বাণী

দোপাটি লো, লো করবী, নেই সুরভি রূপ আছে
রঙের পাগল রূপ পিয়াসি সেই ভালো আমার কাছে।।
	গন্ধ ফুলের জলসাতে তোর
	গুণীর সভায় নেইকে আদর
গুল্ম বনে দুল হয়ে তুই, দুলিস একা ফুল গাছে।।
লাজুক মেয়ে পল্লী বধূ জল নিতে যায় একলাটি
করবী নেয় কবরীতে বেণীর শেষে দোপাটি
	গন্ধ ল'য়ে স্নিগ্ধ মিঠে
	আলো ক'রে থাকিস ভিটে,
নেই সুবাস, আছে গায়ে কাঁটা, সেই গরবে মন নাচে।।

বাণী

কে দিল খোঁপাতে ধুঁতুরা ফুল লো
খোঁপা খুলে কেশ হলো বাউল লো।।
পথে সে বাজালো মোহন–বাঁশি
তোর ঘরে ফিরে যেতে হলো এ ভুল লো।।
কে নিল কেড়ে তোর পৈঁচী চুড়ি
বৈঁচি মালায় ছি ছি খোয়ালি কুল লো।।
ও সে বুনা পাগল পথে বাজায় মাদল
পায়ে ঝড়ের নাচন শিরে চাঁচর চুল লো।।
দিল নাকেতে নাকছাবি বাবলা ফুলি
কুঁচের চুড়ি আর ঝুঁমকো ফুল দুল লো।।
সে নিয়ে লাজ দু’কূল দিল ঘাঘরি
সে আমার গাগরি ভাসালো জলে বাতুল লো।।

নাটকঃ মহুয়া

বাণী

স্ত্রী:		ফুল বীথি এলে অতিথি
		চম্পা মঞ্জরি-কুঞ্জে পড়ে ঝরি' চঞ্চল তব পায়।
পুরুষ:	কুড়ায়ে সেই ঝরা ফুল, চাঁপার মুকুল
		গেঁথেছি মোহন-মালিকা পরাব বলিয়া তোমার গলায়।।
স্ত্রী:		হে রূপ-কুমার, সুন্দর প্রিয়তম
		এলে যে ফিরিয়া দাসীরে স্মরিয়া জীবন সফল মম।
পুরুষ:	পরো কুন্তলে ধরো অঞ্চলে
		অমিলন প্রেম-পারিজাত,
স্ত্রী:		কি হবে লয়ে সে ফুল-মালা যাহা নিশি ভোরে শুকায়।
পুরুষ:	মোছ মোছ আঁখিধার লহ বাহুর হার ভোলে অতীত ব্যথায়।
উভয়ে:	বিরহ অবসানে মিলন মধুর প্রিয়
		এ মিলন নিশি যেন আর না পোহায়।।

বাণী

ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে।
বুলবুলি সে ফুলও ফোটায় বন-মাতানোর সাথে সাথে।।
		আঘাত দিলে, দিলে বেদন
		রাঙাতে হায় পারলে না মন,
প্রেমের কুঁড়ি ফুটলো না তাই, পড়লো ঝ’রে নিরাশাতে।।
আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা
হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা,
শয়ন-সাথী হ’লে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।

গজলের সুরে কৃষ্ঞপ্রেম

বাণী

(পিয়া মোর) উচাটন মন ঘরে রয় না।
(পিয়া মোর) ডাকে পথে বাঁকা তব নয়না।।
	ত্যজিয়া লোক-লাজ
	সুখ-সাধ গৃহ-কাজ,
(প্রিয়া মোর) নিজ গৃহে বনবাস সয়না।।
	লইয়া স্মৃতির লেখা
	কত আর কাঁদি একা,
(পিয়া মোর) ফুল গেলে কাঁটা কেন যায় না।।

বাণী

ওলো ননদিনী বল্
কপট নিপট কালা, নিঠুর খল্॥
তার নাই ভয় নাই লজ্জা শরম
লইয়া যুবতীর ধরম গো
খেলে সে নিঠুর খেলা, চতুর চপল্॥
না শুনে লো তোদের গালি
মাখলাম কুলে কালার কালি গো
সে মুখে সরল বনমালী, অন্তরে গরল॥
তার শত জনে মন বাঁধা, রাতে চন্দ্রা দিনে রাধা
(তারে) কঠিন কথা শুনাইব চল্‌লো গোঠে চল্॥
কৃষ্ণ ব’লে অবিরত দে লো গালি পারিস যত
ননদী কয় বুঝেছি বউ (কৃষ্ণ) নাম শোনারই ছল
ও বউ কৃষ্ণ নাম তোর ভাল লাগে
তাই কৃষ্ণ (ও তোর) নাম শোনারই ছল॥