বাণী

(মাগো)	তোর কালো রূপ দেখতে মাগো, কাল্ হ’ল মোর আঁখি,
		চোখের ফাঁকে যাস পালিয়ে মা তুই কালো পাখি॥
আমার		নয়ন দুয়ার বন্ধ ক’রে এই দেহ পিঞ্জরে,
		চঞ্চলা গো বুকের মাঝে রাখি তোরে ধ’রে;
		চোখ্ চেয়ে তাই খুঁজে বেড়াই পাই না ভুবন ভ’রে
		সাধ যায় মা জন্ম জন্ম অন্ধ হ’য়ে থাকি॥
		কালো রূপের বিজলি চমক কোটি লোকের জ্যোতি,
		অনন্ত তোর কালোতে মা সকল আলোর গতি।
		তোর কালো রূপ কে বলে মা ‘তমঃ’,
		ঐ রূপে তুই মহাকালি মাগো নমঃ নমঃ
তুই		আলোর আড়াল টেনে মাগো দিস্ না মোরে ফাঁকি॥

বাণী

প্রভাত বীণা তব বাজে হে
উদার অম্বর মাঝে হে।।
তুষার কান্তি তব প্রশান্তি
শুভ্র আলোকে রাজে হে।।
তব আনন্দিত গভীর বাণী
শোনে ত্রিভুবন যুক্ত পাণি
মন্ত্রমুগ্ধ ভাব গঙ্গা নিস্তরঙ্গা লাজে হে।।

বাণী

আয় বিজয়া আয় রে জয়া উমার লীলা যা রে দেখে।
সেজেছে সে মহাকালী চোখের কাজল মুখে মেখে।।
	সে ঘুমিয়েছিল আমার কোলে
	জেগে উঠে কেঁদে বলে,
আমায় কালী সাজিয়ে দে মা ছেলেরা মোর কাঁদছে ডেকে।।
চেয়ে দেখি মোর উমা নাই নাচে কালী দিগম্বরী,
হুঙ্কার দেয় কোটি গ্রহের মুণ্ডমালা গলায় পরি’।
	আমি শুধু উমায় চিনি
	এ কোন্ মহামায়াবিনী,
কালোরূপে বিশ্বভুবন আকাশ-পবন দিল ঢেকে।।

বাণী

(আমায়)		আর কতদিন মহামায়া রাখ্‌বি মায়ার ঘোরে।
(মোরে)		কেন মায়ার ঘূর্ণিপাকে ফেল্‌লি এমন করে।।
		(ওমা) কত জনম করেছি পাপ
			কত লোকের কুড়িয়েছি শাপ,
		তবু মা তার নাই কি গো মাফ ভুগব চিরতরে।।
		এমনি ক’রে সন্তানে তোর ফেল্‌লি মা অকূলে,
		তোর নাম যে জপমালা তাও যাই হায় ভুলে’।
			পাছে মা তোর কাছে আসি
		তাই	বাঁধন দিলি রাশি রাশি,
কবে		মুক্ত হ’ব মুক্তকেশী (তোর) অভয় চরণ ধ’রে।।

বাণী

আমার লীলা বোঝা ভার।
নদীতে বান আনি আমি আমিই করি পার।।
	আমার যারা করে আশ
	করি তাদের সর্বনাশ,
তবু আশা ছাড়ে না যে মিটাই আশা তার।।

রেকর্ড নাটিকা : ‌‌‘সুভদ্রা’ (নাট্যকার : বরদাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত)

বাণী

বল্‌ রে জবা বল্ —
কোন্ সাধনায় পেলি শ্যামা মায়ের চরণতল।।
মায়া–তরুর বাঁধন টু’টে মায়ের পায়ে পড়লি লু’টে
মুক্তি পেলি, উঠলি ফুটে আনন্দ–বিহ্বল।
তোর সাধনা আমায় শেখা (জবা) জীবন হোক সফল।।
কোটি গন্ধ –কুসুম ফোটে, বনে মনোলোভা —
কেমনে মা’র চরণ পেলি, তুই তামসী জবা।
তোর মত মা’র পায়ে রাতুল হবো কবে প্রসাদী ফুল,
কবে উঠবে রেঙে —
ওরে মায়ের পায়ের ছোঁয়া লেগে উঠবে রেঙে,
কবে তোরই মতো রাঙবে রে মোর মলিন চিত্তদল।।