আল্লাহ্ রসুল জপের গুণে
বাণী
আল্লাহ্ রসুল জপের গুণে কি হ'ল দেখ চেয়ে — সদা ঈদের দিনের খুশিতে তোর পরাণ আছে ছেয়ে।। আল্লাহ্র রহমত ঝরে ঘরে বাইরে তোর উপরে, আল্লাহ্ রসুল হয়েছেন তোর জীবন-তরীর নেয়ে।। দুখে সুখে সমান খুশি নাই ভাবনা ভয়, তুই দুনিয়াদারী করিস তবু আল্লাহ্তে মন রয়। মরণকে আর ভয় নাই তোর, খোদার প্রেমে পরাণ বিভোর, তিনি দেখেন তোর সংসার, তোরই ছেলেমেয়ে।।
নাইতে এসে ভাটির স্রোতে কলসি গেল ভেসে
বাণী
নাইতে এসে ভাটির স্রোতে কলসি গেল ভেসে সেই দেশে যাইও রে কলসি, বন্ধু রয় যে দেশে।। জলকে এসে' কাল সকালে কখন মনের ভুলে ভাসিয়েছিলাম বন্ধুর লাগি' খোঁপার কুসুম খুলে' কূলে এসে লাগলো সে ফুল আজকে বেলাশেষে।। কালকে আমার খোঁপার কুসুম পায়নি খুজেঁ যারে, কলসি আমার যাও রে ভেসে' খুঁজে আনো তারে। আমার নয়ন-জল নিয়ে যাও, ঢেলো বন্ধুর পা'য়; পিদিম জ্বেলে' রইব জেগে তাহারি আশায় আর কতদিন রইব এমন যোগিনীরই বেশে।।
এবারের পূজা মাগো দশভূজা
বাণী
মা-মা-মা-মা-মা-মাগো এবারের পূজা মাগো দশভূজা বড় দুর্গতিময়। পড়েছিস এ.বি.সি.ডি? বুঝিস ব্ল্যাক আউট কারে কয়? ব্ল্যাক আউট মানে যত কালো ছিল বাহির হয়েছে মাগো যত আলো ছিল যত ভালো ছিল, সকলেরে বলে ভাগো। ডাইনে বাঁ ধারে ভীষণ আঁধারে হাঁটু কাঁপে আর হাঁটি আমড়ার মত হয়ে আছি মাগো চামড়া এবং আঁটি। নন্দী ভৃঙ্গী সিঙ্গি যাইলে তাহারাও ভয় পাবে তাদের দিব্য দৃষ্টি লয়েও মাগো আঁধারে হোঁচট খাবে। বলি বিগ্রহ তোর কে দেখিতে যাবে মা কুগ্রহের ফেরে বিড়ি খেয়ে ফেরে গুন্ডারা যদি দেয় মাগো ভুঁড়ি ফেড়ে। মা তুই বর দেওয়ার আগেই বর্বরেরা এসে ঠেসে ধরে নিয়ে যাবে চিত্রগুপ্তের দেশে। চোঁয়া ঢেকুর ওঠে মা মেকুর ডাকিলে কেঁদে উঠি ওঙা ওঙা; ঢেঁকির আওয়াজ শুনলে মাগো ভয়ে খাড়া হয়ে ওঠে রোঁয়া। সত্য পথে মা চলিতে পারি না পথে কাদা রাখে ফেলে উচিত কথা মাগো বলিতে পারি না চিৎ করে দেয় ফেলে। এ চিতে শক্তি দে মা চিৎ করবো ভয়কে বলবো এবার তোরে খাব দে মা মাগো মা।।
নাট্য-গ্রন্থঃ ‘ব্লাক আউট’
ব্ল্যাক আউট নাট্যগ্রন্থের এই পাঠকে, আদি রেকর্ডের (এন. ২৭২০৬) পাঠের তুলনায়, স্বতন্ত্র গান হিসাবে বিবেচনা করা যায়।
[অগ্রন্থিত নজরুল, সংকলন ও সম্পাদনাঃ ব্রহ্মমোহন ঠাকুর, ডি.এম. লাইব্রেরি, কলকাতা, ২০০৩]
পরো সখি মধুর বধূ-বেশ
বাণী
পরো সখি মধুর বধূ-বেশ বাঁধো আকুল চাঁচর কেশ।। বাঁকা ভুরুর মাঝে পর খয়েরি টিপ বকুল-বেলার হার, ছাড় মলিন বাস শাড়ি চাঁপা রং পর পর আবার। অধর রাঙাও সলাজ হাসিতে মোছ নয়ন-ধার — বিদেশী বন্ধু তোমারে স্মরিয়া ফিরে এলো নিজ দেশ।। মিলন-দিনে আর সাজে না মুখ-ভার ভোলো ভোলো অভিমান, মধুরে ডাক কাছে তায়, জুড়াও তাপিত প্রাণ। অরুণ-রাঙা হোক অনুরাগের রঙে করুণ সজল নয়ান — মরম বীণায় উঠুক বাজিয়া মিলন-মধুর রেশ।।