বাণী

প্রথম প্রদীপ জ্বালো মম ভবনে হে আয়ুষ্মতী
আঁধার ঘিরে' আশার আলো আনুক তোমার গৃহের জ্যোতি।।
	হেরিয়া তোমার আঁখির আলোক
	বিষদিত সাঁঝ পুলকিত হোক,
যেন দূরে যায় সব দুখ শোক, তব শঙ্খরব শুনি', হে সতী।।
	কাঁকন পরা তব শুভ কর
	মুখর করুক এ নীরব ঘর
এ গৃহে আনুক বিধাতার বর তোমার মধুর প্রেম-আরতি।।

বাণী

অন্ধকারের তীর্থপথে ভাসিয়ে দিলাম নামের তরী
মায়া মোহের ঝড় বাদলে এবার আমি ভয় না করি।
	যে নাম লেখা তারায় তারায়
	যে নাম ঝরে অশ্রুধারায়
যাত্রা শুরু সেই নামেরি জপমালা বক্ষে ধরি।।
এই আঁধারের অন্তরালে লক্ষ রবি চন্দ্র জ্বলে
নিত্য ফোটে আলোর কমল জানি তোমার চরণ তলে।
	এবার ওগো অশিব নাশন
	থামাও তোমার ঢেউর নাচন
সেই ত অমর মরণ যদি ধ্যান সাগরে ডুবে মরি।।

বাণী

ওরে		আজই না হয় কালই তোরে কালী কালী বল্‌তে হবে।
তুই 		কাঁদ্‌বি ধ’রে কালীর চরণ মহাকাল আসিবে যবে।।
		তুই জন্মের আগে ছিলি শিখে মা বল্‌তে মা কালীকে,
তুই 		ভুল্‌লি আদি-জননীকে দু’দিন মা পেয়ে ভবে।।
তুই 		কালি দিয়ে লিখ্‌লি হিসাব কেতাব-পুঁথি শিখ্‌লি পড়া,
তোর		মাঠে ফসল ফুল্ ফুটালো কালো মেঘের কালি-ঝরা।
		তোর চোখে জ্বলে কালীর কালো তাই জগতে দেখিস্ আলো,
(কালি)	প্রসাদ গুণে সেই আলো তুই হৃদ্‌পদ্মে দেখ্‌বি কবে।।

বাণী

নিশি-ভোরে অশান্ত ধারায় ঝরঝর বারি ঝরে।
আকাশ-পারের বিরহীর বীণা যেন সুর ঝুরে আকুল স্বরে।।
কাহার মদির নিঃশ্বাস আসে
বকুলের বনে ঝরা ফুল বাসে
কর হানি দ্বারে যেন বারে বারে
খোল দুয়ার বলি ডাকে ঘুমঘোরে।।
ডাকে কেয়া বনে ডাহুক কেকা
বিরহের ভার বহি কত আর একা
ম্লান হয়ে এলো চোখে কাজলের লেখা অশ্রু-লোরে।।

বাণী

শাদী মোবারকবাদী শাদী মোবারক।
দেয় মোবারক-বাদ আলম রসুলে-পাক আল্লা হক।।
	আজ এ খুশির মাহফিলে
	দুলহা ও দুলহিনে মিলে
	মিলন হল প্রাণে প্রাণে
		মাশুক আর আশক।।
	আউলিয়া আম্বিয়া সবে
	এসো এ মিলন-উৎসবে,
	দোয়া কর আজ এ খুশির
		গুলিস্তান গুলজার হোক।।

নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’

বাণী

আরো নূতন নূতনতর শোনাও গীতি গানেওয়ালা।
আরো তাজা শারাব ঢালো, কর কর হৃদয় আলা।।
অকুণ্ঠিত চিতে ব’স নিরালা ভোর হাওয়ার সাথে,
পুরাও আশা পিয়ে সুধা নিতুই নূতন অধর-ঢালা।।
কর ত্বরা, এ আব-খোরা ভরাও নূতন শারাব দিয়ে,
নাহি গো মোর সাকির হাতে চাঁদির গেলাস, চাঁদের থালা।।
কি স্বাদ পেলে জীবন-মধুর শারাব যদি না হয় সাথি,
স্মরণে তার আরো তাজা আনো শারাব ভর-পিয়ালা।।
আরো নূতন রঙে রেখায় গন্ধে রূপে, দিল-পিয়ার
আমার প্রিয়া! আমার তরে কর এ নিখিল উজালা।।
প্রিয়ার ছায়া-বীথির পথে যাবে যখন, ভোরের হাওয়া,
নূতন করে শুনায়ো তায় হাফিজের এ গান নিরালা।।