মুক্তি আমায় দিলে হে নাথ মোর যে প্রিয়
বাণী
মুক্তি আমায় দিলে হে নাথ মোর যে প্রিয় তারে নিয়ে। আমি কিছু রাখতে নারি দেখ্লে বারে বারে দিয়ে॥ যত্ন আদর পায়নি হেথা স’য়ে গেল শত ব্যথা। তোমার দান সইলো না মোর গেল বুঝি তাই হারিয়ে॥ তোমার প্রিয় এসেছিল অতীত হয়ে আমার দ্বারে, ফিরে গেল অভিমানে বুঝি আমার অনাদরে। যে ছিল নাথ মোর প্রাণাধিক সে যে তোমার বুকের মানিক (প্রভু) এবার সে আর হারাবে না বাঁচ্ল তোমার কাছে গিয়ে॥
অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া
বাণী
অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া। বহ্নি-রাগে দিগন্ত গেল রে রাঙিয়া॥ রুদ্র রোষে কি শঙ্কর উর্ধ্বের পানে লক্ষ-ফণা ভুজঙ্গ-বিদ্যুৎ হানে দীপ্ত তেজে অনন্ত-নাগের ঘুম ভাঙিয়া॥ লঙ্কা-দাহন হোমাগ্নি সাগ্নিক মন্ত্র যজ্ঞ-ধূম বেদ-ওঙ্কার ছাইল অনন্ত। খড়গ-পাণি শ্রীচন্ডী অরাজক মহীতে দৈত্য নিশুম্ভ-শুম্ভে এলো বুঝি দহিতে, বিশ্ব কাঁদে প্রেম-ভিক্ষু আনন্দ মাগিয়া॥
বন-বিহঙ্গ যাও রে উড়ে
বাণী
বন-বিহঙ্গ যাও রে উড়ে মেঘ্না নদীর পাড়ে দেখা হলে আমার কথা কইয়ো গিয়া তারে। কোকিল ডাকে বকুল-ডালে, যে-মালঞ্চে সাঁঝ-সকালে রে, আমার বন্ধু কাঁদে সেথায় গাঙেরি কিনারে।। গিয়া তারে দিয়া আইস আমার শাপ্লা-মালা আমার তরে লইয়া আইস তাহার বুকের জ্বালা। সে যেন রে বিয়া করে, সোনার কন্যা আনে ঘরে রে, আমার পাটের জোড় পাঠাইয়া দিব সে-কন্যারে।।