আজি প্রথম মাধবী ফুটিল কুঞ্জে
বাণী
আজি প্রথম মাধবী ফুটিল কুঞ্জে মাধব এলো না সই। এই যৌবন-বরমালা কারে দিব মোর বনমালী বই।। সারা নিশি জেগে বৃথাই নিরালা গাঁথিলাম নব মালতীর মালা, অনাদরে হায় সে মালা শুকায় দেখিয়া কেমনে রই।। মম অনুরাগ-চন্দন ঘ’ষে, লাজ ভু’লে সাঁঝ হ’তে আছি ব’সে, শুকাইয়া যায় চন্দন হায় রাধিকারমণ কই।। চলিলাম আমি যথা মন চায়, প্রভাতে আসিলে মোর শ্যামরায় বলিস্ আঁধারে হারাইয়া হায় গেছে রাধা রসময়ী।।
বন তমালের শ্যামল ডালে দোলে ঝুলন
বাণী
বন তমালের শ্যামল ডালে দোলে ঝুলন দোলায় যুগল রাধা শ্যাম। কিশোরী পাশে কিশোর হাসে ভাসে আনন্দ সাগরে আজ ব্রজধাম।। তড়িত লতায় যেন জড়িত জলধরে ওগো যুগল রূপ হেরি মুনির মনোহরে পুলকে গগন ছাপিয়া বারি করে বাজে যমুনা তরঙ্গে শ্যাম শ্যাম নাম।। বন ময়ুর নাচে ঘন দেয়ার তালে দোলা লাগে কেতকী কদম ডালে। আকাশে অনুরাগে ইন্দ্রধনু জাগে হেরে ত্রিলোক থির হয়ে রূপ অভিরাম।।
বল্ সই বসে কেনে একা আনমনে
বাণী
বল্ সই বসে কেনে একা আনমনে চল সই সই পাতাবি গাঁদা ফুলের সনে।। নিয়ে পাথর কুচি, আউস ধানের গুছি অজয় নদীর ধারে খেল্ব নিরজনে।। দেখিস্ আস্বে ফিরে তোর চাঁদ নতুন চাঁদে, চাঁদ-মুখ রেখে ঘরে কে সই রইতে পারে আঁধার কয়লা খাদে! আস্বে পোষা কোকিল, ডাকবে মহুল বনে।। কিন্বে ধেনো জমি এবার টাকা এনে, সে আর যেন গয়না কাপড় না কেনে তোর বলতে যদি লাজে বাধে মুখে আমি বল্ব তারে যা তুই ভাবিস মনে।।