জীবন যাপন করিতে
বাণী
জীবন যাপন করিতে, চাষ কর বিধিমতে, রবে যদি সুখেতে — এই পৃথিবী মাঝার।। জমি ‘উগালে’ ‘সামালে’ বীজ ফেলাও কুতুহলে, পাবে তবে সেই ফসলে — মেহনতের সার।। লাগাও ধান প্রধান ফসল, তরকারি কলাই সকল, দাও সময় মত জল — যাতে প্রাণ বাঁচে তার।। অরি হতে ফসলে রক্ষা কর সকলে, নজরুল এসলাম বলে — নইলে বাঁচা হবে ভার।।
লেটো গান : ‘চাষার সঙ’
খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত
বাণী
খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত। দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি ক্ষুধা পেলে লবণ-ভাত।। মাঠে সোনার ফসল দিও, দিও গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়, দিও হৃদয় ভরা শান্তি দিও – (খোদা) সেই তো আমার আবহায়াত।। আমায় দিয়ে কারুর ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়, আমি কারুর ভয় না করি, মোরেও কেহ ভয় না পায়, খোদা। (যবে) মস্জিদে যাই তোমারি টানে (যেন) মন নাহি ধায় দুনিয়া পানে আমি ঈদের চাঁদ দেখি যেন আস্লে দুখের আঁধার রাত।।
ঈদজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ
বাণী
ঈদজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ এলো আবার দুস্রা ঈদ কোর্বানি দে কোর্বানি দে শোন্ খোদার ফর্মান তাকিদ।। এমনি দিনে কোর্বানি দেন পুত্রে হজরত ইব্রাহীম, তেমনি তোরা খোদার রাহে আয় রে হবি কে শহীদ্।। মনের মাঝে পশু যে তোর আজকে তা’রে কর্ জবেহ, পুল্সেরাতের পুল হ’তে পার নিয়ে রাখ্ আগাম রসিদ্।। গলায় গলায় মিল্ রে সবে ভুলে যা ঘরোয়া বিবাদ, মিলনের ঈদগাহ্ গড়ে তোল্ প্রাণ দিয়ে তার তোল্ বুনিয়াদ।। মিলনের আর্ফাত ময়দান হোক আজি গ্রামে গ্রামে, হজের অধিক পাবি সওয়াব এক হ’লে সব মুসলিমে। বাজবে আবার নূতন ক’রে দ্বীনি ডঙ্কা, হয় উমীদ্।। ইসমাইলের মতন যদি কোর্বানি পারিস হতে দেখব আবার তোদের মাঝে দিশারি মুসা, খালিদ।।
আল্লা রসুল তরু আর ফুল
বাণী
আল্লা রসুল তরু আর ফুল প্রেমিক-হৃদয় জানে। কেহবা তরুরে ভালোবাসে ভাই, কেহ ফুল ধ’রে টানে।। কেহবা ফুলের মধু চায়, কেহ চায় সে-গাছের ছায়া গাছের ছায়ায় জুড়াইয়া পায় গুল্ সুবাসের মায়া, তুরু ছুঁয়ে বোঝে আল্লা রসুলে রসলীলা কোন্খানে।। কোন জন চাহে গুলের খশ্বু, কোন জন চাহে গুল্ খশ্বুর সাথে ফুলেরেও চাহে প্রেমিক যে বুল্বুল। জালালের সাথে জামালেও চাহে, প্রেমিক যে বুল্বুল।। আল্লারে ভালোবেসে যার গেছে সকল দ্বিধা ও ভয় রসুল তাহারে প্রেম দিয়ে কন্, আল্লা যে প্রেমময়, তিনি যে কেবল বিচারক নন, আল্লা যে প্রেমময়, মজনুর মত দিওয়ানা সে যে লাইলার মধুপানে।।
কবে সে মদিনার পথে
বাণী
কবে সে মদিনার পথে, গিয়াছে সুজন। বহায়ে নয়ন বারি, ভিজিল বসন।। রমজানের ঐ চাঁদ নবী, পাঠাইলেন নূরের খুবী, পাগল করে আমার হিয়া করেছে হরণ।। পশুপাখি তরুলতা, তারা শুধায় পারের কথা, আমি একলা বসে ভাবছি হেথা নবীজীর কারণ।। বেড়াই আমি পথে পথে, খুঁজে না পাই মদিনাতে, কোথায় গেলেন পাক মোস্তফা অমূল্য রতন।। [দুখুমিয়ার লেটোগান, সংগ্রহ ও সম্পাদনা : মুহম্মদ আয়ুব হোসেন, বিশ্বকোষ পরিষদ, কলকাতা, ২০০৩]
রেকর্ড
কবে সে মদিনা পথে গিয়াছে সুজন। বহায়ে নয়ন-বারি (আমার) ভিজায়ে বদন।। রমজানের চাঁদে নবী, পাঠায় সদা নূরের ছবি, পাগল করে আমার মন করেছে হরণ।। পশুপাখি তরুলতা, তাদের শুধাই পথের কথা, কেমনে পাবো সে চাঁদে জীবন-শরণ।। খুঁজে সে মদিনা-নাথে, কেঁদে ফিরি পথে পথে, কোথা গেলে পাবো আমি ও রাঙা চরণ।।