পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া
বাণী
পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া যাও রে বইয়া এই গরিবের সালামখানি লইয়া।। কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই সারা জনম সাধ ছিল যে মদিনাতে যাই (রে ভাই) মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।। (তোমার) পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি লইয়া যাও রে এই নিরাশের, দীর্ঘ নিশাসখানি। নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।। মা ফাতেমা হজরত আলীর মাজার যথায় আছে আমার সালাম দিয়া আইস তাদের পায়ের কাছে (রে ভাই!) কাবায় মোনাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।
তোরা সব জয়ধ্বনি কর
বাণী
তোরা সব জয়ধ্বনি কর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর! ঐনূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখির ঝড় তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! আস্ল এবার অনাগত প্রলয়–নেশায় নৃত্য–পাগল, সিন্ধু–পারের সিংহ–দ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল! মৃত্যু–গহন অন্ধকুপে, মহাকালের চন্ড–রূপে ধূম্র–ধূপে বজ্র–শিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর! ওরে ওই হাসছে ভয়ংকর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! দ্বাদশ রবির বহ্নি–জ্বালা ভয়াল তাহার নয়ন–কটায়, দিগন্তরের কাঁদন লুটায় পিঙ্গল তার ত্রস্ত জটায়! বিন্দু তাহার নয়ন –জলে সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে কপোল–তলে! বিশ্ব –মায়ের আসন তারই বিপুল বাহুর ‘পর – হাঁকে ঐ “জয় প্রলয়ংকর!” তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! মাভৈঃ, ওরে মাভৈঃ, মাভৈঃ, মাভৈঃ জগৎ জুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে জরায়–মরা মুমূর্ষুদের প্রাণ–লুকানো ঐ বিনাশে। এবার মহা–নিশার শেষে আসবে ঊষা অরুণ হেসে করুণ্ বেশে! দিগম্বরের জটায় লুটায় শিশু–চাঁদের কর! আলো তার ভরবে এবার ঘর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!!
কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া
বাণী
কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া ফিরে ফুল-বনের গলি। ‘ফিরে যাও চপল পথিক’, দু’লে কয় কুসুম-কলি। দু’লে কয় কুসুম-কলি॥ ফেলিছে সমীর দীরঘ শ্বাস — আসিবে না আর এ মধুমাস, কহে ফুল, ‘জনম জনম এমনি গিয়াছ ছলি’। জনম জনম গিয়াছ ছলি’॥ কাঁদে বায়, ‘নিদাঘ আসে আমি যাই সুদূর বাসে’, ফুটে ফুল হাসিয়া ভাসে, ‘প্রিয়তম যেয়োনা চলি’। ওগো প্রিয়তম যেয়োনা চলি’॥
তুমি কি নিশীথ-চাঁদ ভাঙাতে ঘুম
বাণী
স্ত্রী : তুমি কি নিশীথ-চাঁদ ভাঙাতে ঘুম চুপি চুপি আসিলে বাতায়নে। পুরুষ : তুমি কি গো বন-দেবী পুষ্প-শোভিতা চেয়ে আছ কোন দূরে আনমনে।। স্ত্রী : তোমারে হেরিয়া ফোটে মালতী হেনা হে চির চেনা পুরুষ : সুদুর বনান্তে সমীরণ হেরি' তোমায় হ'লো অধীর পাপিয়া ডাকে বকুল বনে।। স্ত্রী : তব কলঙ্ক অধিক মধুর লাগে হে কলঙ্কী চাঁদ, তোমারে হেরিয়া যত সাধ জাগে প্রাণে জাগে তত অবসাদ। পুরুষ : তোমার ছায়া প'ড়ে মোর আননে কলঙ্কী নাম হলো মোর এই ভুবনে। উভয়ে : আকাশের চাঁদে কুমুদ ফুলে মিলন হ'লো ধরার ভুলে অশ্রুসায়রে সঙ্গোপনে।।
বাহির দুয়ার মোর বন্ধ হে প্রিয়
বাণী
বাহির দুয়ার মোর বন্ধ হে প্রিয় মনের দুয়ার আছে খোলা, সেই পথে এসো হে মোর চিত-চোর — হে দেবতা পথ ভোলা।। সেথা নাহি কুল লাজ কলঙ্ক ভয়, নাহি গুরুজন গঞ্জনা নিরদয়; তাই গোপন মানস তমাল কুঞ্জে (আমি) বাঁধিয়াছি ঝুলন দোলা।। মোর অন্তরে বহে সদা অন্তঃসলিলা অশ্রু-নদী — সেই যমুনার তীরে কর তুমি লীলা নিরবধি । সে মিলন-মন্দিরে জাগাবে না কেহ, তব দেহে বিলীন হবে মোর দেহ; অনন্ত বাসর-শয্যা রচিয়া অনন্ত মিলনে রহিব উতলা।।