বাণী

এসো 	নওল কিশোর এসো এসো, লুকায়ে রাখিব আঁখিতে মম।
		আমার আঁখির ঝিনুকে বন্দী রহিবে মুকুতা সম।।
			তুমি ছাড়া আর এই পৃথিবীতে
			এ আঁখি কারেও পাবে না দেখিতে,
		তুমিও আমারে ছাড়া আর কারেও হেরিবে না প্রিয়তম।।
		লুকায়ে রাখিব ফণিনী যেমন মানিক লুকায়ে রাখে,
		ঘিরিয়া থাকিব দামিনী যেমন শ্যাম মেঘ ঘিরে থাকে।
			মেঘ হয়ে আমি হে চাঁদ তোমায়
			আবরি’ রাখিব আঁখির পাতায়,
		নিশীথে জাগিয়া কাঁদিব দু’জন প্রিয় হে, চির জনম।।

বাণী

	এলো ঈদল-ফেতর এলো ঈদ ঈদ ঈদ।
	সারা বছর যে ঈদের আশায় ছিল নাক’ নিদ।।
	রোজা রাখার ফল ফ’লেছে দেখ রে ঈদের চাঁদ,
	সেহরী খেয়ে কাটল রোজা, আজ সেহেরা বাঁধ,
			ওরে বাঁধ আমামা বাঁধ।
	প্রেমাশ্রুতে ওজু ক’রে চল্ ঈদগাহ মসজিদ।।
(আজ)	ছিটায় মনের গোলাব-পাশে খুশির গোলাব-পানি
(আজ)	খোদার ইস্কের খুশবু-ভরা প্রাণের আতরদানি,
	ভরল হৃদয়-তশ্‌তরিতে শিরনি তৌহিদ।।
(দেখ্)	হজরতের হাসির ছটা ঈদের চাঁদে জাগে
	সেই চাঁদেরই রং যেন আজ সবার বুকে লাগে,
(এই)	দুনিয়াতেই মিটল ঈদে বেহেশ্‌তী উমিদ।।

নাটিকা : ‘ঈদ’ (বিদৌরার গান)

বাণী

পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে।
‘পিউ পিউ পিউ কাঁহা’ পাপিয়া পিয়া বোলে।।
সে পিয়া পিয়া সুরে বাদল ঝুরে, নদী-তরঙ্গ দোলে।
কূলে কূলে কুলু কুলু নদী-তরঙ্গ দোলে।
ফুটিল দল মেলি’ কেতকী, বেলি, শিখী পেখম খোলে।
দু’লে দু’লে দু’লে নেচে’ শিখী পেখম খোলে।।
পিয়ায় যা’রা নাহি পেল হেথায়, তাহারা কি
এসেছে ধরায় পুন হইয়া পাপিয়া পাখি?
দেখিয়া ঘরে ঘরে তরুণীর কালো আঁখি
‘পিউ কাঁহা পিউ কাঁহা’ আজিও উঠিছে ডাকি’!
পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে।।

বাণী

নতুন খেজুর রস এনেছি মেটে কলস ভ'রে
ভিন গাঁ হতে এনে গো রস-পিয়াসি
ও আমার রস-পিয়াসি রসিক জনের তরে।।
	মিঠে রোদে শীতের দিনে
	তরুণ-বঁধূ লও গো কিনে
ফাগুন-হাওয়া বইবে প্রাণে, ওগো হালকা নেশার ঘোরে।।
মলিন মুখে দিয়ে দেখ নলিন খেজুর-গুড়
বাহির-ভিতর হবে তাহার মিষ্টিতে ভরপুর
	ওগো মিষ্টিতে ভরপুর।
	মোর তনুর চেয়ে অনেক বেশি
	মধুর এ রস ও বিদেশি,
রস না পিয়েও ঝিমিয়ো না গো নেশায় অমন ক'রে।।

বাণী

আজি নাহি কিছু মোর মান-অপমান ব’লে।
সকলি দিয়াছি মোর ঠাকুরের রাঙা চরণের তলে॥
		মোর দেহ-প্রাণ, জাতি কুল মান,
		লজ্জা ও গ্লানি আর অভিমান;
(আমি) দিছি চিরতরে জলাঞ্জলি গো কালো যমুনার জলে॥
মোরে যদি কেহ ভালোবাসে আজ জল আসে আঁখি ভ’রে।
মোর ছল ক’রে সে যে ভালোবাসে মোর শ্যামসুন্দরে।
মোরে		না বুঝিয়া কেহ করিলে আঘাত
		কেঁদে বলি, ওরে ক্ষমা করো নাথ্
বৃন্দাবনে যে প্রেম মধুর হয় আঘাত নিন্দাছলে॥

বাণী

		সাধ জাগে মনে পর-জীবনে
(আমি)	তব কপোলে যেন তিল হই।
		ভালবাসিয়া মোরে দিল্‌ দিবে তুমি
(যেন)		আমি তোমার মত বে-দিল্‌ হই।।
		মোর দেওয়া যে হার নিলে না অকরুণা
(যেন)		হয়ে সে হার তব বক্ষে রই।।
		যাহারে ভালবেসে তুমি চাহ না মোরে
		মরিয়া আসি যেন তাহারি রূপ ধ’রে
(তুমি)		হার মানিবে আমি হ’ব জয়ী।।
		হৃদি নিঙাড়ি মম আল্‌তা হব পায়ে
		অধরে হব হাসি রূপ-লাবনি গায়ে
		আমার যাহা কিছু তোমাতে হবে হারা
(প্রিয়)		তুমি জানিবে না আমা বৈ।।