কৃষ্ণ-প্রিয়া লো কেমনে যাবি
বাণী
কৃষ্ণ-প্রিয়া লো! কেমনে যাবি অভিসারে? সে বিরহী রসে মানস সুরধুনী ’পারে।। সে এ পারে রহে না পারাপারের অতীত সে, এ পারে রহে না, এ পারে না, ও পারেও রহে না, কোন পারে রহে না।। গগনে গুরু গুরু মেঘ গরজে অবিরল বাদল ঝর ঝর ঝরে, আঁখি-জলে আঁখি তোর টলমল সই অন্তর দুরুদুরু করে। পথ দেখিবি কেমনে আঁখি-জলে পিছল আঁখি, পথ দেখিবি কেমনে। তোর আঁখি পিছল পথও পিছল পথে যাবি কেমনে, তোর অন্তরে মেঘ, বাহিরে মেঘ পথ দেখিবি কেমনে। একে কুহু-যামিনী তাহে কুল-কামিনী পথে পথে কালনাগিনী (লো), আছে আড় পেতে শাশুড়ি ননদিনী লো। তুই চাতকীর মত কেতকীর মত রাই মেঘ দেখে মত্ত হইলি ভয় নাই, যার প্রেমের পথে বাধা বিধির অভিশাপ — সাপেরে সে ভয় করে না।।
চোখের বাঁধন খুলে দে মা
বাণী
চোখের বাঁধন খুলে দে মা খেলব না আর কানামাছি। আমি মার খেতে আর পারি না মা এবার বুড়ি ছুঁয়ে বাঁচি।। তুই পাবি অনেক মেয়ে ছেলে যাদের সাধ মেটেনি খেলে খেলে, তুই তাদের নিয়েই খেল না মা গো শ্রান্ত আমি রেহাই যাচি। দুঃখ-শোক-ঋণ-অভাব ব্যাধি মায়ার খেলুড়িরা মিলে, শত দিকে শত হাতে আঘাত হানে তিলে তিলে। চোর হয়ে মা আর কত দিন ঘুরব ভবে শান্তিবিহীন, তোর অভয় চরণ পাই না কেন মা তোর এত কাছে আছি।।
ওমা একলা ঘরে ডাকব না আর দুয়ার বন্ধ ক’রে
বাণী
ওমা একলা ঘরে ডাকব না আর দুয়ার বন্ধ ক’রে। তুই সকল ছেলের মা যেখানে ডাকব মা সেই ঘরে।। রুদ্ধ আমার একলা এ মন্দিরে, পথ না পেয়ে যাস্ বুঝি মা ফিরে, মোরে জ্যোতির্লোকে ঘুম্ পাড়িয়ে তাপিত সন্তানে নিয়ে মাগো কাঁদিস্ বুকে ধ’রে।। আমি একলা মানুষ হ’তে গিয়ে হারাই মা তোর স্নেহ, আমি যে ঘর যেতে ঘৃণা করি মা,-সেবি তোর গেহ। দুর্বল মোর ভাই বোনদের তুলে, আমি দাঁড়াব মা যেদিন, চরণ মূলে। সেদিন মা তুই আপনি এসে কোলেতুলে নিবি হেসে, আর হারাব না তোরে।।
ও তুই উলটা বুঝলি রাম
বাণী
ও তুই উলটা বুঝলি রাম আমি আম চাহিতে জাম দিলে, আর জাম চাহিতে কি-না আম।। আমি চড়বার ঘোড়া চাইতে শেষে, ওগো ঘোড়াই ঘাড়ে চড়লো এসে, ও বাব্বা — আমি প্রিয়ার চিঠি চাইতে এলো কিনা ইনকামট্যাক্স-এর খাম।। আমি চেয়েছিলাম কোঠা বাড়ি, তাই পড়লো পিঠে লাঠির বাড়ি ভুলে আমি বলেছিলাম তোমার পায়ে শরণ নিলাম। তুমি ভুল বুঝিলে, ভিটেবাড়ি সব হ'লো নিলাম।। আমি চেয়েছিলম সুবোধ ভাইটি তা না হয়ে, বাবা গোঁয়ার সে ভাই উচায় লাঠি আমি শ্রী ব্রজধাম চাইতে ঠেলে দিলে শ্রীঘর হাজত ধাম।।
দোলন চাঁপা বনে দোলে
বাণী
দোলন চাঁপা বনে দোলে — দোল-পূর্ণিমা-রাতে চাঁদের সাথে। শ্যাম পল্লব কোলে যেন দোলে রাধা লতার দোলনাতে॥ যেন দেব-কুমারীর শুভ্র হাসি ফুল হয়ে দোলে ধরায় আসি’ আরতির মৃদু জ্যোতি প্রদীপ-কলি দোলে যেন দেউল-আঙিনাতে॥ বন-দেবীর ওকী রুপালি ঝুমকা চৈতি সমীরণে দোলে — রাতের সলাজ আঁখি-তারা যেন তিমির আঁচলে। ও যেন মুঠিভরা চন্দন-গন্ধ দোলে রে গোপিনির গোপন আনন্দ, ও কী রে চুরি করা শ্যামের নূপুর — চন্দ্র-যামিনীর মোহন হাতে॥