লাতে চোরের রাজায়।।

বাণী

ও ভাই	খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
		আমার দেশের মাটি।।
			এই দেশেরই মাটি জলে
			এই দেশেরই ফুলে ফলে
		তৃষ্ণা মিটাই মিটাই ক্ষুধা পিয়ে এরি দুধের বাটি।।
			এই মায়েরই প্রসাদ পেতে
			মন্দিরে এর এঁটো খেতে
		তীর্থ ক’রে ধন্য হতে আসে কত জাতি।
ও ভাই	এই দেশেরই ধূলায় পড়ি’
		মানিক যায় রে গড়াগড়ি
ও ভাই	বিশ্বে সবার ঘুম ভাঙালো এই দেশেরই জিয়ন-কাঠি।।
			এই মাটি এই কাদা মেখে
			এই দেশেরই আচার দেখে
		সভ্য হ’লো নিখিল ভুবন দিব্য পরিপাটি।
ও ভাই	সন্ন্যাসিনী সকল দেশে
		জ্বাল্‌লো আলো ভালোবেসে
মা		আঁধার রাতে এক্‌লা জাগে আগ্‌লে রে এই শ্মশান-ঘাঁটি।।

বাণী

শুক্লা জোছনা তিথি, ফুল্ল পুষ্পবীথি গন্ধ-বন-গীতি আকুল উপবন।
চিত্ত স্মপ্নাতুর, তঙ্গ চুর চুর মাগে হৃদি-পুর সুন্দর-পরশন।।
	চন্দন-গন্ধিত মন্দ দখিনা-বায়
	নন্দন-বাণী ফুলে ফুলে ক’য়ে যায়,
তনুমন জাগে রাঙা অনুরাগে, মনে লাগে আজ (আজি মাধবী) বাসর-জাগরণ।।

নাটকঃ ‘সাবিত্রী’

বাণী

অনেক ছিল বলার, যদি সেদিন ভালোবাস্‌তে গো।
পথ ছিল গো চলার, যদি দু’দিন আগে আস্‌তে গো।।
আজিকে মহাসাগর–স্রোতে, চলেছি দূর পারের পথে
ঝরা–পাতা হারায় যথা, সেই আঁধারে ভাস্‌তে গো।।
গহন রাতি ডাকে আমায় এলে তুমি আজ্‌কে
কাঁদিয়ে গেলে হায় গো আমার বিদায়–বেলার সাঁঝ্‌কে।
আস্‌তে যদি হে অতিথি
ছিল যখন শুক্লা তিথি
ফুটত চাঁপা, সেদিন যদি চৈতালী–চাঁদ হাস্‌তে।।