অসুর-বাড়ির ফেরত এ মা
বাণী
অসুর-বাড়ির ফেরত এ মা শ্বশুর-বাড়ির ফেরত নয়। দশভুজার করিস পূজা ভুলরূপে সব জগতময়।। নয় গোরী নয় এ উমা মেনকা যার খেতো চুমা রুদ্রাণী এ, এযে ভূমা এক সাথে এ ভয়-অভয়।। অসুর দানব করল শাসন এইরূপে মা বারে বারে, রাবণ-বধের বর দিল মা এইরূপে রাম-অবতারে। দেব-সেনানী পুত্রে লয়ে মা এই বেশে যান দিগ্বিজয়ে সেই রূপে মা’র কর্রে পূজা ভারতে ফের আসবে জয়।।
কোন্ ফুলেরি মালা দিই তোমার গলে
বাণী
পুরুষ : কোন্ ফুলেরি মালা দিই তোমার গলে লো প্রিয়া বুলবুল গাহিয়া উঠে তব ফুলেল পরশ নিয়া॥ স্ত্রী : হাতে দিও হেনার গুছি কেশে শিরিন ফুল। কর্ণে দিও টগর কুঁড়ি অপ্রাজিতার দুল। বুন্দকলির মালা দিও নাই পেলে বকুল ফুলের সাথে হৃদয় দিতে হয় না যেন ভুল॥ পুরুষ : কোন ভূষণে রানী ও রূপের করি আরতি হয় সোনার বরণ মলিন হেরি তোমার রূপের জ্যোতি। স্ত্রী : তোমার বাহুর বাঁধন প্রিয় সেই তো গলার হার হাতে দিও মিলন রাখি খুলবে না যা আর। কানে দিও কানে কানে কথার দু’টি দুল নিত্য নূতন ভূষণ দিও প্রেমের কামনার॥ পুরুষ : কোন নামেতে ডাকি সাধ না মেটে কোনো নামে তব নাম-গানে সব কবি হার মানে ধরাধামে। স্ত্রী : সুখের দিনে সখি ব’লো সেই তো মধুর নাম দুখের দিনে বন্ধু ব’লে ডেকো অবিরাম। নিরালাতে রানী বলো শ্রবণ অভিরাম বুকে চেপে প্রিয়া ব’লো সেই তো আমার নাম॥
নাটিকাঃ ‘বিয়ে বাড়ি’
ওকি ঈদের চাঁদ গো
বাণী
ওকি ঈদের চাঁদ গো! চলে মদিনারই পথে গো! যেন হাসিন্ য়ুসোফ্ ফিরে এলো ফিরদৌস হতে গো।। যাহারা তার রূপ দেখে তারা ঝুরিছে আস্মানে গুল্ ভুলে তাই বুল্বুলি চেয়ে আছে গুলিস্তানে। বুঝি বেহেশ্তেরই বাদশাজাদা এলো সোনার রথে গো।। সাদা কবুতরের মত চরণ দুটি ছুঁয়ে, গোলাপ চাঁপা উঠছে ফুটে ধূলিমাখা ভুঁয়ে গো। সেই চাঁদের মুখে জোছনা সম খোদার কালাম ঝরে তা’র রূপ দেখে, তা’র গুণ শুনে মোর মন রহে না ঘরে লো, আমি উন্মাদিনী সেই মাদানী নবীর মোহব্বতে গো।।
আমি নূতন ক’রে গড়ব ঠাকুর
বাণী
আমি নূতন ক’রে গড়ব ঠাকুর কষ্টি পাথর দে মা এনে। দিব হাতে বাঁশি মুখে হাসি ডাগর চোখে কাজল টেনে।। মথুরাতে আর যাবে না, মা যশোদায় কাঁদাবে না, রইবে ব্রজগোপীর কেনা, চলবে রাধার আদেশ মেনে।। শ্রীচরণ তার গড়ব না মা, গড়লে চরণ পালিয়ে যাবে নাইবা শুনলে নূপুর-ধ্বনি, ঠাকুরকে তো কাছে পাবে। চরণ পেলে দেশে দেশে, কুরুক্ষেত্র বাঁধাবে সে — গন্ধমালা দিসনে মাগো, ভক্ত ভ্রমর ফেলবে জেনে।। দেখে কখন করবে চুরি একলা ঘরে মরব ঝুরি, গন্ধমালা দিসনে মাগো, ভক্ত ভ্রমর ফেলবে জেনে।।
গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে
বাণী
গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে। হে প্রভু! তোমারে প্রকৃতি বন্দে।। চন্দ্র সূর্য কত শত গ্রহ তারা তোমারে ঘিরি’ নাচে প্রেমে মাতোয়ারা, অনন্ত কাল ঘোরে ধূমকেতু উল্কা আগুন জ্বালায়ে বুকে উগ্র আনন্দে লীলায়িত সিন্ধু অবোধ১ উল্লাসে২, মেঘ হ’য়ে উড়ে যেতে চায় তব পাশে। নব নব সৃষ্টি বৃষ্টিধারার প্রায় সেই ছন্দের তালে অবিরাম ঝ’রে যায়, ধরণীর গোপন অনুরাগ ভক্তি ফুটে ওঠে নীরব পুষ্প-সুগন্ধে।।
১. প্রেম ২. ভাব উল্লাসে