ত্রিজগত আলো করে আছে
বাণী
ত্রিজগত আলো করে আছে কালো মেয়ের পায়ের শোভা। মহাভাবে বিভোর শঙ্কর, ঐ পা জড়িয়ে মনোলোভা।। দলে দলে গগন বেয়ে গ্রহ তারা এলো ধেয়ে, ঐ চরণ শোভা দেখবে বলে, ঐ পায়ের নূপুর হওয়ার ছলে সেই শোভা কেমন বলতে গিয়ে ব্রহ্ম হলো চিরমৌনী বোবা।। ঐ চরণ শোভা দেখার তরে, যোগী থাকেন ধেয়ান ধ'রে ত্রিভুবন ভুলে অনন্তকাল যোগী থাকেন ধেয়ান ধ'রে। ও শুধু চরণ শোভা নয়, ঐ যে পরব্রহ্ম জ্যোতি শ্রী চণ্ডী বেদ পুরাণে ওরই প্রেম-আরতি মা দেখ্ত যদি নিজের চরণ নিজেই দিত বিল্বজবা আপনার ঐ রাঙা পায়ে নিজেই দিত বিল্বজবা।।
এসো মাধব এসে পিও মধু
বাণী
এসো মাধব এসে পিও মধু। এসো মাধবী লতার কুঞ্জ বিতানে (মধু) মাধবী রাতে এসো বঁধু।। এসো মৃদুল মধুর পা ফেলে এসো ঝুমুর ঝুমুর ঘুমুর বাজায়ে শ্রবণে অমিয়া মধু ঢেলে, এসো বাজায়ে বাঁশরি যে সুর-লহরী শুনে কুল ভোলে ব্রজবধূ।। এসো নিবিড় নীরদ বরণ শ্যাম তমাল কাননে কাজল বুলায়ে দুলায়ে চাঁচর চিকুর দাম, এসো বামে হেলায়ে শিখী-পাখা ত্রিভঙ্গ ঠামে এসো বঁধু।। এসো নারায়ণ এসো অবতার পার্থসারথি বেশে এসো পাপ কুরুক্ষেত্রে আরবার, তুমি মহাভারতের ভাগ্যবিধাতা গীতি উদ্গাতা নহ শুধু।।
এসো মা পরমা শক্তিমতী
বাণী
এসো মা পরমা শক্তিমতী। দাও শ্রী দাও কান্তি-আনন্দ-শান্তি অন্তরে বাহিরে দিব্য জ্যোতি।। দাও অপরাজেয় পৌরুষ শক্তি দাও দুর্জয় শৌর্য পরা-ভক্তি, দাও সূর্য সম তেজ প্রদীপ্ত প্রাণ ঝঞ্ঝার সম বাধাহীন গতি।। এসো মা পরম অমৃতময়ী, নির্জিত জাতি হোক মৃত্যুজয়ী। পরম জ্ঞান দাও পরম অভয় রূপ-সুন্দর তনু প্রাণ প্রেমময়, আকাশের মত দাও মুক্ত জীবন সকল কর্মে হও তুমি সারথি।।
শ্যামা নামের ভেলায় চ'ড়ে
বাণী
শ্যামা নামের ভেলায় চ'ড়ে কাল-নদীতে দুলি। ঘাটে ঘাটে ঘটে ঘটে (আমি) সুরের লহর তুলি।। কাল-তরঙ্গে ভাসিয়ে অঙ্গ, দেখে বেড়াই কত রঙ্গ, কায়ায় কায়ায় রঙ-বেরঙের (ওরে) শত মায়ার ঠুলি।। জন্মান্তর ঘাটে ঘাটে ভাসি উঠি ডুবি মা নিশিদিন ডাকে আমায়, 'ওরে আয় আমারে ছুঁবি'। মোরে কাল-স্রোতে ভাসানের ছলে মা লীলা দেখান নাট-মহলে ওই খেলার (ছলে) শেষে আপনি এসে (মা) বক্ষে নেবেন তুলি।।