আজি ঈদ্ ঈদ্ ঈদ্ খুশীর ঈদ্
বাণী
আজি ঈদ্ ঈদ্ ঈদ্ খুশীর ঈদ্ এলো ঈদ্ (যাঁর) আসার আশায় চোখে মোদের ছিল না রে নিদ।। শোন্ রে গাফিল, কি ব’লে তকবীর ঈদ্গাহে, (তোর) আমানতের হিস্সা সাদকা দে খোদার রাহে নে সাদকা দিয়ে বেহেশ্তে যাবার রসিদ।। ঈদের চাঁদের তশ্তরীতে জান্নাত হ’তে আনন্দেরি শিরনি এলো আসমানি পথে, সেই শিরনি নিয়ে নূতন আশায় জাগবে না উম্মিদ।। (তোর) পিরাহানের আতর গোলাব লাগুক রে মনে, (আজ) প্রেমের দাওত্ দে দুনিয়ার সকল জনে, দিলেন ঈদের মারফতে হজরত এই তাগিদ।।
পরাজিত হ’ল অপরাজিতার কাছে
বাণী
পরাজিত হ’ল অপরাজিতার কাছে গোলাপের রূপ হায়। পথের ধূলিতে ঢেকে দে গোলাপ-বন, আয় ঝোড়ো হাওয়া আয়।। বসিল না মোর ময়ূর-সিংহাসনে বনের সে প্রজাপতি, কোহিনূর ফেলে দেখিল পথের ফুলে সে-কোন্ প্রেমের জ্যোতি। হে প্রেম-ভিখারি! তোমার ধূলির পথে ডাক দিলে যদি চির-ভিখারিনী হ’তে, মরণের ক্ষণে দুটি ফোঁটা আঁখি-জল সে যেন ভিক্ষা পায়।।
কার নিকুঞ্জে রাত কাটায়ে আস্লে প্রাতে পুষ্প-চোর
বাণী
কার নিকুঞ্জে রাত কাটায়ে আস্লে প্রাতে পুষ্প-চোর। ডাকছে পাখি, ‘বৌ গো জাগো’ আর ঘুমায়ো না, রাত্রি ভোর।। যুঁই-কুঁড়িরা চোখ মেলে চায় চুম্কুড়ি দেয় মৌমাছি শাপলা-বনে চাঁদ ডুবে যায় ম্লান চোখে হায় চায় চকোর।। ঘোম্টা ঠেলি’ কয় চামেলি গোল ক’রো না গুল্-ডাকাত, ঢুলছে নয়ন, দুলছে গলায় বেল-টগরের ছিন্ন ডোর।। গুন্গুনিয়ে মোর আঙিনায় কোন্ সতীনের গাইছ গুন্ কার মালঞ্চে ফুল ফোটায়ে হুল ফোটালে বক্ষে মোর।।
বন-ফুলে তুমি মঞ্জরি গো
বাণী
বন-ফুলে তুমি মঞ্জরি গো তোমার নেশায় পথিক-ভ্রমর ব্যাকুল হ'ল গুঞ্জরি' গো।। তুমি মায়ালোকের নন্দিনী ন্দনের আনন্দিনী তুমি ধূলির ধরার বন্দিনী, যাও গহন কাননে সঞ্চরি গো।। মৃদু পরশ-কুঞ্চিতা তুমি বালিকা বল্লভ-ভীতা পল্লব অবগণি্ঠিতা মুকুলিকা। তুমি প্রভাত বেলায় মঞ্জরি লাজে সন্ধ্যায় যাও ঝরি' অরণ্যা-বল্লরি শোভা, পুণ্য পল্লী-সুন্দরী।।
মহাকালের কোলে এসে
বাণী
মহাকালের কোলে এসে গৌরী হ’ল মহাকালী, শ্মশান–চিতার ভস্ম মেখে ম্লান হ’ল মার রূপের ডালি।। তবু মায়ের রূপ কি হারায় সে যেছড়িয়ে আছে চন্দ্র তারায়, মায়ের রূপের আরতি হয় নিত্য সূর্য–প্রদীপ জ্বালি’ ।। উমা হ’ল ভৈরবী হায় বরণ ক’রে ভৈরবেরে, হেরি’ শিবের শিরে জাহ্নবী রে শ্মশানে মশানে ফেরে। অন্ন দিয়ে ত্রি–জগতে অন্নদা মোর বেড়ায় পথে, ভিক্ষু শিবের অনুরাগে ভিক্ষা মাগে রাজদুলালী।।