আজি কুসুম-দীপালি জ্বলিছে বনে
বাণী
আজি কুসুম-দীপালি জ্বলিছে বনে। জ্বলে দীপ-শিখা আম্র-মুকুলে রাঙা পলাশ অশোকে বকুলে, আসে সে আলোর টানে বন-তল মৌমাছি প্রজাপতি দলে দল পুড়ে মরিতে সে রূপ-শিখাতে প্রাণ সঁপিতে বাসন্তিকাতে; পরিমল অঞ্জন মাখিয়া নয়নে হের ঝিমায় আকাশ চাঁদের স্বপনে।। জ্বলে গগনে তারার দীপালি আজি ধরাতে আকাশে মিতালি ধরা চাঁপার গেলাস ভরিয়া মধু উর্ধ্বে তুলে গো ধরিয়া পান করিতে সে মধু পরীরা আসে নেমে কাননে স-শরীরা; বাজে উৎসব বাঁশি গগনে পবনে হের ঝিমায় আকাশ চাঁদের স্বপনে।।
ওরে মথুরা-বাসিনী মোরে বল্
বাণী
ওরে মথুরা-বাসিনী, মোরে বল্। কোথায় রাধার প্রাণ — ব্রজের শ্যামল।। আজও রাজ-সভা মাঝে (সে) আসে কি রাখাল-সাজে? আজও তার বাঁশি শুনে যমুনার জল হয় কি উতল।। পায়ে নূপুর কি পরে শিরে ময়ূর-পাখা, আছে শ্রীমুখে কি অলকা তিলক আঁকা। রাধা রাধা ব’লে কি গো কাঁদে সেই ময়া-মৃগ? নারায়ণ হয়েছে সে তোদের মথুরা এসে মোদের চপল।।
আমার কালিবাঞ্ছা কল্পতরুর ছায়াতলে আয় রে
বাণী
আমার কালিবাঞ্ছা কল্পতরুর ছায়াতলে আয় রে, এই তরুতলে যে যাহা চায় তখনি তা পায় রে॥ তুই চতুর্বর্গ ফল কুড়াবি যোগ পাবি, ভোগ পাবি এমন কল্পতরু থাকতে - কেন মরিস্ নিরাশায় রে॥ দস্যু ছেলের আবদারে সে সাজে ডাকাত কালির বেশে, কত রামপ্রসাদের কন্যা হয়ে বেড়া বেঁধে যায় রে। ওরে পুত্র-কন্যা বিভব-রতন, চেয়ে নে যার ইচ্ছা যেমন, ওরে আমার এ মন থাকে যেন বাঞ্ছাময়ীর পায় রে॥ সে আর কিছু না চায় চেয়ে চেয়ে বাসনা তার শেষ হল না হায়! এবার খালি হাতে তালি দিয়ে (আমি) চাইব কালিকায় রে॥
প্রেমের হাওয়া বইল যখন
বাণী
প্রেমের হাওয়া বইল যখন মুকুল গেল ঝ’রে। প্রদীপ নিভে রইল, যখন তুমি এলে ঘরে।। তোমার আসার লগ্ন এলো যে-দিন আশা ফুরিয়ে গেল, মন গিয়াছে ম’রে যখন পেলাম মনোহরে।। আঘাত দিয়ে দিয়ে যে-দিন করলে পাষাণ মোরে, সেদিন নিয়ে বসালে হায়! তোমার ঠাকুর ঘরে। তোমার শুভ দৃষ্টি লাগি’ বহু সে-যুগ ছিলাম জাগি’ আজি কি বেলা-শেষে তুমি এলে স্বয়ম্বরে।।