বাণী

সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
গোলাপ ফুলের টুকটুকে রঙ চোখে লাগে ফিকে।।
	নাই বৃষ্টি বাদল ওলো,
	দৃষ্টি কেন ঝাপসা হলো?
অশ্রু জলের ঝালর দোলে চোখের পাতার চিকে।।
পলাশ-কলির লাল আঁখরে বনের দিকে দিকে
গোপন আমার ব্যথার কথা কে গেল সই লিখে।
	মনে আমার পাইনে লো খেই;
	কে যেন নেই, কি যেন নেই।
কে বনবাস দিল আমার মনের বাসন্তীকে।।

বাণী

		প্রিয়ে ... বলি ও-প্রিয়ে ... তুমি দেখ ...।
		[কাঁপা-কন্ঠে আবৃত্তির ঢঙে বলা হয়েছে]
পুরুষ	:	প্রিয়ে! বলি, ও প্রিয়ে! তুমি দেখ!
		দেখ বিরহের দাবানল জ্বলে গোঁফ-দাড়িতে।
স্ত্রী	:	ও-স’রে যা, সে আগুন লেগে যাবে শাড়িতে॥
পুরুষ	:	একে ভীষণ ফাগুন মাস
স্ত্রী	:	ওগো তাই বুছি হাঁসফাঁস ?
পুরুষ	:	কাপাস ফলের মত ফেটে পড়ে হিয়া গো,
স্ত্রী	:	প্রেম-তুলো বের হয়ে পড়ে ছড়াইয়া গো,
উভয়ে:	রব্ ওঠে ভোঁস্-ভাঁস্ হৃদি-রেলগাড়িতে॥
পুরুষ	:	আজি এ বিরহের কাঠ-ঠোক্রা, ঠোক্রায় প্রেমের টাকে,
স্ত্রী	:	ওগো এ হেন বেয়াধি হলে টাকে, মধ্যম-নারায়ণ তেল মাখে।
পুরুষ	:	হায়-হায়-হায়-হায়-হায়
		আমাদের মাঝে কে রচিবে মিলনের সাঁকো।
স্ত্রী	:	থাক্ থাক্, পুরুতঠাকুর ইঞ্জিনিয়ার
		তারে তাড়াতাড়ি ডাকো, ডাকো, একবার ডাকো না ?
উভয়ে:	আগুন লাগিল ওরে দাড়ি আর শাড়িতে
		যুগল মিলন হ’ল ধেড়ে আর ধাড়িতে॥

বাণী

এ ঘনঘোর রাতে
ঝুলন দোলায় দুলিবে মম সাথে।।
এসো নব জলধর শ্যামল সুন্দর
জড়ায়ে রাধার অঙ্গ বাঁশরি লয়ে হাতে।।

বাণী

রেশমি চুড়ির তালে কৃষ্ণচূড়ার ডালে
‘পিউ কাহাঁ পিউ কাহাঁ’ ডেকে ওঠে পাপিয়া।।
	আঙিনায় ফুল-গাছে
	প্রজাপতি নাচে,
ফেরে মুখের কাছে আদর যাচিয়া।।
	দুলে দুলে বনলতা
	কহিতে চাহে কথা,
বাজে তারি আকুলতা — কানন ছাপিয়া।।
	শ্যামলী-কিশোরী মেয়ে
	থাকে দূর নভে চেয়ে,
কালো মেঘ আসে ধেয়ে — গগন ব্যাপিয়া।।

বাণী

নয়ন ভরা জল গো তোমার আঁচল ভরা ফুল
ফুল নেব না, অশ্রু নেব ভেবে হই আকুল।।
	ফুল যদি নিই তোমার হাতে
	জল রবে না১ নয়ন পাতে
অশ্রু নিলে ফুটবে না আর প্রেমের মুকুল।।
মালা যখন গাঁথ তখন পাওয়ার সাধ যে জাগে
মোর বিরহে কাঁদ যখন আরও ভালো লাগে।
	পেয়ে তোমায় যদি হারাই
	দূরে দূরে থাকি গো তাই
ফুল ফোটায়ে যায় গো চলে চঞ্চল বুলবুল।।

১. গো

বাণী

কাঁদিস্‌নে আর কাঁদিস্‌নে মা, আমি মা তোর দুঃখ ঘুচাব।
বসন-ভূষণ দেব এনে মা তোর চোখের জল মুছাব।।
	তুই হবি মা রাজ-জননী
	এনে দেব রত্ন-মণি,
রাজার আসন আন্‌ব ছিনি তোরে সেই আসনে বসাব।।

চলচ্চিত্র : ‘ধ্রুব’ (ধ্রুবের গীত)