কিশোরী মিলন-বাঁশরি
বাণী
কিশোরী, মিলন-বাঁশরি শোন বাজায় রহি’ রহি’ বনের বিরহী — লাজ বিসরি’ চল জল্কে। তার বাঁশরি শুনি’ কথার কুহু ডেকে ওঠে কুহুকুহু - মুহুমুহু; রস-যমুনা-নীর হ’ল অধীর, রহে না থির; ও তার দু-কূল ছাপায়ে তরঙ্গদল ওঠে ছল্কে॥ কেন লো চম্কে দাঁড়ালি থম্কে — পেলি দেখতে কি তোর প্রিয়তম্কে! পেয়ে তারি কি দেখা নাচিছে কেকা, হ’ল উতলা মৃগ কি দেখে চপল্কে॥
নাটকঃ ‘চক্রব্যূহ’
এই শিকল পরা ছল
বাণী
এই শিকল পরা ছল মোদের এ শিকল-পরা ছল। এই শিকল পরেই শিকল তোদের করব রে বিকল।। তোদের বন্ধ কারায় আসা মোদের বন্দী হতে নয়, ওরে ক্ষয় করতে আসা মোদের সবার বাঁধন–ভয়। এই বাঁধন প’রেই বাঁধন–ভয়কে কর্ব মোরা জয়, এই শিকল– বাঁধা পা নয় এ শিকল ভাঙা কল।। তোমার বন্ধ ঘরের বন্ধনীতে কর্ছ বিশ্ব গ্রাস, আর ভয় দেখিয়েই ক’র্বে ভাবছ বিধির শক্তি হ্রাস সেই ভয় দেখানো ভূতের মোরা ক’র্বো সর্বনাশ, এবার আন্বো মাভৈঃ বিজয়–মন্ত্র বল–হীনের বল।। তোমরা ভয় দেখিয়ে কর্ছ শাসন জয় দেখিয়ে নয়; সেই ভয়ের টুঁটি ধর্ব টিপে কর্ব তারে লয়। মোরা আপনি ম’রে মরার দেশে আন্ব বরাভয়, প’রে ফাঁসি আন্ব হাসি মৃত্যু–জয়ের ফল।। ওরে ক্রন্দন নয় বন্ধন এই শিকল–ঝঞ্ঝনা, এ যে মুক্তি–পথের অগ্রদূতের চরণ–বন্দনা! এই লাঞ্ছিতেরাই অত্যাচারকে হান্ছে লাঞ্ছনা, মোদের অশ্রু দিয়েই জ্ব’লবে দেশে আবার বজ্রানল।।
ছেড়ে দাও মোরে আর হাত ধরিও না
বাণী
ছেড়ে দাও মোরে আর হাত ধরিও না প্রেম যারে দিতে পারিলে না তারে আর কৃপা করিও না।। আমি করুনা চাহিনি কভু কারো কাছে বহু লোক পারে, তব কৃপা যারা যাচে যারে হৃদয়ে দিলে না ঠাঁই তার তরে কাদিঁও আখিঁজল ঝুরিও না।। ভুল করেছিনু যেথা শুধু বিষ অসুন্দরের ভিড়, সেই পৃথিবীতে কেঁদেছি খুজিঁয়া প্রেম-যমুনার তীর। যার তরণী ভাসিল বিরহের পারাবারে পিছু ডেকে আর ফিরাতে চেয়ো না তারে আমারে পাষাণ-বিগ্রহ ক'রে আর মালা পরিও না।।
লায়লী লায়লী ভাঙিয়ো না ধ্যান মজনুর
বাণী
লায়লী! লায়লী! ভাঙিয়ো না ধ্যান মজনুর এ মিনতি। লায়লী কোথায়? আমি শুধু দেখি লা এলা'র জ্যোতি।। পাথর খুঁজিয়া ফিরিয়াছি প্রিয়া প্রেম-দরিয়ার কূলে, খোদার প্রেমের পরশ-মানিক পেলাম কখন ভুলে। সে মানিক যদি দেখ একবার মজনুরে তুমি চাহিবে না আর জুলেখা-ইয়ুসুফ লাজ মানে হেরি' তাহার খুব -সুরতি।। মজনুরে ও যে লায়লী ভোলায় সে যে কত সুন্দর বুঝিবে লায়লী যদি তুমি তারে নেহার এক নজর। সাধ মিটিবে না হেথা ভালোবেসে, চল চল প্রিয়া লা এলা'র দেশে নিত্য মিলনে ভুলিব আমরা এই বিরহের ক্ষতি।।
খয়বর-জয়ী আলী হায়দার জাগো
বাণী
খয়বর-জয়ী আলী হায়দার, জাগো জাগো আরবার। দাও দুশমন দুর্গ-বিদারী দু'ধারী জুলফিকার।। এসো শেরে খোদা ফিরিয়া আরবে, ডাকে মুসলিম ‘ইয়া আলী’ রবে, — হায়দারী হাঁকে তন্দ্রা-মগনে করো করো হুঁশিয়ার।। আল-বোর্জের চূড়া গুঁড়া-করা গোর্জ আবার হানো, বেহেশতী সাকী মৃত এ জাতিরে আবে কওসার দানো। আজি বিশ্ব-বিজয়ী জাতি যে বেহোঁশ দাও তারে নব কুয়ৎ ও জোশ; এসো নিরাশায় মরু-ধূলি উড়ায়ে দুল্দুল্-আস্ওয়ার।।