বাণী

কত খুঁজিলাম নীল কুমুদ তোরে।
আছে নীল জল শূন্যে সরসী ভ’রে।।
উঠেছে আকাশে চাঁদ, ফুটেছে তারা
আছে সব একা মোর কুমুদ হারা,
অভিমানে সে কি গিয়াছে ঝ’রে।।

নাটক : ‘মহুয়া’

বাণী

যবে	ভোরের কুন্দ-কলি মেলিবে আঁখি
	ঘুম ভাঙায়ে হাতে বাঁধিও রাখি।।
		রাতের বিরহ যবে
		প্রভাতে নিবিড় হবে
	অকরুণ কলরবে গাহিবে পাখি।।
যেন	অরুণ দেখিতে গিয়া তরুণ কিশোর
	তোমারে প্রথম হেরি' ঘুম ভাঙে মোর।
		কবরীর মঞ্জরি
		আঙিনায় রবে ঝরি'
	সেই ফুল পায়ে দলি এসো একাকী।।

বাণী

আঁধার রাতে			কে গো একেলা
নয়ন-সলিলে		ভাসালে ভেলা।।
কাঁদিয়া কারে 		খোঁজ ওপারে
আজো যে তোমার		প্রভাত বেলা।।
কি দুখে আজি		যোগিনী সাজি’
আপনারে ল’য়ে		এ হেলা-ফেলা।।
সোনার কাঁকন		ও দুটি করে
হের গো জড়ায়ে		মিনতি করে।
খুলিয়া ধূলায়		ফেলো না গো তায়,
সাধিছে নূপুর		চরণ ধ’রে।
হের গো তীরে		কাঁদিয়া ফিরে
আজি ও-রূপের		রঙের মেলা।।

বাণী

প্রদীপ কি জ্বলিল আবার।
দিন কি গো শেষ হল মোর নিরাশার।।
বিরহ দাহন কি গো ফুরালো
বৈকালি বায়ে তনু জুড়ালো,
উঠিবে কি চাঁদ আর রবে না আঁধার।।
সে কি গো রাধারে ত্যজিয়া ব্রজপথে
আরোহিবে মথুরার রথে,
যমুনায় আবার কি বহিবে জোয়ার।।

বাণী

দোহাই তোদের! এবার তোরা সত্যি করে সত্য বল্।
ঢের দেখালি ঢাক ঢাক গুড় গুড় ঢের মিথ্যা ছল।।
পেটে এক আর মুখে আরেক — এই যে তোদের ভন্ডামি,
এতেই তোরা লোক হাসালি, বিশ্বে হলি কম্‌-দামি।
নিজের কাছেও ক্ষুদ্র হলি আপন ফাঁকির আফসোসে,
বাইরে ফাঁকা পাঁয়তারা তাই, নাই তলোয়ার খাপ-কোষে।
তাই হলি সব সেরেফ আজ কাপুরুষ আর ফেরেব-বাজ
সত্য কথা বলতে ডরাস তোরাই আবার করবি কাজ —
				ফোঁপরা ঢেঁকির নেইক লাজ।
ইলশেগুড়ি বৃষ্টি দেখেই ঘর ছুটিস্‌ সব রাম-ছাগল!
যুক্তি তোদের খুব বুঝেছি, দুধকে দুধ আর জলকে জল।।

বাণী

চঞ্চল মলয় হাওয়া শোন শোন মিনতি।
গুণ্ঠন খুলো না মোর, আমি নব যুবতী।।
অঙ্গে জাগেনি যার আজিও অনঙ্গ
অসময়ে কেন তার কর রস ভঙ্গ,
লুকায় মুকুল হের পাতার আঁচলে
ভোমরার ভয়ে ভীরু বন-মালতী।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’