বাণী

ও কে উদাসী আমায় হায়
ডাকে আয় আয়
	গোধূলি-বেলায় বাজায়ে বাঁশরি।
তা’র পাহাড়ি সুরে
মোর নয়ন ঝুরে
	মম কুল-লাজ গৃহ-কাজ যাই পাশরি’।।
তা’র সুরের মায়ায় আকাশ ঝিমায়,
	চাঁদের চোখে তিমির ঘনায় —
তা’র বিরহে মধুর মোহে জীবন মরণ পলকে বিসরি।।

বাণী

মুখে তোমার মধুর হাসি হাতে কুটিল ফাঁসি।
সুন্দর চোর, চিনি তোমায় তবু ভালোবাসি।।
	শত ব্রজে কেঁদে মরে
	শত রাধা তোমার তরে,
কত গোকুল ডুবলো অকূল আঁখির নীরে ভাসি'।।
কত নারীর মন গেঁথে, নাথ, পরলে বন-মালা,
যমুনাতে ডুবালে শ্যাম কত কুলের বালা।
	দেখাও আসল হাত দু'খানি-
	করাল গদার চক্রপাণি,
তব এ দু'টি হাত ছলনা, নাথ, বাজাও যে হাতে বাঁশি।।

বাণী

যমুনা-সিনানে চলে তন্বী মরাল-গামিনী।
লুটায়ে লুটায়ে পড়ে পায়ে বকুল কামিনী।।
	মধু বায়ে অঞ্চল
	দোলে অতি চঞ্চল,
কালো কেশে আলো মেখে খেলিছে মেঘ দামিনী।।
	তাহারি পরশ চাহি’
	তটিনী চলেছে বাহি,’
তনুর তীর্থে তারি আসে দিবা ও যামিনী।।

বাণী

ও	বৌদি তোর কি হয়েছে চোখে কেন জল
	দাদার তরে মন বুঝি তোর হয়েছে উতল।।
তোর	দিব্যি দেখেছি স্বপনে
যেন	দাদা কথা কইতেছে তোর সনে
	দেখিস তোরা আমার স্বপন হবে না বিফল।।
তোর	কান্নার সাগরে যখন উঠেছে জোয়ার
	বৌদি লো তোর চাঁদ উঠিবার নাই রে দেরি আর।
ও	বৌদি তোর চোখের জলের টানে
	আমার দাদার সোনার তরী  আসতেছে উজানে
দেখ	বাটনা ফেলে হাসছে দিদি চল ও ঘরে চল।।

বাণী

আমার আছে এই ক’খানি গান
তা’ দিয়ে কি ভর’বে তোমার প্রাণ।।
		অনেক বেশি তোমার দাবি
		শূন্য হাতে তাইতো ভাবি,
কি দান দিয়ে ভাঙবো তোমার গভীর অভিমান।।
	তুমি চাহ গভীর ব্যাকুলতা
	আমার কাছে বলার দুটি কথা।
		যে বাঁশরি গায় অবিরাম
		প্রিয়তম তোমারি নাম
যাবার বেলায় তোমায় দিলাম সেই বাঁশরি খান।।

বাণী

আমার গানের মালা আমি করব কারে দান
মালার ফুলে জড়িয়ে আছে করূণ অভিমান।
		মালা করব কারে দান।।
	চোখে মলিন কাজল লেখা
	কণ্ঠে কাঁদে কুহু কেকা,
কপোলে যার অশ্রু-রেখা একা যাহার প্রাণ
		মালা করব কারে দান।।
কাথায় আমার কাঁটার বেদন মালায় সূচির জ্বালা,
কণ্ঠে দিতে সাহস না পাই অভিশাপের মালা (ঐ)।
	বিরহে যার প্রেম-আরতি
	আঁধার লোকের অরুন্ধতী
নাম না জানা সেই তপতী তারি তরে গান
		মালা করব তারে দান।।