বাণী

ক্ষমা সুন্দর আল্লা, মোদের ভয় দেখিও না আর।
দোজখের ভয়ে হতে পারিনা হে প্রিয়তম, বেড়াপার।।
		কেন দুনিয়ায় পাঠাইলে
		কেন গুনাহের বোঝা দিলে,
তুমি তো জানিতে দুনিয়ায় পুড়ে মরিব যে তিলে তিলে।
		হেথা পদে পদে করি অপরাধ
		তোমারে পাওয়ার তবু জাগে সাধ,
অপরাধ শুধু দেখ কি গো তুমি, রোদন দেখনা তার।।
হে পরম প্রিয়, তোমারে খুঁজিতে গিয়া মোরা কত ভুল পথে চলি
তুমি ভেবে খেলি সুন্দর মায়া নিয়া পরে বিষের দাহনে জ্বলি।।
তুমি জান স্বামী তব পথে কত কণ্টক, কত বাধা,
যে পথে যাই সেই পথে লাগে দুনিয়ার ধুলো-কাদা।
		জন্ম-অন্ধ জানি না কাহারে
		তুমি ভেবে হাত জড়াইয়া ধরে,
দু’চোখে নূরের তৃষ্ণা ল’য়ে কি পাব দোজখের নীর।।

বাণী

এসো প্রিয়, মন রাঙায়ে ধীরে ধীরে ঘুম ভাঙায়ে
মন মাধবী বন দুলায়ে, দুলায়ে, দুলায়ে।।
শোন ‘পিউ পিউ’ ডাকে পাপিয়া
মোরে সেই সুরে ডাক ‘পিয়া, পিয়া’
তব আদর-পরশ বুলায়ে, বুলায়ে, বুলায়ে।।
	যদি আন কাজে ভুলে রহি
	চলে যেও না হে মোর বিরহী
দিও প্রিয়, কাজ ভুলায়ে, ভুলায়ে, ভুলায়ে।।

বাণী

ঐ চলে তরুণী গোরী গরবী।
ডাকে দূর পারাবার ডাকে তারে বন পার —
লালসে ঝরে তার পায় রাঙা করবী।।
	চলে বালা দুলে দুলে
	এলো খোঁপা পড়ে খুলে,
চাহি ভ্রমর কুসুম ভুলে — তনুর তার সুরভি।।
	নাচের ছন্দে দোলে
	টলে তার চরণ চটুল,
	হরিণী চায় পথ বেভুল —
মায়া লোক বিহারিণী রচি’ চলে ছায়াছবি।।

বাণী

স্নিগ্ধ-শ্যাম-বেণী-বর্ণা এসো মালবিকা
অর্জুন-মঞ্জরি-কর্ণে গলে নীপ-মালিকা, মালবিকা।।
ক্ষীণা তন্বী জল-ভার-নমিতা
শ্যাম জম্বু-বনে এসো অমিতা
আনো কুন্দ মালতী যুঁই ভরি থালিকা, মালবিকা।।
ঘন নীল বাসে অঙ্গ ঘিরে
এসো অঞ্জনা রেবা-নদীর তীরে।
পরি’ হংস-মিথুন আঁকা শাড়ি ঝিল্‌মিল্‌
এসো ডাগর চোখে মাখি সাগরের নীল
ডাকে বিদ্যুৎ ইঙ্গিতে দিগ্‌-বালিকা, মালবিকা।।

বাণী

বোন		:	সাত ভাই চম্পা কে কি হবি বল। তোরা কে কি হবি বল 
			কেলো, ভূলো, হেবো, পচা, ভুতো, ন্যাড়া, ডল্।
প্রথম ভাই	:	আমি হব কাব্‌লিওয়ালা এক কুলো চাপ দাড়ি।
			‘তেরে মুসে আগা, মোর মা গায়া, লেয়াও রূপী তাড়াতাড়ি’।
দ্বিতীয় ভাই	:	আমি হব পন্ডিত মশাই, কাঁপবে ছেলের দল
			দেখে কাঁপবে ছেলের দল।।
তৃতীয় ভাই	:	আমি হব ফেরিওয়ালা চাই চানাচুর ঘুগ্‌নিদানা!
			পাড়ায় পাড়ায় ফিরব ঘুরে পারবে না কেউ করতে মানা!
			রাত্রে হাঁক্‌ব ‘কুলফী বরফ’ হায় কি মজার কল।।
চতুর্থ ভাই	:	আমি হব জজ সাহেব, দিব ফাঁসি ছ’ মাস ক’রে
পঞ্চম ভাই	:	দারোগা আমি, তোর জজকে চালান দিব থানায় ধ’রে।
ষষ্ঠ ভাই	:	আমায় দেখে দারোগা গুড়ুম
			আমি হব কনিষ্ঠ-বল।।
সপ্তম ভাই	:	আমি হব বাবার বাবা মা সে আমার ভয়ে
			ঘোম্‌টা দিয়ে লুকোবে কোণে চূনি-বিল্লি হয়ে!
			বল্‌ব বাবায়, ওরে খোকা শিগ্‌গির পাঠশাল্ চল্।।

বাণী

আমার		গহীন জলের নদী
আমি			তোমার জলে ভেসে রইলাম জনম অবধি।।
ও ভাই		তোমার বানে ভেসে গেল আমার বাঁধা ঘর
আমি			চরে এসে বস্‌লাম রে ভাই ভাসালে সে চর।
এখন			সব হারিয়ে তোমার জলে রে আমি ভাসি নিরবধি।।
			ঘর ভাঙিলে ঘর পাব ভাই ভাঙ্‌লে কেন মন
ও ভাই		হারালে আর পাওয়া না যায় মনেরি রতন।
ও ভাই		জোয়ারে মন ফেরে না আর রে ও সে ভাটিতে হারায় যদি।।
তুমি			যখন ভাঙ রে নদী (ভাঙ যখন কূল রে নদী) ভাঙ একই ধার
আর			মন যখন ভাঙ রে নদী দুই কূল ভাঙ তার
ও ভাই		চর পড়ে না মনের কূলে রে
ও সে			একবার সে ভাঙে যদি, ও ভাই একবার সে ভাঙে যদি।।