চাঁপার কলির তুলিকায় কাজল লেখায়
বাণী
চাঁপার কলির তুলিকায়, কাজল লেখায় শ্রীমতী শ্রীহরির ছবি আঁকে। রাই ছবি আঁকে পটে গো, যারে হেরে নিতি গোঠে যেতে যমুনার তটে গো, সে বংশী বাজায়ে মঞ্জির পায়ে নাচে ছায়া বটে গো, রাই ছবি আঁকে পটে গো। আঁকিয়া শ্যামের মূরতি আঁকিল না রাধা শ্রীচরণ , রাধা চরণ আঁকে না, তুলি তুলিয়া রাখে চরণ আঁকে না। তখন ললিতা বলে- ‘রাধা! রাধা! রাধা! তুই আঁকলি না কেন চরণ রাধা!’ ‘জীবন মরণ যে চরণে বাঁধা, আঁকলি না কেন চরণ রাধা — বিশ্বের ত্রাণ বৃন্দাবনের ধ্যানজ্ঞান ব্রজগোপী সাধা’ — ‘আঁকলি না কেন চরণ রাধা’ —! তখন রাধা কেঁদে বলে- ‘ওগো ললিতা — সখি আঁকিলে চরণ যাবে সে পালায়ে আমি হব পদদলিতা। পলায়ে যাবে গো মথুরায়, আবার পালায়ে যাবে গো — চির চপল সে মথুরায় আবার পালায়ে যাবে গো — থাক লুকানো হৃদয়ে শ্রীচরণ।’
কে পাঠালে লিপির দূতী
বাণী
কে পাঠালে লিপির দূতী গোপন লোকের বন্ধু গোপন। চিন্তে নারি হাতের লেখা মনের লেখা চেনে গো মন।। গান গেয়ে যাই আপন মনে সুরের পাখি গহন বনে, সে সুর বেঁধে কার নয়নে — জানে শুধু তা’রি নয়ন।। কে গো তুমি গন্ধ-কুসুম গান গেয়ে কি ভেঙেছি ঘুম, তোমার ব্যথার নিশীথ নিঝুম — হেরে’ কি মোর গানের স্বপন।। নাই ঠিকানা নাই পরিচয় কে জানে ও-মনে কি ভয়, গানের কমল ও-চরণ ছোঁয় — তাইতে মানি ধন্য জীবন।। সুরের গোপন বাসর-ঘরে গানের মালা বদল করে, সকল আঁখির অগোচরে — না দেখাতে মোদের মিলন।।
চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী
বাণী
চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চারদিকে রঙ ছড়িয়ে বেড়ায় রঙ্গিলা কুরঙ্গী॥ যে সকলের মন মাতায় কলকাতার চৌমাথায় ওপারে যে ফিল্মের ঝিল্মিল্ আলোর দেয়ালি। এপারে যে পথের ভিখারিনী চোখের বালি। গোরা কালো সাহেব মেমে মন্দ ভালো বি.এ. এম.এ. সবাই তাহার সঙ্গী। যে দক্ষিণ হাত তুলি দক্ষিণা চায় আলো দেয় রবি শশী, ফুল দেয় দখিনা বায়। ওকি গোলাপ ফুল নারঙ্গি। নুয়ে প’ড়ে আকাশ দেখে তাহার নাচের ভঙ্গী॥
সিনেমাঃ ‘চৌরঙ্গী’
সন্ধ্যা হলো ঘরকে চলো ও ভাই মাঠের চাষি
বাণী
সন্ধ্যা হলো ঘরকে চলো, ও ভাই মাঠের চাষি ভাটিয়ালি সুরে বাজে রাখাল ছেলের বাঁশি।। পিদিম নিয়ে একলা জাগে একলা ঘরের বধূ হৃদয়-পাতে লুকিয়ে রেখে সারা দিনের মধু; পথ চেয়ে সে বসে আছে কাজ হয়েছে বাসি রে তার কাজ হয়েছে বাসি। (যে) মন সারাদিন ছিল পড়ে হালের গরুর পানে, দিনের শেষে ঘরের জরু সেই মনকে টানে সেথা মেটে ঘরের দাওয়ায় লুটায় রে মেটে ঘরের দাওয়ায় লুটায় কালো চোখের হাসি রে ভাই কালো চোখের হাসি। পুবান হাওয়া ঢেউ দিয়ে যায় আউশ ধানের ক্ষেতে, এই ফসলের দেখব স্বপন শুয়ে শুয়ে রেতে; ও ভাই শুয়ে শুয়ে রেতে সকাল বেলা আবার যেন মাঠে ফিরে আসি রে এই মাঠে ফিরে আসি।।